স্বপ্ন দেখি দুই দেশে একসাথে নদী- পরিবেশের পাঠশালা গড়ছি

স্বপ্ন দেখি দুই দেশে একসাথে নদী- পরিবেশের পাঠশালা গড়ছি

হ্যাঁ, স্বপ্ন দেখছি ।আর সেই স্বপ্ন ঘুমিয়ে নয়।জেগে থেকে।ড.এ পি জে আব্দুল কালাম যা একবার বলেছিলেন তার বাংলা ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায় ” মানুষ ঘুমিয়ে যেটা দেখে সেটা স্বপ্ন নয়।যা মানুষকে ঘুমোতে দেয়না সেটাই স্বপ্ন ।” প্রকৃতি ও পরিবেশের উপাদানই তো নদী।তাই নদী ও পরিবেশের পাঠশালা গড়ার ভাবনাটা বেশ ভাবাচ্ছে।কিন্ত কেন?সে কথাতেই আসছি। ভারতবর্ষ আমার দেশ।নদীমাতৃক বলতে যা বোঝায় আমার দেশ তাই।আবার সম্প্রতি যে দেশটিকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে সেটাও তো আমার দেশ।না দেশভাগ না হলে যে একই দেশ থাকতো সেটা শুধু বলছি না আমার বাবার জন্ম সে দেশে।এককথায়…

“নদীর পুরো নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ১০ বছরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি”

“নদীর পুরো নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ১০ বছরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি”

আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল, দূষণমুক্ত করা ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে একটি মহাপরিকল্পনার (মাস্টার প্ল্যান) খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। বুধবার (১৭ এপ্রিল-২০১৯) সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, টেমস নদী এক সময় দূষিত হয়ে গিয়েছিল, গার্বেজ ডাম্পিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেই টেমস নদীকে আগের স্থানে ফিরিয়ে আনতে ৫০ থেকে ৫৫ বছর লেগেছে। আমরা যে মাস্টার প্ল্যানটি করেছি সেটাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদি,…

নরসুন্দার নাব্যতা ফিরে পাওয়ার এখনই সময়

নরসুন্দার নাব্যতা ফিরে পাওয়ার এখনই সময়

আমার ছেলেবেলার দেখা নরসুন্দা এখন আর দেখি না। এখন যা দেখি একে নদী বলা যায় না। আমার দেখা ৬০-৭০ দশকের নরসুন্দার অস্বিস্থ এখন বিলুপ্ত প্রায়। অথচ এখনও আমরা ওই নদী নিয়ে স্বপ্ন দেখি। কেন দেখি তার উত্তর আমারও জানা নেই। জীবন জীবনের উৎস খুঁজে, সে তার শৈশব, কৈশর আর যৌবনের জয়গান করতে ভালোবাসে। সেই স্বার্ণালি জীবনটারে মানুষ আবার ফিরে পেতে চায়। তাই তো মানুষ বারবার অতীতের কাছে ফিরে যায়। আমারও অতীত ছিলো, ছিলো কৈশর ও যৌবনের উচ্ছ্বাস। আমি নরসুন্দা পাড়ের মানুষ তাই আমার কৈশর আর যৌবনের সঙ্গে মিশে আছে খরস্রােতা…

নদী ও পরিবেশ দূষণে প্রধান দূষক প্লাস্টিক 

নদী ও পরিবেশ দূষণে প্রধান দূষক প্লাস্টিক 

একথা আজ সবাই জানে ও মানে যে প্লাস্টিক সভ্যতার বিনাশকারী। বিশেষত নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিষয়টিতে সবাই ওয়াকিবহাল। আগে যেমন চল্লিশ মাইক্রনের কম পুরু ক্যারিব্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বর্তমানে তা পঞ্চাশ মাইক্রনের বিষয়ে জারি আছে।কিন্ত শুধু তো ক্যারিব্যাগ নয়, বিভিন্ন প্লাস্টিক পানীয় বোতল, প্লাস্টিক প্যাকেজিং- এসব? এসব কি দূষণ ছড়ায় না? আবার প্লাস্টিকের উপজাত পদার্থ, থার্মোকল ইত্যাদি থেকেও তো দূষণ ছড়ায়। কেন উঠে আসছে সেকথা? নববর্ষের সকালে দধীচি ও প্রত্যুষ আয়োজিত বর্ষবরণ আড্ডায় যাওয়ার আগে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেল এইসবেই ভরে আছে নদীবক্ষ।আর সরাসরি যা নদীর জলে গিয়ে মিশছে। নববর্ষের এই…

