নদীর সুরক্ষায় ভূমিকা নিতে পারে নারী ও

বলা হয় প্রকৃতির সাথে নারীর প্রকৃতিগতভাবেই মিল আছে। নদী তো প্রকৃতির অঙ্গ।এ নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে রিভার বাংলাতেই একটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম। সেখানে বলবার চেষ্টা করেছিলাম নদীর সাথে নারীর সম্পৃক্ততা নিয়ে। আজ ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর অ্যাকশন অফ রিভার্স। আজ বলতে চাই নদীর সুরক্ষায় নারীর ভূমিকা প্রবল। আর এটাই এবারের এই নদী দিবসের থিম। নদী রক্ষায় বরাবর দুটো কর্মধারাতে বিশ্বাস করেছি। একটা নদী সচেতনতা অভিযান।আরেকটা হলো অ্যাকশন। অর্থাৎ নদীর কথা বলতে প্রয়োজনে রাস্তাতে নামতে হবে। শুধু কথা নয়, কাজ করতে হবে। এই ধারায় বিশ্বাসী হয়ে দু’হাজার ছয় সাল থেকে শুরু করেছিলাম…

নদী আমাদের সম্পদ, তাকে রক্ষার দায় কার?

উৎসবে নদী দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়, দূষণ মোকাবিলায় করনীয় কি?

নদীমাতৃক বা নদীবিধৌত  ভারতবর্ষের সম্পদ নদী।নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠা জীবন-যাপন- জীবিকা- সংস্কৃতি।অথচ ভারতবর্ষে নদী বাঁচাতে অনশন করতে হচ্ছে।কিছুদিন আগে একজন অনশনকারী মৃত্যুবরণ করলেন।পাঠক বুঝতেই পারছেন জি.ডি.আগরওয়ালের কথা বলছি।এর থেকে লজ্জার কিছু আছে?আর পশ্চিমবঙ্গে কেমন আছে নদী?বর্তমান পরিস্থিতি যা তাতে নদী কি আর থাকবে আমাদের রাজ্যে? পার্শ্ববর্তী দেশের দিকে তাকাই।আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ।কি অবস্থা সেখানে?গত আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের শান্ত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাতে অ্যাকশন এইড আয়োজিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক জল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে সেখানকার নদীভিত্তিক পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হলো।নদীমাতৃক বলতে যা…

প্রিয় নদী, প্রিয় বোন আমার : সঞ্জীব দ্রং

প্রিয় নদী, প্রিয় বোন আমার

।। সঞ্জীব দ্রং ।। ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ শিরোনামে প্রথম আলো ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ আয়োজনে সচিত্র প্রতিবেদন করেছে তুরাগ, বালু  বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদ–নদী নিয়ে। নদ–নদীর এই করুণ রুগ্‌ণ দশা দেখে সবার মন ভারাক্রান্ত হওয়ার কথা। এসব নদ–নদী মরে যাচ্ছে। নদ–নদীগুলোকে হত্যা করা হচ্ছে। নদ–নদী দখলকারী ও দূষণকারীরা তাদের সন্তানদের কথা, পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবে না। নগদ মুনাফাই তাদের মুখ্য। অথচ এই নদ–নদীগুলোকে যত্ন করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। শৈশবে নদীর যে রূপ দেখেছি, নদী বলতে চোখের সামনে যে ছবি এখনো ভেসে ওঠে, তার বিচারে এসব নদ–নদী এখন…

আত্রেয়ী দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ লঞ্চ চলবে, এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায় 

আত্রেয়ী দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ লঞ্চ চলবে, এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায় 

হ্যাঁ।ঠিক তাই। এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায়। নদীপথে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একদিন লঞ্চ চলবে। যাত্রীবাহী এবং পন্যবাহী-এমন আশা তো করতেই পারি আমরা। যেখানে এই ব্যবস্থা একসময় ছিল এবং তার মাধ্যমে ব্যবসা বানিজ্য হতো পুরোদস্তুর। যদিও সেটা লঞ্চের মাধ্যমে হতো না।হতো বজরার মাধ্যমে।সেই পন্যবাহী ব্যবস্থাপনা যদি ফিরে আসে তাহলে তার থেকে ভালো কিছুই তো হতে পারে না। তার সঙ্গেই যাত্রীবাহী লঞ্চ যদি চলাচল করে ভারত-বাংলাদেশ আত্রেয়ী নদী পথে তাহলে সেটা কম রোমাঞ্চকর হবে না। সম্প্রতি লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকা সদরঘাট থেকে পটুয়াখালি জলপথে যাওয়াতে সেই সম্ভাবনার কথাই মনে এলো। আমাদেরও তো…

আত্রেয়ী কিংবা আত্রাই নদী সুরক্ষা: সমগ্র দক্ষিন এশিয়ায় একটা উদাহরণ হবে কি?

আত্রেয়ী নদী

সম্প্রতি বাংলাদেশের শান্ত সমাহিত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাতে অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কনফারেন্স। যার পাশেই রয়েছে পটুয়াখালি পাখিমারা বাজার। এখানেই রয়েছে এশিয়ার একমাত্র ওয়াটার মিউজিয়াম। সে এক অন্য রকম ভাবনা। জলকে কেন্দ্র করেই যে একটা মিউজিয়াম গড়ে তোলা যায় তা দেখে বিস্মিত হতে হয়। সে নিয়ে লিখবো অন্য একদিন। ফিরে আসি আন্তর্জাতিক জল সম্মেলনের কথায়। ভারতবর্ষের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থেকে আমাদের প্রাণের আত্রেয়ী নদীকে আরো একবার নতুনভাবে উপস্থাপিত করলাম। নতুন বিষয়টি কি? আসলে অ্যাকশন এইড আয়োজিত এই জল সম্মেলনের বিষয়বস্তু ছিল “রিভার-এ লিভিং বিয়িং”। নদী যে জীবন্ত সত্ত্বা তাকেই কেন্দ্রে…

নদীর জন্য আত্মবলিদান করছেন মানুষ : আসুন আমরাও সোচ্চার হই

Tapas Das

সনাতন ভারতবর্ষকে চেনা হয় সাধু-সন্তদের দেশ রূপে। কিন্তু একের পর এক সাধু সন্যাসীর বেশধারী ভন্ডের কৃত্তিকলাপ আর রাজনৈতিক নেতাদের অযাচিত ধর্মীয় ভাবাবেগে অনুপ্রবেশ ঘটেছে আমাদের দেশে। ফলে “ধার্মিক বা সন্ন্যাসী” শব্দ সন্দেহ আর ভীতির সঞ্চার করছে । সঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদীর হাতে একের পর এক প্রগতিশীল মানুষের হত্যা, দেশদ্রোহী,শহুরে নকশালের নামে কবি লেখক চিন্তাবিদ, সমাজ কর্মীদের অনৈতিক গ্রেপ্তার হচ্ছে যা সাধারণ মানুষের মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে চলছে। দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে। সনাতন ভারতবর্ষে ছিল প্রকৃতি নির্ভর জীবন যাপন, প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি এবং প্রকৃতি এবং মানুষের নেওয়া ও…

নদী চেতনা বাড়াতে নদীপাড়ের মেলা আয়োজক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া উচিত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পাড়ে দশহরা মেলা । ছবি- বাংলার ডাক ।

একথা বলতে ভাল লাগছে যে বিভিন্ন ভাবেই মানুষের মধ্যে নদী চেতনা বাড়ার নমুনা বা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। নদীর কথা উঠে আসছে অনবরত সংবাদমাধ্যমে। সমগ্র পৃথিবীতেই নদীর কথা বলতে শুরু করেছেন নদীকর্মীরা। প্রশাসন কখনও কখনও বাধ্য হচ্ছে নদীকে কেন্দ্র করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে। আবার এটাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে প্রশাসন নিজেরাও চেতনা বৃদ্ধির নমুনা প্রদর্শন করছে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে নিজেরাই নদী সুরক্ষার কাজ করছে। নদীকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। এখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চাই।তা হল নদীর পাড়গুলিতে বিখ্যাত সব মেলা হয়।এবং তা হয় বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন…

আত্রেয়ী নদী সাফাই : ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা

শীতের রবিবার ছুটির দিনে যখন আর পাঁচজন আয়েসে বা ব্যক্তিগত কাজে সময় কাটাচ্ছিলেন তখনই আত্রেয়ী নদীর পারে জড়ো হয়েছিলেন একদল প্রবীণ। কবিতা পাঠ করলেন, গান গাইলেন আর শেষে করলেন নদী সাফাই। অমল বসু ,মৃনাল চক্রবর্তী, চঞ্চল শিকদার কনক, রঞ্জন তালুকদার ভক্ত, গোপাল ভট্টাচার্য, দিলীপ মজুমদার, নারু দত্ত দীপক মুখার্জিরা নদীর সমস্যা দূরীকরণে মতামত দিলেন। সুবীর চৌধুরী পাঠ করলেন নিজের লেখা কবিতা ‘নিজের মতো’। অমল কৃষ্ণ গোস্বামী এবং সুচিত্রা গোস্বামী গাইলেন নদীর গান। প্রবীণদের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিলেন সুপ্রিয় মোহান্ত, বিনায়ক কৃষ্ণ মজুমদার রিক গুহ। শেষে আত্রেয়ী নদীর সদরঘাটের অংশে প্রতীকী নদী…

নদীর জন্য জাগছে মানুষ

নদীকে ঘিরে সমস্যা যত প্রবল হচ্ছে তত মানুষও জোট বাঁধছে, জেগে উঠছে। শুধু আমাদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও নদী নিয়ে মানুষ কথা বলছে। ভারতের গঙ্গা কিংবা বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গার পরিস্থিতি কি সেটা সবাই জানে। এপারের আত্রেয়ী কিংবা ওপারের আত্রাই, এ দিকের যমুনা কিংবা ওদিকের ছোট যমুনা এমন নদীর সংখ্যা অসংখ্য যারা বিপন্ন। দূষণ, দখল, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, ভাঙ্গন, মাছ বৈচিত্র্য কমে যাওয়া, মৎস্যজীবীদের সঙ্কট, উঠে আসছে বিবিধ সমস্যা। তার সঙ্গেই এবার নদীকে ঘিরে সিন্ডিকেট রাজ মাথাচাড়া দিচ্ছে। এমন নয় যে এখনই হচ্ছে এসব। আগে থেকেই শুরু হয়েছে, এখন…

মৎস্যজীবীদের অধিকার সুনিশ্চিত হোক

Tuhin Shuvra Mandal

নদীর কথা এলে যাদের কথা আসবেই তারা হল মৎস্যজীবী। কারণ নদীর সাথে এদের যোগ সরাসরি। নদীই এদের জীবন, নদীকে ঘিরেই জীবিকা।বর্তমানে এরা বিপদে।আছে ভীষণ সংকটে। অথচ এদের কথা কেউ ভাবছে না, কেউ বলছে না।এদের নিয়ে কোন আলোচনা নেই। দূষণ ও অন্যান্য কারণে বহু নদীতে মাছের যোগান এখন কমেছে। এদিকে পরিবারের লোকসংখ্যা তো বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। মৎস্যজীবীদের পরের প্রজন্ম আর এই পেশায় আসছে না।এমনকি বর্তমান মৎস্যজীবীদের মধ্যেও অনেকে বাধ্য হচ্ছে পেশা পরিবর্তন করতে। অনেকে কাজের খোঁজে পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানেও নানান বিপদ। ভালো কাজ তো পাচ্ছেই…

সংসদ নির্বাচন : বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

জয়া ফারহানা>> একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা যত ব্যস্ত, তার চেয়েও বেশি ব্যস্ত তাদের পারিষদবর্গ। তারা জানেন, পরিবেশকর্মী প্রেসার গ্রুপের দাবি মোতাবেক নদী-বন-পাহাড় রক্ষায় ইশতেহারে যত ভালো কথাই লেখা থাক, ইশতেহারের আদর্শ প্রতিশ্রুতিগুলো ফাইলবন্দিই থাকবে। এমপি সাহেবকে নানা কায়দায় তোয়াজের মাধ্যমে যিনি সাইজ করতে পারবেন, এলাকার বন-নদী-পাহাড়-টিলা-খাল-বিল চলবে তারই ইশারায়, নির্দেশমাফিক। তোষামোদিতে যিনি ফার্স্ট হবেন, বাস্তবে পূরণ হবে তার খায়েশ। এরাই আমাদের নদীগুলোর বালু তুলে তুলে এগুলোকে এমন ব্যথা দিয়েছে যে, এখন হাতে আর এমন কোনো প্যারাসিটামল নেই, যা নদীর ব্যথা দূর করতে পারে। ভৈরব, রূপসা, কপোতাক্ষ, ইছামতি, মাথাভাঙা,…

দর্শনে নদীর নিত্যতা

Afzal H. Azam

যে ছেলে নদীর পাড়ে বসে কবিতা লিখে সে ছেলে কখনও গাঁজা খাবে না। যে মানুষ নদীর তীরে বাস করে তারা কখনও অলস হয় না। প্রকৃতির বৈরিতার সাথে যুদ্ধ করে সরল জীবনযাপন করবে।হাজার হাজার বছর ধরে আবহমান বাংলার জীবনযাত্রা সংস্কৃতি, সাহিত্য, সমাজ, শিল্প সবকিছু গড়ে উঠেছে নদী কেন্দ্রিক। আজ নদ- নদীগুলোর যৌবন হারানো মানে বাংলা মায়ের বন্ধ্যাত্ব নেমে আসা। ফুলে, ফলে, ফসলে, সোনার বাংলা আজ নেই। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি। হৃদ্যতার ভাটা পড়েছে মানব সমাজে। নদীর কলকলানির মতো সহায়ক সমাজ ব্যবস্হা নেই। একটি ঊর্মি আরেকটি ঊর্মিকে নিয়ে সহাবস্হানের খেলা আর দূর্বার ছুটে…