ছোট্ট মফস্বল শহর ঘুঙ্গিয়ারগাঁওয়ের পাশ দিয়ে বহে গেছে যে নদ-তা দাড়াইন। আমাদের শৈশব-কৈশোরের খেলার সঙ্গী। যতক্ষণ চোখ লাল না হতো, ততক্ষণ দাড়াইনের তরল বুকে চলত দাপাদাপি। ফাল্গুন-চৈত্রের নিস্তরঙ্গ রূপ আর জৈষ্ঠ্যের যুবক দাড়াইনের কত ফারাক! আষাঢ়-শ্রাবণে ফুলে-ফেঁপে দাড়াইন মিশে যেত হাওরের বুকে। মাঝ নদীতে গেরাফি-ফেলা নৌকার মতোই পুরো জনপদের গ্রামগুলো যেন ভাসত হাওরজুড়ে! শুষ্ক আর বর্ষা-দুই সময়ে দুই রূপ দাড়াইনের।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল হোসেনপুর গ্রাম থেকে পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার ধলবাজারের কাছাকাছি পর্যন্ত সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে দাড়াইন নদ। বর্ষায় পানিতে থইথই করলেও শুষ্ক মৌসুমে কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি থাকে। এ নদের দুই অংশে সংযোগ ঘটেছে ভোরামোনা গোদী নদী আর কালনী নদী। হোসেনপুরে দাড়াইন আর গোদীর মিলনস্থল, সেই গোদী নদী গিয়ে মিশেছে পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীতে। অন্যদিকে, ধলবাজারের প্রায় কাছাকাছি দাড়াইনের সঙ্গে মিলন ঘটেছে দিরাইয়ের কালনীর। এই হলো দাড়াইনের সঙ্গে অন্য নদীর যোগসূত্রের ইতিহাস।
শুকনো মৌসুমে যখন পানি থাকত না দাড়াইনে কিংবা বর্ষার আগ-মুহূর্তে পানি বেড়ে দানবীয় রূপ পেত-দু-কালেই সাঁতরে এপার-ওপার যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতাম আমরা। কোনো-কোনো ছুটির দিন যখন ঘুঙ্গিয়ারগাঁও থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সুখলাইন যেতাম, মূলত দাড়াইন ঘিরে মজার খেলাগুলো তখনই বেশি হতো।
সুখলাইন গ্রাম ঘেঁষেই ছিল দাড়াইন। নদের পারে ধান শুকোনোর ছোট্ট খলা-বৈশাখে সেখানে এক দফা ফুটবল কিংবা কানামাছি খেলে খেলারত সবাই লাফিয়ে পড়তাম নদের বুকে। অথবা খলায় খেলতে-খেলতে যখন ফুটবল পড়ে যেত নদের বুকে-তখন সেটি আনতে আমরাও কখনও-সখনও লাফিয়ে পড়তাম ফুটবলের পিছু পিছু। নদ আর নদের পার ঘিরেই ছিল আমাদের যত খেলা। দাড়াইনের পানিতে ‘লাই’ [জলক্রীড়া] খেলাই হতো বেশি। আরও কত কী খেলা! আর সাঁতার-প্রতিযোগিতা? সেটা তো আবশ্যিক থাকতই। ভাটির প্রয়াত সাধক শাহ আবদুল করিমের সেই গানের মতই যেন-‘পানিতে লামিতাম সাঁতার খেলিতাম’।
কেবল কি সুখলাইন? নবম শ্রেণি অবধি আমাদের বাসা ছিল ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে। এরপর বাজারের পাশ্ববর্তী ডুমরা গ্রামে আমাদের বসতি হয়। সেই বসতের আগে দাড়াইন নদই ছিল আমাদের গোসলের নিয়মিত স্থান। তখন সহপাঠী দেবাশীষ আর রুবেলের সঙ্গে সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে নদের পারে যেতাম। আরও অনেকের মতো আড্ডা আর হই-হুল্লোড়ে গোসল সারতাম। ঘাটে বাঁধা বড়ো বড়ো ধান কেনাকাটার কাজে ব্যবহৃত নৌকার গলুই আর ছই থেকে লাফিয়ে পড়তাম দাড়াইনের বুকে। একবার ভুলবশত সোজা হয়ে পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার বদলে পেট পানি বরাবর রেখে ঝাঁপ মেরেছিলাম। তৎক্ষণাৎ সে কী জ্বলুনি! অনুভূতিটা ছিল এমন, পেট ছিঁড়েছুড়ে যেন নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে এসেছে!
