বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

বুড়িগঙ্গা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীর দখলমুক্ত করতে চতুর্থ দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।  মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া লঞ্চঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে মান্দাইল গকুলচর পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ছোট-বড় ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ২ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

কয়েকটি জাহাজ ও একটি ভাসমান এক্সেলেটরের সাহায্যে নদীতে অবস্থান করে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। আগামী ১২ কার্যদিবস সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফতুল্লা অভিমুখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এ অভিযান চলবে। জানা যায়, ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত (মোট ৩৬ কার্যদিবস) তিন দফায় ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ। ঢাকা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনতলা ভবন ১টি, দোতলা ভবন ১৩টি, একতলা ভবন ৩৭টি, আধাপাকা স্থাপনা ৮৫টি, বাউন্ডারি দেয়াল ১৭টি ও টিনের ঘর ৪৫টি।

বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উচ্ছেদের আগে লাল দাগ দিয়ে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত ও মাইকিং করে তাদের জানানো হয়েছে। তারপরও তারা এগুলো সরিয়ে না নেয়ায় আমাদের অভিযান চালাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। দখলদার যত ক্ষমতাশালী হোক, সেটা দেখা হবে না। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

এদিকে বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রসুলপুর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ । এসময় বড়িশুর লঞ্চঘাটের পাশে থাকা বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় উচ্ছেদকারিরা। সেখানে নদীর সীমানা পিলারের মধ্যে ও হাঁটার জায়গায় অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপন করেছে এলাকাবাসী। যা এক্সেভেটর দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া নদীর জায়গা দখল করতে কৌশলে লাগানো বেশ কিছু গাছও উপড়ে ফেলা হয় এ সময়। গত জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়াও, এ দিনের উচ্ছেদ কেরানীগঞ্জের জিনজির ফেরিঘাটের বেশ কিছু অবৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিটিএ। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর ও সময় টিভি সংবাদ।

আরো পড়তে পারেন….

নদী ‘জীবন্ত সত্তা’ : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

কিশোরগঞ্জের প্রাণ প্রবাহ নরসুন্দাকে বাঁচাতে আসুন সবাই ঐকবদ্ধ হই

হায় ইছামতি!

 

সংশ্লিষ্ট বিষয়