উত্তরের নদী সম্পদ বাঁচাবো, নদীকৃত্য দিবসে এটাই অঙ্গীকার

আগামী ১৭ মার্চ কলকাতার রামলীলা ময়দানে হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই প্রথমবার নদী নিয়ে গণ সমাবেশ। সেখানে উত্তরবঙ্গের একজন প্রতিনিধি হিসাবে যে যে বিষয়গুলো তুলে ধরবো তা লেখার আকারে প্রকাশ করছি।

উত্তরবঙ্গের দাবী সমূহ যা গণ সমাবেশে তোলা হবে:

এক)  আত্রেয়ী নদীর জলবন্টনের প্রশ্নে ভারত-বাংলাদেশ আলোচনার মীমাংসা কবে হবে? এবং আত্রেয়ী নদী দিয়ে ভারত -বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন চালানোর পরিকল্পনা বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে?

দুই) শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীকে বাঁচাতে মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছিল একসময়। এখন তার কোন খবর নেই। প্রশ্ন হচ্ছে শিলিগুড়ির মহানন্দার দূষণ মোকাবেলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কবে হবে? পরিকল্পনা কি আছে? মালদার মহানন্দা নদীকেও পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা নিতে হবে।

তিন) রায়গঞ্জের কুলিক নদীর জন্য কুলিক রেজুভিনেশন প্রকল্প কেন বন্ধ হল? আবার শুরু হবে কবে?

চার) শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী, জলপাইগুড়ির করলা, মালদার বেহুলা, গঙ্গারামপুরের ব্রাহ্মণী নদীকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।

পাঁচ) তিস্তা, তোর্সা, পুনর্ভবা, টাঙ্গন সহ উত্তরবঙ্গের যত আন্ত:সীমান্ত নদী আছে তার জলবন্টনের প্রশ্নে সুষ্ঠ সমাধান চাই। সেই দাবি জোরালো ভাবে তুলছি। এই নদীগুলির জলের সাথে কৃষিজীবীদের জীবন জড়িত।

ছয়) উত্তরবঙ্গের নদী গুলিতে অবাধ বালি উত্তোলন ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। তার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা বন্ধ করতে হবে।

সাত) উত্তরের নদীগুলোতে ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তা রোধে সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে।

আট) তোর্সা, টাঙন সহ অন্য নদীকে আবর্জনা ক্ষেত্র হিসাবে তৈরি করা চলবে না।

নয়) উত্তরের নদী গুলি মৎস্য সম্পদে ভরপুর ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে। মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা আক্রান্ত। মৎস্যবৈচিত্র্য ফিরিয়ে নিয়ে আসা ও মৎস্যজীবীদের অধিকার সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

দশ) পাহাড় থেকে সমতল- নদীগুলির চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নদীনির্ভর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং নদীগুলিকে ভাল রেখে নদীনির্ভর সুস্থায়ী পর্যটনের ব্যবস্থা নিতে হবে। যা কর্মসংস্থানের দিশা দেখাবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়