আমাদের, মানে দেবাশীষ, রুবেল ও আমার, গোসলের প্রিয় বার ছিল শুক্রবার। কারণ, সেদিন স্কুল বন্ধ। তাই অনেকক্ষণ ধরে গোসল করা যেত। রুবেল নামাজ পড়তে মসজিদে যেত সাড়ে বারোটার দিকে। তাই ওইদিন আমরা সকাল থেকে বেলা সাড়ে এগারোটা বা পৌনে বারোটা পর্যন্ত গোসল সারতাম। সেদিন নদের পারে বসে গল্পগুজবও বেশি হতো। কোনো দিন আমরা বাজার-সদাই করতে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে যাওয়া কারও পারে ছড়ি গেঁথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা নৌকা নিয়ে নদের পানিতে বইঠা-দাঁড় বাইতে-বাইতে অনেক দূর চলে যেতাম। দেবাশীষ গান ধরত, তার প্রিয় শিল্পী মনির খানের গান। কখনো-বা খালিদ হাসান মিলু অথবা নকুল বিশ্বাসের গান। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি শেষে যখন ঘাটে ফিরতাম, তখন কোনোদিন দেখতাম নৌকার মালিক তন্নতন্ন করে তাঁর নৌকা খুঁজছেন আর গালিগালাজ করছেন। আমরা নৌকা তীরে রেখেই পানিতে ঝাঁপ দিতাম। ওই লোক গজগজ করতে-করতে আর গালি দিতে-দিতে বইঠা বেয়ে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে চলে যেতেন। অবশ্য দাড়াইন নদের পাশে তিনটে ছোটো-বড়ো পুকুরও ছিল। মাঝেমধ্যে আমরা সেসব পুকুরেও গোসল করতে যেতাম।
প্রায় শুক্রবারে দেবাশীষ, রুবেল ও আমি দাড়াই নদের পারে এসে একটা খেলা খেলতাম। সেটা হলো ‘গেরগেরি রোগে ধরা খেলা’। এটা আমাদের নিজস্ব-উদ্ভাবিত খেলা। এই খেলার নিয়ম হচ্ছে, একজন হঠাৎ করে স্ট্যাচুর মতো হয়ে যাবেন। যে স্ট্যাচু হবে, সে কোনো ধরনের নড়াচড়া করতে পারবে না। এমনকী কথাও বলতে পারবে না। কেবল কেউ একজন তার শরীরে ফুঁ দিলেই সে পুনরায় আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে নড়াচড়া করতে পারবে। তো, সে-রকমই এক শুক্রবারে একদিন হঠাৎ রুবেল দাড়াইনের পারে হাত-পা বাঁকা করে অনেকটা গুঁজো হয়ে স্ট্যাচু হয়ে যায়। দেবাশীষ আর আমি ফন্দি আঁটি, মিনিট দশেকের আগে আমরা আর ফুঁ দেব না! এতে রুবেল বুঝবে, স্ট্যাচু হওয়ার মজা। আমরা আর ফুঁ দিই না, রুবেলও আর স্বাভাবিক হতে পারে না। এভাবে মিনিট দশেক কাটে। যখন আমরা ফুঁ দিয়ে রুবেলকে পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিই, তখনই দেখি স্কুলের রাগী স্যারদের একজন বিধূ স্যার দাড়াইন নদের দিকে আসছেন। স্যারকে দেখেই দেবাশীষ আর আমি নদে চুপিসারে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটা নৌকার আড়ালে লুকোই। যেহেতু স্যার রুবেলের পেছনের দিক দিয়ে আসছেন, তাই সে আর বিষয়টি টের পায়নি। রুবেল তাই সেই স্ট্যাচু অবস্থাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
