কলকাতা (দক্ষিণ দিনাজপুর) থেকেঃ
জলের একটা কান্না আছে। সেটা অনুভব করতে হয়। আর ঠিক সেটাই অনুভব করেছিলেন শ্রীমতি নদী পাড়ের মানুষ। আর তাই তো নদী নিয়ে নাটক নির্মাণ করে ফেললেন বুনিয়াদপুরের অরণী নাট্য সংস্থা।
ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের এই নাট্যসংস্থাটির উদ্যোগে নদী বাঁচাও আন্দোলনেও নতুন দিক সূচিত হলো। বিশিষ্ট নাট্যকার তীর্থঙ্কর রায়ের “অন্তরে প্রস্তর প্রস্তরে অন্তর ” তাই আমাদেরই কান্নার কথা যা আমরা প্রতিনিয়ত শুনতে পাই শ্রীমতি নদীতে” বললেন নাটক টির নির্দেশক পবিত্র দাস।
শ্রীমতি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্যতম প্রধান নদী। সেই নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীর বুকে চাষের জমি, কৃষক দের জীবন বিপন্ন। বিপন্ন নদী পারের মানুষের জীবন, জীবিকা, সামগ্রিক অর্থনীতি।
নদীটির অস্তিত্ব লোপ পাচ্ছে ধীরে ধীরে।নদীটিকে ঘিরে রাজনীতিও দানা বেঁধেছে।এটা তাই একটা প্রতিবাদ। অরণী নাট্য সংস্থার সদস্য ও নাট্য বন্ধু অরিন্দম সিংহ বলেন “নদী যে আন্দোলনের বিষয় তা আমরা বালুরঘাটের নদী ও পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্পের কাছ থেকে শিখেছি।আমরা এই নাটকের মাধ্যমে নদী আমাদের জীবন এই জরুরী কথাটি বলতে চেয়েছি।তাই আমাদের নদীকে বাঁচাতে জোট বাঁধতে হবে।”
নির্দেশক পবিত্র দাস বলেন, শ্রীমতি নদীর জীবন, কান্না ও হাহাকার অনুভূতি লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন নাট্যকার তীর্থঙ্কর রায়।আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। অরণী -র প্রতিটি সদস্য একে শুধু নাটক মনে করেন না।একে মনে করেন জীবনের আখ্যান। সবার ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। নাট্যাচার্য শিশির ডাদুড়ী নামাঙ্কিত কোলকাতার শিশির মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির নাট্যমেলায় আজ সন্ধ্যে সাতটায় সেই কান্নাই শুনবে কলকাতাবাসী। আর নদীর অস্তিত্বের কথা আরও একবার জেগে উঠবে যা এইসময় বিশেষ জরুরী ।