কলকাতা : উওর২৪পরগনার গোপালনগর থানার অন্তরগত গোপালনগর গ্ৰামের কাছেই ইছামতি নদীথেকে উৎপত্তি হয়ে চৈতি নদী প্রায় ৭০কি .মি. পথ পেরিয়ে মিলিত হয়েছে যমুনা নদীতে।নাতিদীর্ঘ এই নদীর কোলেই জন্মনিয়েছে প্রায় ৩০টি গ্ৰাম। গ্ৰামের মানুষের জীবন জীবিকা, সামাজিক আচার অনুষ্ঠান সকল কিছুই আবর্তিত হতো এই নদীকে ঘিরেই।
কিন্তু বর্তমানে যমুনা ও ইছামতি উভয় নদীর মৃত্যুর কারণে চৈতি ও হারিয়েছে তার স্বাভাবিক ছন্দ। তার ওপর নদী দখল করে বাড়ছে চাষাবাদ।নদী বুজিয়ে গজিয়েউঠছে মাছেরভেড়ি। কয়েক বছর পর আবার সেই ভেড়ি বুজিয়ে গড়েউঠছে নতুন বসতি। চাষের জন্য বাড়ছে ভূগর্ভস্থ জলের তোলার পরিমান।
কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী পরিবার তাদের পেশা হারিয়েছেন। বাড়ছে আর্সেনিকের প্রভাব। নদী এখন কর্যত অভিশাপে পরিনত হয়েছে স্থানীয় মানুষের কাছে। বর্ষায় যেমন প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী গ্ৰামগুলি তেমনই আবার গ্ৰীষ্মকালে নদীখাতের মধ্যে গজিয়ে ওঠা চাষের জমিতে পাম্পের জলদিয়ে চাষাবাদ চলছে।
যমুনা নদীর প্রায় ১১টি শাখা নদীর মধ্যে এই চৈতি ছিল অন্যতম। চৈত্র মাসেও এটি স্রোতস্বিনী থাকার কারণেই এর এইরকম নামকরন হয়েছিল বলে অনেকেই মনেকরেন।
বর্তমানে চৈত্র তো দূর ভরা বর্ষা ছাড়া এখানে জল ই থাকে না। বাংলায় এমন বহু ছোট নদী, উপনদী ছিল যাদের ভালবাসায় স্নেহে লালিত পালিত বহুগ্ৰাম ও জনপদ। আজ বড়ই অসহায় সেই নদী ও জলাভূমি গুলি, যাদের কোন হিসাব ও খতিয়ান আমাদের কাছে নেই। এই ভাবেই সভ্যতার জন্মদাত্রীরা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
পড়ুন, অনুপ হালদার’র আরো একটি লেখা…
বাঁধালে বিপন্ন মাথাভাঙ্গা নদী
কলকাতা সবুজমঞ্চের পশ্চিমবঙ্গের নদী বাঁচাও কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। যুক্ত আছেন বিজ্ঞান দরবার নামের একটি সংগঠনের সাথে। সংগঠনটি ১৯৯০ সাল থেকেই নদীও ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে কাজ করে। এছাড়া তিনি নদীয়া, হুগলী উত্তর ২৪পরগনা, ও দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার হারিয়ে যাওয়া নদী নিয়ে (vedio & stil photography documentation) কাজ করছেন।