গাজীপুর কমার্স কলেজ রিভার ডিফেন্ডার্স ক্লাব ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদীর তীরে আয়োজন করেছে ‘কোস্টাল রিভার ক্যাম্প’।
এতে আয়োজক গাজীপুর কমার্স কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই ক্যাম্পে অংশ নেন। দুইদিনের এই ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিনে বুধবার (৮ মার্চ) সকালে বাঁকখালী নদী পরিদর্শন এবং পরে নাজিরটেকের সমুদ্র পাড়ে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন কলেজ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নদীপ্রেমি ও বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
কক্সবাজারে শুধু সমুদ্র নয় নদীও আছে, নদীর নাম বাঁকখালী। বাঁকখালী নদীর দৈর্ঘ্য ৬৯ কিলোমিটার। অসংখ্য বাঁক নিয়েই সৃষ্টি বলেই লোকমুখে এই নদীর নাম হয়েছে বাঁকখালী।
সত্যিকার অর্থেই বাঁকখালী নদীকে একটি ছুটন্ত সাপের সাথে তুলনা করা যায়। একটি বাঁক শেষ হতে না হতেই দেখা যায় আরেকটা বাঁক। সবচেয়ে বড় কথা গুপ্তধনের মতো প্রাকৃতিক ঐশর্য্য আর সৌন্দর্য্যে হাতছানি লুকিয়ে আছে বাঁকখালীর বাকে বাকে।
বাঁকখালী নদীর উৎপত্তি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন পাহাড়ে। সবচেয়ে বড় কথা গুপ্তধনের মতো প্রাকৃতিক উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কক্সবাজার সদর আর কক্সবাজার শহরের পাশ ঘেসে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। মুলত কক্সবাজার শহরটি বঙ্গোপসাগর আর বাঁকখালী নদীর মোহনায় অবস্থিত বলেই বাঁকখালী নদী হয়ে উঠেছে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস।
আর এ মোহনা সংলগ্ন চরেই অনুষ্ঠিত হয় কোস্টাল রিভার ক্যাম্প। তার পূর্বে সকালে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে নৌকায় উঠে নুুনিয়াছড়া,মাঝিরঘাট, খুরুসকুল পরিদর্শন শেষে মোহনার বাঁকখালীর চরে শুরু হয় মূল সেশন।
গাজীপুর কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাকির আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক আনছার হোসেন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সেক্রেটারি জেনারেল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন।
আরও পড়ুন….
তুরাগ পাড়ে জেলে জনগোষ্ঠীকে আরডিআরসি’র পানির পাম্প উপহার
অনুষ্ঠিত হলো “মুক্তিযুদ্ধে নদী” নিয়ে আলাপ