কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মৃতপ্রায় নরসুন্দা, ফুলেশ্বরী, সৃতি, বেতাই নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য খননের দাবীতে নদী বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা রিভার বাংলা’র সহযোগী সংগঠন রিভার বাংলা নদীসভার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বিকালে।
সম্প্রতি ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও অকাল প্রয়াত নদী কর্মী ও কবি মীরন রশীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নদী সভার শুরু ১ম পর্ব শুরু হয়।
তাড়াইল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি উপন্যাসিক আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে নদীসভায় স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার বাংলা নদী সভা তাড়াইল শাখার আহবায়ক কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী আফজাল হোসেন আজম।
মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি, ছড়াকার ও তাড়াইল বিচিত্রার সম্পাদক ছাদেকুর রহমান রতন।নদী খননের উপর জোর দাবী জানিয়ে সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন তাড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি দেওয়ান ফারুক দাদ খান। নদী নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও স্মৃতিচারণ করে বিশেষ বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেতা সাংবাদিক মুকুট দাস মধু, উপন্যাসিক সাবিকুন্নাহার কমল, কবি হোসনে আরা, কবি নাইমুর রহমান রানা, কবি শাহ আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নদী ও নারীর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে তরুন সাংবাদিক বিপুল মেহেদী, ছাত্রনেতা শামরুজ্জামান শামরুজ, রিয়াদ হাসান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাকিমুল হক, তরুন কবি ও লেখক সোহাগ আকন্দ, তুখোড় কৃষকনেতা বুলবুল আহম্মদ ভুঁইয়া।
নদীসভা শেষে দ্বিতীয় পর্বে থানারোডের সামনে তাড়াইল সাহিত্য সংসদ, তাড়াইল প্রেসক্লাব, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, নদী বাঁচাও আন্দোলন কর্মী ও সর্বসাধারনের অংশগ্রহনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা থেকে সূতি, ফুলেশ্বরী, বেতাই ও নরসুন্দা নদ খননের জোর দাবী উঠে।বক্তারা বলেন, উজান থেকে আসা নরসুন্দা নদ ভাটিবাংলার ধেনু নদী পর্যন্ত খনন জরুরী প্রয়োজন, তাহলেই সব শাখানদী পূর্ণযৌবনা হবে।ভাটির প্রানকেন্দ্র তাড়াইল আবার ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে গড়ে উঠবে।একসময় ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী তাড়াইল থেকে নদীপথে পাট নিতো।আজ সেই নদীগুলোর তলদেশে হচ্ছে অবৈধ মালিকার ধান চাষ।যা পরিবেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। আমরা আজ নরসুন্দা ফুলেশ্বরী সূতি ও বেতাই নদীর উপর অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ ও খননের দাবীতে একাট্রা হয়েছি।
সবশেষে রিভার বাংলা নদীসভা তাড়াইল শাখার আহবায়ক আফজাল হোসেন আজম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।