লাবন‍্যমতী একটি নদীর নাম

বৈশাখে নদী ভাবনা - অনুপ হালদার

রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে লিখেছেন, কলকাতার নদী আন্দোলনের সংগঠক অনুপ হালদার – সম্পাদক ভারতবর্ষ নদী মাতৃক দেশ। অর্থাৎ এই সভ‍্যতার জন্মদাত্রী নদী।পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নদীর প্রভাব আরো বেশি ভাবে লক্ষ করাযায়।নদী যেমন এদেশের সমাজ, সভ‍্যভায়, সংস্কৃতি তে বিরাজমান তেমনই আমাদের মনের মনি কোঠায় নদী চীরকাল ই জায়গা করে নিয়েছে। নদীর সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই গভীর ও নিবিড়।আগেও মানুষ নদী কে ব‍্যবহার করে এসেছেন নৌকা দিয়ে, সেচ দিয়ে, মাছধরে,কিন্তু বিগত কয়েক দশকে আমাদের পুঁথিগত শিক্ষা আমাদের প্রকৃতির প্রতি সেই শ্রদ্ধার জায়গা কে দুরে সরিয়ে দিয়ে আমাদের ঔদ্ধত্য কে বড় করে তুলেছে প্রকৃতির সাথে…

ভালো থেকো নদী আমার আত্রেয়ী 

বৈশাখে নদী ভাবনা - তুহিন শুভ্র মন্ডল

রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী আত্রেয়ী  নিয়ে লিখেছেন নদী আন্দোলনের সংগঠক তুহিন শুভ্র মন্ডল  – সম্পাদক কবে থেকে নদীকে দেখতে শিখি মনে পড়ে না ঠিকঠাক।তবে হ্যাঁ, নদীকে দেখি অনেকদিন থেকেই। আমার বাড়ি বালুরঘাটে একেবারে খাঁড়ির ধারে।প্রতিদিন সকালে জানলা খুললেই দেখতে পাই তাকে। বলা যেতে পারে ঘুম থেকে উঠে জল দেখি আর জলকে দেখেই ঘুমোতে যাই।এই খাঁড়িই গিয়ে মিশেছে বাড়ির অদূরে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী আত্রেয়ীর সাথে। সেই আত্রেয়ী, যাকে পেরিয়ে মায়ের হাত ধরে পৌছাতাম দাদু-দিদার বাড়ি। মনে পড়ছে বর্ষার সময় নৌকা করে যেতাম। সোজা পথে না গিয়ে নৌকা ঘুরপথে…

নববর্ষের প্রত্যাশা : ভালো থাকবে আমার নদী সুতি

বৈশাখে নদী ভাবনা - আফজল হোসেন আজম

রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলাস্থ সুতি নদী নিয়ে লিখেছেন নদীকর্মী আফজল হোসেন আজম।- সম্পাদক আজ চৈত্রের শেষ দিন। কেমন জানি সাজ সাজ রবে মেতে উঠেছে আমার দুই পাড়ের বাঙালী। তাদের স্বত্বা নিয়ে লড়ছে বুঝি।আর্য আর অনার্যদের ঝাঁপি মাথায় নিয়ে একি আনন্দের নববর্ষ! ১লা বৈশাখ ১৪২৬ বংঙ্গাব্দ। শুভ নববর্ষ। বাঙালী স্বত্তার একটি দিন। সারাবিশ্বের বিস্ময়! বাঙ্গালী ওরা।আমি সূতী।ওদের স্বত্তার অংশীদার। পিতা নরসুন্দার বড় মেয়ে। আমার বুঝি নববর্ষ নেই। আমি তোমাদেরি মেয়ে। কেমন সুন্দর তুলতুলে নামটি রেখেছিল দাদা ব্রক্ষ্রপুত্র। যৌবনে লালপাঁড়ের শাড়ী পড়তাম। কোমল সূতার বুননের।বাঙ্গালী তাঁতীদের হাতের নিখুঁত…

নদী এখন ভূগোলের নয় ইতিহাসের বিষয়

তাহলে কি এখন থেকে তাই? মানে নদীর অধ্যায় আর ভূগোলে পড়ানো হবে না। এখন থেকে ইতিহাসে পড়তে হবে।কি এমন হলো যে এমনটা হলো? ভাবছেন তো! আসলে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই বোধহয় সেই দিন আসতে চলেছে যখন নদী আর থাকবেনা।নদী ছিল বলতে হবে।অতীত কাল। আর অতীত কালের বিষয় তো ইতিহাসেই পড়ানো হয়। আগামী প্রজন্ম কি নদী দেখতে পাবে? এই প্রশ্ন এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।একটি পরিসংখ্যান বলছে পশ্চিমবঙ্গের সতেরটি নদী হারিয়ে গিয়েছে।সাতাত্তরটি নদী হারিয়ে যাওয়ার পথে।তাই বিভিন্ন জায়গাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাই এভাবেই বলি যে নদী নেই হয়ে গিয়েছে।হচ্ছে।তাই…

