এ এক অন্য রকম অনুভব। বিভিন্ন জায়গার অতিথি আবাসের নামে থাকে নানান বিশিষ্টতা। সাহিত্যের থেকেও চয়ন করে বিভিন্ন সময়েই দেওয়া হয়ে অতিথি আবাসের নাম। তাই বলে নদীর নামে? এমনটাই বাস্তব ভারতবর্ষের রাজার শহর কোচবিহারে।রাজবাড়ীর সন্নিকটে সাগর দীঘির পারে অবস্থিত কোচবিহার জেলা পরিষদের অতিথি আবাসে এমনটাই দেখা গেল।
অতিথি দের জন্য নির্দিষ্ট ঘর গুলির নাম তোর্ষা, তিস্তা, মানসাই,সুটুঙ্গা, কালজানি, রায়ডাক, ধরলা, বানিয়াদহের নামে।এও নিশ্চয়ই এক নদী চেতনারই নামান্তর।
কথা প্রসঙ্গে কোচবিহারের বাসিন্দা ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার, সুকুমার বর্মন, সুমন্ত সাহা, তপন দাস, শঙ্কর নারায়ণ দাসরা জানান, কোচবিহার নদীর জেলা।নদী আমাদের পরিচয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির গঠনে, ঐতিহ্যে, সংস্কৃতিতে উপরের নদীগুলির ভূমিকা অপরিসীম।মানুষ জানুক এই নদীর কথা।চিনতে শিখুক এই নদীকে।এটাই হবে কাজের কথা। তবেই তো এদের ঘিরে উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছা জন্মাবে।
কোচবিহারে নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে সহযোগি হিসাবে অতিথি আবাসে ছিলেন বালুরঘাটের সাথী মন্ডল।তিনি বলেন-‘ভাবনাটা ভাল।তবে নদী গুলোর ম্যাপ, নদীর বিস্তৃতি, কোন্ কোন্ জায়গা দিয়ে নদী গুলি প্রবাহিত হয়েছে ,নদীগুলির ছবি এসবও যদি আলাদা আলাদা করে থাকত।ভাল লাগত আরও।’
বিষয়টা নিয়ে লিখিত আকারে আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া চলছে।রিভার কনসাসনেস ও রিভার নেটওয়ার্কের একটা ক্ষেত্র হয়ে উঠুক এই সরকারী অতিথি আবাসগুলি।নদী চেতনা ও নদী বোধ তৈরী করে দেওয়াই হোক অন্যতম লক্ষ্য।