নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। নদীরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচর খোলামোড়া ঘাটে সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে, নদীতীর রক্ষায় কিওয়াল ও ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তোমার আমার ঠিকানা, এটা ছিল একসময় আমাদের পরিচয়। কিন্তু আমাদের সেই পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে, আমাদের বুড়িগঙ্গা নদী শুকিয়ে গেছে, হারিয়ে যাচ্ছে। নদী দখলের ব্যাপারে রাষ্ট্র আগে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তাই নদীগুলোকে দখল করেছে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত বেদখল হয়েছে। নদীর নাব্যতা না থাকার কারণেই সামান্য পাহাড়ি ঢলে সারা দেশ ডুবে যাচ্ছে, তাই এসব নদীকে রক্ষা করতে হবে নদীর খনন করতে হবে। বুড়িগঙ্গা-তুরাগ এমন একটি পরিবেশ হবে, যেখানে মানুষের জীবিকার উৎস হবে এই নদীগুলো।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, নদীর তীর দখলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হয়েছে। অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানে নদীর জায়গায় ৪৮টির বেশি মসজিদ পাওয়া গেছে। প্রথমে মসজিদ নির্মাণ করে জায়গাগুলো দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল। ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমে নদী দখলের বিরোধিতা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো সরকারি জায়গায় অথবা বিতর্কিত জায়গায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা মসজিদ করার অনুমতি দেয়নি ইসলাম ধর্ম।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্যা হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সালাম, পরিবেশবিদ লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ। সূত্র: সমকাল ও দেশ রুপান্তর।
আরো পড়তে পারেন….
নদীতীর পুনর্দখলের চেষ্টা করবেন না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিস্তা নিয়ে যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
কিশোরগঞ্জের প্রাণ প্রবাহ নরসুন্দাকে বাঁচাতে আসুন সবাই ঐকবদ্ধ হই