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নদী’ ভাবনা : ভারতবর্ষ থেকে নদীমাতৃক শুভেচ্ছা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নদী’ ভাবনা : ভারতবর্ষ থেকে নদীমাতৃক শুভেচ্ছা

বাংলা নববর্ষ আর ক’দিন পরেই। বিভিন্ন দিকেই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবার অভিনব ভাবে নদী ভাবনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা করছে। তার জন্যই অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন ভারতবর্ষের নদী ও পরিবেশ চিন্তক তুহিন শুভ্র মন্ডল  আসছে নববর্ষে ‘নদী’কে থিম করে মঙ্গল শোভাযাত্রা করবে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। একথা দিনকয়েক আগে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকবে নদীর বার্তা, নদীর অনুষঙ্গ, মাছ, নৌকার প্রতিকৃতি ইত্যাদি।এমন অভিনব ভাবনার কথা জানার পরই শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে অভিনন্দন প্রদান করলেন ভারতবর্ষ থেকে নদী ও পরিবেশ চিন্তক তুহিন শুভ্র মন্ডল। আজ…

জিকে প্রকল্প বনাম নদী সুরক্ষা : আলতাফ হোসেন রাসেল

জিকে প্রকল্প বনাম নদী সুরক্ষা : আলতাফ হোসেন রাসেল

গত প্রায় এক দশকে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কুষ্টিয়া অঞ্চলের নদনদীর করুণ অবস্থা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন খেয়াল করেছি। প্রতিবেদনগুলোর শিরোনাম প্রায় একই রকম ছিল। যেমন হুমকির মুখে কুষ্টিয়ার আট নদী, কুষ্টিয়ার আট নদীতে দখলের মহোৎসব চলছে, কুষ্টিয়ার আট নদী বিলীন হওয়ার পথে অথবা কুষ্টিয়ার আট নদী এখন মরা খাল ইত্যাদি। এই নদীগুলোর বেশিরভাগই গঙ্গা-গড়াইয়ের শাখা নদী; যেমন- কালীগঙ্গা, ডাকুয়া, হিসনা, সাগরখালী, চন্দনা, মাথাভাঙ্গা, কুমার ইত্যাদি। বাংলাদেশের মোটামুটি সব অঞ্চলেই নদী দখল হয় এবং হচ্ছে। কিন্তু এ অঞ্চলের নদী দখল ও ভোগের চিত্রটা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও ভিন্ন। এ অঞ্চলের অনেকেই…

নদীভাঙন : ঘরবাড়িছাড়া হতে পারে ৪৫ হাজার মানুষ

ইফতেখার মাহমুদ, ঢাকা>> আগামী বছরের মধ্যে দেশের ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর বা ৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারাতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভাঙনের মুখে পড়তে পারে পদ্মাপারের মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নদীতীরবর্তী এলাকা। সরকারের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) পূর্বাভাসে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে সিইজিআইএস দেশের নদী বিশেষজ্ঞ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের সামনে এবারের পূর্বাভাসটি তুলে ধরে। তবে এবারের পূর্বাভাসের আরেকটি দিক হলো, দেশে ধারাবাহিকভাবে নদীর ভাঙন কমে…

মৃতপ্রায় বুড়িতিস্তায় খননকাজ শুরু : স্থানীয় লোকজনের স্বপ্ন এখন পূরণ হতে চলেছে

মৃতপ্রায় বুড়িতিস্তায় খননকাজ শুরু : স্থানীয় লোকজনের স্বপ্ন এখন পূরণ হতে চলেছে

তিস্তা নদীর একটি শাখা বুড়িতিস্তা। এটি উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে চিলমারী উপজেলার কাচকোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। একসময় বুড়িতিস্তা নদীকে ঘিরে এ অঞ্চলে ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রসার ঘটে। দুই পাড়ের জমি ছিল উর্বর। প্রচুর ফসল আবাদ হতো। নদীর পারের মানুষ মাছ শিকার ও নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ১৯৮৮ সালে বন্যায় তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। এতে থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার গ্রামে স্লুইসগেটটি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে বুড়িতিস্তার উৎসমুখে বাঁধ নির্মাণ করে। এতে নদীর পানিপ্রবাহ…