মো.ইউসুফ আলী, কেরাণীগঞ্জ থেকে>> অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উদ্ধার হয়েয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি। মিলেছে আরো একজনের মরদেহ। এরই সাথে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্ধারের পর লঞ্চটিকে কেরাণীগঞ্জের তৈলঘাট সংলগ্ন নদীতে ফেলে রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে টেনে উপরে তোলা হবে। একই সাথে দুপুর আড়াইটার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন উদ্ধারকারি ডুবুরি দল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ফের উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। অভিযানের একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে দুপুর আড়াইটার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ছাড়া লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করে ডুবুরি দল। নদীতে ভেসে ওঠার পর কোস্ট গার্ডের কর্মীরা তাঁকে তুলে নেন। উদ্ধার করার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। তাকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে এ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ঘাতক লঞ্চ ময়ূর-২ এর মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে আসামি হিসেবে ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোফাত ও মাস্টার আবুল বাশারসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এতে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের প্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য-গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ কাঠপট্টি থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিলো এমভি মর্নিং বার্ড নামের একটি যাত্রীবাহিী লঞ্চ। লঞ্চটি ঢাকা সদর ঘাটের কাছাকাছি শ্যামবাজার বরাবর আসলে ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কুমিল্লা ডক এরিয়ায় থেকে ময়ূরীরী-২ নামক আরেকটি লঞ্চ পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এতে এ পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ডুবুরি দল। এছাড়া বেশ কয়েকজন যাত্রী সাতরে উপরে উঠে গেছে বলেও জানিয়েছেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা