নদী নিয়ে দিল্লি- ঢাকা বৈঠক চান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় দাবি তোলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনার ভিত্তিতে নদীকেন্দ্রিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধানে একটা স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। সপ্তাহখানেক আগেই বিধানসভায় পানির প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশ ইলিশ বন্ধ করেছে। তিস্তার জল দিতে পারিনি। তবে দিতে পারলে খুশি হতাম।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির বিধায়ক নর্মদাচন্দ্র রায় এ দিন বিধানসভায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে যে-সব নদী এ রাজ্যে ঢুকেছে, বর্ষার পরে প্রতিবেশী দেশ সেগুলিতে বাঁধ দিচ্ছে। ফলে বিভিন্ন…
Category: আন্তর্জাতিক
তিস্তা নিয়ে যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিদেশ ডেস্ক: তিস্তা ইস্যুটি নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে তিস্তা নদী নিয়ে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি, তাই ওরা আমাদের ইলিশ দেওয়া বন্ধ করেছে।’ বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক রহিমা বিবির প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালি মাছে-ভাতে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি। তাই ওরা আমাদের ইলিশ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুদেশ। কিন্তু জল নেই, তাই কোথা থেকে জল দেব?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা ইলিশ মাছ…
নদী ও খাঁড়িকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে জলের ধারের মানুষ
দক্ষিণ দিনাজপুর [ কলকাতা, ভারত ] থেকে>>> ডাঙ্গা খাঁড়ি একটা সম্ভাবনা। এক অনন্ত সম্ভাবনা। যা পরিপার্শ্বকে বদলে দিতে পারে। কিন্ত সম্ভাবনার উল্টো পিঠে থাকে সমস্যা। যা এতদিন ছিল ডাঙ্গা খাঁড়ি। মূর্তিমান এক সমস্যা। কিন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের ভাবনা ও উদ্যোগে তা বর্তমানে নতুন এক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। বুধবার তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৃত্তিবাস নায়েক প্রমুখ। প্রথমেই বলে রাখা যাক যে ডাঙ্গা খাঁড়ির যোগ আছে জেলার প্রধান নদী আত্রেয়ীর সাথে। সংযোগ এতটাই যে ডাঙ্গা খাঁড়ি আত্রেয়ী খাঁড়ি নামেও পরিচিত। বালুরঘাটের মানুষ স্বপ্ন দেখেছে ও…
আত্রেয়ীর কথা সংসদে তুলবো: জেলা প্রেস ক্লাবে মূখোমুখি সাংসদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেস ক্লাব। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। বহু ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে এই ক্লাবটির সাথে। আজ বিয়াল্লিশ বছর ধরে সংবাদ পরিবেশনে নির্ভীকতা বজায় রাখাই জেলা প্রেস ক্লাবের বৈশিষ্ট্য । সেই ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাবের একটা প্রথা নির্বাচিত সাংসদকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন। সেই জন্য গতকাল রাতে প্রেস ক্লাবের নিজস্ব সভাঘরে সংবর্ধিত হন নব নির্বাচিত সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শুভেন্দু সরকার। প্রেস ক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অনুপ রতন মোহান্ত, সম্পাদক শঙ্কর কুমার রায়, বর্ষীয়ান সাংবাদিক পীযূষ কান্তি দেব, রাহুল বাগচী; অন্য সাংবাদিক দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীকান্ত ঠাকুর, সুবীর…
পুনর্ভবা’র ভাঙন: নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে স্কুল, আস্ত একটি গ্রাম
অবাক হচ্ছেন!! মনে করছেন পুনর্ভবা এমন করতে পারে? নদীটাই তো জলই থাকেনা।তাহলে? এবার নীচের ছবিটা দেখুন তো! কি মনে হচ্ছে?চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না? তবুও এটাই সত্যি। সাম্প্রতিক কালে যে নদীটা বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে তা হলো পুনর্ভবা। একশো ষাট কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, তিন থেকে আট কিলোমিটার প্রস্থ এবং গড়ে প্রায় দুই মিটার গভীরতার এই নদীটি গঙ্গারামপুর, তপন সহ চুয়ান্ন কিলোমিটার প্রবাহিত। মহাভারতে, সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উল্লিখিত এই নদীটার বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। বর্ষার দুই মাস ছাড়া যেমন জলই থাকে না এই নদীর। গত কয়েকদিন ধরে পুনর্ভবার সমীক্ষাতে…
পুনর্ভবা নদীর জলেই আছে ফ্লোরাইড সমস্যার সমাধান!
একটা নদীর জল কি পরিবেশ সমস্যার সমাধান হতে পারে? অবশ্যই হতে পারে।ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভয়ংকর ভাবেই ফ্লোরাইডে আক্রান্ত জেলা। জেলার পাঁচটি ব্লক ফ্লোরাইডে আক্রান্ত। ফ্লোরাইডের থেকে যে ফ্লুরোসিস রোগ হয় তার প্রভাব এই জেলায় ভয়ংকর ভাবে রয়েছে। দাঁতের এবং হাড়ের সমস্যা চূড়ান্ত। কিন্ত যারা এই ভয়ংকর সমস্যাতে আক্রান্ত তাদের অনেকেই জানেনা। ছোটরা তো নয়ই, এমনকি বড়রাও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন নয়। কিছুদিন আগে জেলার নন্দনপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত একটি গ্রামে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সেখানকার পড়ুয়া, অভিভাবক- অভিভাবিকা বিষয় সম্পর্কে জানেনই না। শুধু তো নন্দনপুর নয়…
বিশ্ব মা দিবস: আমরা কি নদীকে মা বলার যোগ্য ?
গতকাল গেল বিশ্ব মা দিবস। ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশে তো আমরা নদীকে মা বলে থাকি, মা বলে ডাকি। প্রায়শই বলা হয় নদীমাতৃক সভ্যতার প্রসঙ্গ। আর বলা হয় আমরা নদী মায়ের সন্তান। কিন্ত আদৌ কি আমরা নদীকে মা বলার যোগ্য সন্তান ? পুনর্ভবা, ব্রাহ্মণী, টাঙ্গন, ময়ূরাক্ষী, ইছামতি, গঙ্গা যে নদীর দিকেই তাকাই নদী আর নদী রাখিনি। ধূ ধূ মাঠ যেন। নদীর বুকে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে।নদীর জলে প্লাস্টিক- আবর্জনা- বর্জ্যের পাহাড়। নদীতে জল রাখতে পারিনি আমরা। আমরা- যারা নাকি নদী মায়ের সন্তান !! আজ এত দিন পরে হঠাৎই কিছু মানুষের মনে হচ্ছে নদী…
গঙ্গার জন্য কেন অনশন ভাঙলেন আত্মবোধানন্দ ?
গঙ্গা নদীর জন্য অনশন শুরু করেছিলেন অধ্যাপক গুরুদাস আগরওয়াল যিনি জ্ঞান স্বরুপ সানন্দ নামেও পরিচিত। তাঁর দেখানো পথে গঙ্গা নদীর অবিরলতা ও নির্মলতার দাবীতে গত বছরের চব্বিশে অক্টোবর থেকে হরিদ্বারের মাতৃসদনে অনশন শুরু করেছিলেন ছাব্বিশ বছরের তরুণ। মূলত গঙ্গা নদীর গতিপথ রোধ করে বাঁধ নির্মাণ, অবৈধ পাথর খাদান বন্ধ ও পরিচ্ছন্নতার দাবী ইত্যাদি ছিল অনশনের কারণ।একশো চুরানব্বই দিনের মাথায় সেই অনশন তুলে নিলেন আত্মবোধানন্দ । কিন্ত কেন? কারণ এর আগে একটি নির্দেশ দেওয়ার পর আবার ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব রঞ্জন মিশ্র লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে গঙ্গার…
এই জয় নদীর পক্ষে লড়াইয়ের জয়
খবরটা এল বিকেল আর সন্ধ্যের মাঝামাঝি সময়ে। সকাল থেকে কর্মব্যস্ততার মাঝে যে সময়ে নতুন খবরেরা আসে ঠিক সেই সময়। আত্মবোধানন্দের অনশনের সংকল্প বৃথা যায়নি। বৃথা যায়নি অধ্যাপক গুরুদাস আগরওয়াল তথা স্বামী সানন্দজির আত্মবলিদানও (নাকি পরিকল্পিত হত্যা?)। সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে নদী ও পরিবেশ কর্মীরা আত্মবোধানন্দের অনশনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মনে রাখতে হবে এই সময়টাই সেই সময় যখন বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে নদী পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। হরিদ্বার মাতৃসদনের সন্যাসীদের যে সংকল্প শুরু হয়েছে এই জয় সেই সংকল্পের। কি সেই জয়? ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার ডিরেক্টর জেনারেল চিঠি দিয়ে আজ হরিদ্বারের জেলাশাসকে গঙ্গার প্রবাহপথে,…
গঙ্গাপুত্র ব্রহ্মচারী আত্মবোধানন্দজীর আমরণ অনশনের সমর্থনে পদযাত্রা
কলকাতাতে গঙ্গার জন্য ও গঙ্গাপুত্র ব্রহ্মচারী আত্মবোধানন্দজীর আমরণ অনশনের সমর্থনে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। পদযাত্রা আগামী ২৮শে এপ্রিল, (রবিবার) সকাল আটটায় বাগবাজার ঘাট থেকে শুরু হবে। অবিরল ও নির্মল গঙ্গার দাবিতে হরিদ্বারের মাতৃসদন আশ্রমে ২৭ বছরের তরুণ সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারী আত্মবোধানন্দজী ১৮০ দিনের উপরে অনশন করে যাচ্ছেন ; সরকার থেকে বিরোধীপক্ষ কেউই মাতৃসদন আশ্রমের অবিরলতা ও নির্মলতার দাবি নিয়ে এখনো আগ্রহী নয় | আগামী ২৭ এপ্রিল ব্রহ্মচারী আত্মবোধানন্দজী জল ত্যাগ করবেন | এই রকম চূড়ান্ত মুহূর্তে অবিরল ও নির্মল গঙ্গা আন্দোলনের সমর্থনে পাশে দাঁড়াতে “The Green Walk” ও “নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন”…
নদী ও পরিবেশ দূষণে প্রধান দূষক প্লাস্টিক
একথা আজ সবাই জানে ও মানে যে প্লাস্টিক সভ্যতার বিনাশকারী। বিশেষত নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিষয়টিতে সবাই ওয়াকিবহাল। আগে যেমন চল্লিশ মাইক্রনের কম পুরু ক্যারিব্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বর্তমানে তা পঞ্চাশ মাইক্রনের বিষয়ে জারি আছে।কিন্ত শুধু তো ক্যারিব্যাগ নয়, বিভিন্ন প্লাস্টিক পানীয় বোতল, প্লাস্টিক প্যাকেজিং- এসব? এসব কি দূষণ ছড়ায় না? আবার প্লাস্টিকের উপজাত পদার্থ, থার্মোকল ইত্যাদি থেকেও তো দূষণ ছড়ায়। কেন উঠে আসছে সেকথা? নববর্ষের সকালে দধীচি ও প্রত্যুষ আয়োজিত বর্ষবরণ আড্ডায় যাওয়ার আগে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেল এইসবেই ভরে আছে নদীবক্ষ।আর সরাসরি যা নদীর জলে গিয়ে মিশছে। নববর্ষের এই…
কলকাতা প্রেস ক্লাবে আলোচনা: নদী ও পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিক রাজনৈতিক দলগুলো
কলকাতা: রাজ্যের বিশিষ্ট নদী ও পরিবেশ কর্মীদের উপস্থিতিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘ ভোট ও পরিবেশ’ নিয়ে আলোচনা হল শনিবার দুপুরে। উদ্যোক্তা ছিল রাজ্যের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির যৌথ সংগঠন সবুজ মঞ্চ। আর তাতেই অংশ নিয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আলোচনা আয়োজনের পিছনে মৃল ভাবনা ছিল নির্বাচনী ইস্তেহার। কোন্ রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে কতটা নদী ও পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েছে তাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। উদ্যোক্তা সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত, শশাঙ্ক দেব শুরুতে আলোচনার মুখবন্ধ করে দেন। নদী ও পরিবেশের ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির অম্বুজ মোহান্তি,…