স্যার ধীরে ধীরে রুবেলের কাছে আসেন। একটু অবাক হয়ে জনমানবহীন শূন্য নদের ঘাটের দিকে তাকান আর একবার রুবেলের দিকে তাকান। আমরা নৌকার আড়াল থেকে টের পাই, স্যার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। রুবেল কেন এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা স্যার কল্পনাও করতে পারছেন না। দ্বিধাদ্বন্দ্বে নিমজ্জিত স্যার রুবেলের কাঁধে হাত দিয়ে মৃদু ধাক্কা দেন। রুবেল মনে মনে ভাবে, হয়তো আমাদের কেউ তাকে ধাক্কা দিয়েছি। তাই সে না-পারতে খেলার নিয়ম কিছুটা লঙ্ঘন করে বলে, ‘অ্যাই, ফুঁ দে!’ তখনই স্যার হাঁক দেন, ‘অসভ্য!’ পেছন ঘুরে রুবেল তাকাতেই ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে। ‘ও মাই গো, স্যার!’ বলেই সে দাড়াইনে ঝাঁপ দেয়। হতভম্ব স্যার আগাগোরা কিছু বুঝতে না-পেরে নদের পার ধরে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করেন।
দাড়াইন নিয়ে তো স্মৃতির শেষ নেই। সেই ছোটোবেলায়, বয়স যখন ছয়, বাবা সাঁতার শেখানোর জন্য পেটের দু-পাশে দুটো শুকনো নারকেল বেঁধে ছেড়ে দিতেন মাঝ-নদে। ভয়ে আর আতঙ্কে হাত-পা ছুড়ে সাঁতরে নদের পারে আসার সে কী প্রাণপণ চেষ্টা থাকত! এভাবে কিছুদিন চলার পর নারকেল ছাড়াই মাঝ-নদে ছেড়ে দিতেন বাবা। ডুবে যেতাম, ভাসতাম। পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয়ে কোনোরকম সাঁতরে তীরে পৌঁছতাম। নদের কত ঘোলা পানি যে পেটে ঢুকেছে, তার কোনো হিসাবপত্তর নেই! দাড়াইন এভাবেই ঢেউ আর গভীর পানিতে বুক চিতিয়ে চলতে শেখায়! এর বহুদিন পর একবার, এক বর্ষায় সুখলাইন থেকে হাতে-বাওয়া নৌকায় ঘুঙ্গিয়ারগাঁও ফিরছিলাম। দাড়াইন নদের কাছে পৌঁছতেই ঝড় আসে। বাতাসে নৌকা কাত করে মুহূর্তেই ডুবিয়ে দেয়। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। চারপাশ ঢেকে আছে অন্ধকারে। কেবল বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ। সেই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি। কী ভয়ংকর অবস্থা! বাবার শেখানো ছয় বছর আগের সেই সাঁতার প্রথমবারের মতো সেদিন কাজে লাগল। বারো বছরের আমি বুক চিতিয়ে বজ্রপাতের আলোয় গুমোট অন্ধকার ভেদ করে অন্য অনেকের সঙ্গে সাঁতরে তীরে উঠি।
দাড়াইন ঘিরে আরেকটা স্মৃতি বেশ সজীব। তখন তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। বড়ো বোনের সঙ্গে তখন প্রায়ই গোসল সারতে দাড়াইনে যেতাম। এ-রকমই একদিন গোসলের সময়ে বোনোর স্বর্ণের নোলক (নাকি গলার হার?) হারিয়ে গিয়েছিল। স্বর্ণালংকারটি খুঁজে পাওয়ার আশায় পানিতে ডুব দিতে-দিতে বোন চোখ টকটকে লাল করে ফেলেছিল। আর আমি পারে বসে-বসে মৌসুমি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সদ্যশেখা আল মাহমুদের ‘নোলক’ কবিতা মনে করার চেষ্টা করছিলাম,
‘আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।
নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তোমার কাছে?
