বান্দরবানের দুই প্রধান নদী শঙ্খ ও মাতামুহুরীকে বিপন্ন অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধারের উপায় খুঁজতে একটি সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। সমীক্ষায় নদী দুইটির পানি কাঠামো বিশ্লেষণ, অববাহিকার জলধারা (ঝিরি, ঝরনা, ছড়া ও খাল) জরিপ, বিপন্নতার কারণ ও স্থল-জলজ প্রাণবৈচিত্র্যের বাস্তুসংস্থানসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে আনা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এ সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে দুই নদী ও অববাহিকার জলধারাগুলোর বিপন্নতা থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
সমীক্ষায় নদী দুইটির বিপন্নতার থেকে পুনরুদ্ধারের উপায় খুঁজে বের করা হবে। এতে নদীর পানি কাঠামো ও অববাহিকার জলধারাগুলোর পানিপ্রবাহ বিশ্লেষণ, হাইড্রোলজিক্যাল স্টেশন স্থাপন, ভূ-উপরিস্থিত ও ভূগর্ভস্থ পানির গুণাগুণ পরীক্ষা, পলি ও মাটির ধরনের বৈশিষ্ট্যের মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিবেশগত শৃঙ্খলা (ইকোসিস্টেম) শনাক্তকরণ এবং সেগুলো সংরক্ষণের উপায় নিরূপণও করা হবে। নদী ও নদীতে এসে মিশে যাওয়া জলধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রাণবৈচিত্র্যের বাস্তুসংস্থানকে চিহ্নিত করার বিষয়টিও সমীক্ষার আওতায় থাকবে।
প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই বছর মেয়াদের সমীক্ষা প্রকল্প আগামী অর্থবছরে (জুলাই) শুরু হওয়ার কথা।
আরো পড়তে পারেন…
কোপাই নদীর হেরিটেজ মর্যাদার জন্য আবেদন করবো
“বাংলাদেশে কোনো নদীভাঙন থাকবে না”
এ সমীক্ষার সুপারিশ অনুযায়ী বহুমুখী টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এতে শঙ্খ ও মাতামুহুরী উভয় নদীর পানি ধারণক্ষমতা বেড়ে যাবে, শাখা-উপশাখাসহ নদীর ভাঙন কমবে, পাহাড় থেকে নেমে আসা জলাধারাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মরে যাওয়া জলধারাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হলে নদীর গতিপ্রবাহও আগের মতো ফিরে পাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেছেন, দুই নদীর অববাহিকা পুনরুদ্ধার সমীক্ষা প্রকল্পের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নদী ও অববাহিকার জলধারা উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে। নদী ও নদীর পানি কাঠামো উন্নয়ন হলে ধীরে ধীরে বাস্তুতন্ত্রে আবারও প্রাণ প্রতিবেশের বৈচিত্র্য ফিরে আসবে। সূত্র: প্রথম আলো।