হাও দিও না আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে।’
বোন স্বর্ণালংকার খুঁজছে আর আমি কবিতা পড়ছি। কিন্তু নোলকের/হারের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আমরা তখনও ছোটো। দাড়াইন ঘিরে নানা ধরনের গল্প আর লোকশ্রুতি শুনতাম। নদের মধ্যে থাকা জলরাক্ষস আর দেও-দৈত্যদের গল্প। বিশেষত গ্রামের বাড়িতে গেলে সমবয়সি কাছ থেকে আতঙ্ক আর ভয়-জাগানিয়া নানা গল্প শুনতাম। তারা বলত, সুখলাইন গ্রামের পাশে যে খেলার মাঠ, আর মাঠের পাশে যে মানুষ পোড়ানোর চিতা, সেখানে প্রতি অমাবস্যা রাতে মানুষের আত্মারা ঘুরে বেড়ায়, নদের তীরে বসে অতৃপ্ত আত্মারা কাঁদে-গোঙায়। আর পূর্ণিমা রাতে জলপরিরা দাড়াইনের বুকে জলখেলায় মেতে ওঠে। দেও-দৈত্যদের গল্প শুনে শরীরের লোমকূপে কাটা দিত আর পরিদের গল্প শুনে আনন্দে উচ্ছ্বলিত হতাম।
সেই সময় পেরিয়ে এসেছি। কিন্তু গল্পগুলো এখনও গেঁথে আছে মনে। মনে আছে নগেন্দ্র ফুপার কথা। যিনি কি না বাসায় বেড়াতে এলে আমাকে গল্প শুনাতেন। তাঁর গল্পের প্রধান চরিত্রগুলো জীবন্ত ছিলেন, কখনও কখনও নিজেই ছিলেন সেই ঘটনার চরিত্র। নিজের চোখে দেখা দেও-দৈত্যদের গল্প শুনাতেন তিনি! ভয় পেয়ে শীতের সন্ধ্যায় লেপের নিচে থেকেও টকটক করে কাঁপতাম আর ঘামতাম। তাঁর মুখেই শুনেছি ভর দুপুর কিংবা গভীর রাতে দাড়াইন নদের মধ্যে থাকা জলরাক্ষস আর দেও-দৈত্যদের বসবাসের গল্প! কিংবা কানকলা গ্রামের পাশে দাড়াইন নদের তীরে যে অংশে বাছুরপুতা-যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তিদের পোড়ানো হয়। সেখানে নদের মধ্যে অমাবস্যা রাতে দেও-ভূত-পেত্নীদের আনাগোনা থাকে। কত লোকশ্রুতি জড়িয়ে ছিল সেই বাছুরপুতাকে ঘিরে। ফুপাই বলেছিলেন, এক রাতে তাঁকে ভূতে পাওয়ার গল্প। তিনি ডিঙি নৌকা বেয়ে ভররাতে যাচ্ছিলেন দাড়াইন নদ ধরে তাঁর বাড়ি যাত্রাপুরে। পথিমধ্যে কানকলার বাছুরপুতা এলাকায় এসে দেখেন, মাটি আর আসমানসমান এক দেও দাঁড়িয়ে আছে। ঘটনার বর্ণনা এমনভাবে তিনি দিয়েছিলেন, সে বয়সে সেটাই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছিল। আহা, কী দিন ফেলে এলাম পেছনে!
সেই কতকালের পরম্পরায় এখনও দাড়াইনের বুকে ঠুকরে ঠুকরে মাছ শিকার করছে মাছরাঙা কিংবা কানি বগের ছা। ইঞ্জিনচালিত নৌকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখনও দাড়াইন দিয়ে চলে হস্তচালিত লাল-নীল পালতোলা নৌকা। এখনও দাড়াইন নদ দিয়ে ঘোমটা মাথায় নানা গ্রামের গৃহবধূ গস্তি নৌকায় করে নাইওরি যান বাবার বাড়িতে। তবে সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে সকলের অলক্ষে নদের ঘাটে গ্রাম্য তরুণীর হাতে কোনো এক যুবকের গুঁজে দেওয়া জবাফুলের বিচ্ছিন্ন পাপড়ি এখনও দাড়াইন দিয়ে ভেসে যায় কি না, জানি না! দাড়াইনের বুকে আগেকার মতো আর নৌকাবাইচ হয় কি না, তা-ও তো নেই জানা। আসলে সেই কতকাল আগে নগরবাসী হওয়ায় জানি না এখন অনেক কিছুই। কিন্তু আমাদের এ জানা না-জানায় কিছুই আসে না দাড়াইনের।
কখনও উত্তাল কখনও শান্ত এই দাড়াইন নদ নিয়ে কোনো কবিতা-গান-গল্প-উপন্যাস রচিত হয়নি। তিতাস, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, কপোতাক্ষ, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, সুরমা কিংবা আরও-আরও নদ-নদীর মতো কোনো সাহিত্যিকের এক চিলতে লেখায়ও ঠাঁই হয়নি সুদর্শন দাড়াইনের। তবু নিজের মতো চুপচাপ নিরবধি বহে চলছে অভিমানহীন দাড়াইন নদ। এর অস্তিত্ব কেবল ভূমিতে, আমাদের মনেও।
সুমনকুমার দাশ : সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক।