নদী রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান থামবে না : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান থামবে না। এটি আরও বেগবান ও ক্রিয়াশীল হবে। গতকাল রোববার  [১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯] জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে খালিদ মাহমুদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে নদী ও সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এসময় অন্যদের মধ্যে সুবিদ আলী ভূঁইয়া, মাহমুদ–উস–সামাদ চৌধুরী ও মীর মোস্তাক আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন। আরো পড়তে পারেন…. প্রিয় নদী, প্রিয় বোন আমার : সঞ্জীব দ্রং নদ-নদীগুলোকে দখলমুক্ত করা,…

প্রিয় নদী, প্রিয় বোন আমার : সঞ্জীব দ্রং

প্রিয় নদী, প্রিয় বোন আমার

।। সঞ্জীব দ্রং ।। ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ শিরোনামে প্রথম আলো ৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ আয়োজনে সচিত্র প্রতিবেদন করেছে তুরাগ, বালু  বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদ–নদী নিয়ে। নদ–নদীর এই করুণ রুগ্‌ণ দশা দেখে সবার মন ভারাক্রান্ত হওয়ার কথা। এসব নদ–নদী মরে যাচ্ছে। নদ–নদীগুলোকে হত্যা করা হচ্ছে। নদ–নদী দখলকারী ও দূষণকারীরা তাদের সন্তানদের কথা, পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবে না। নগদ মুনাফাই তাদের মুখ্য। অথচ এই নদ–নদীগুলোকে যত্ন করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। শৈশবে নদীর যে রূপ দেখেছি, নদী বলতে চোখের সামনে যে ছবি এখনো ভেসে ওঠে, তার বিচারে এসব নদ–নদী এখন…

নদ-নদীগুলোকে দখলমুক্ত করা, নাব্যতা সৃষ্টি ও দৃষ্টিনন্দন করতে নেয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা 

নদ-নদীগুলোকে দখলমুক্ত করা

বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলীসহ এর আশপাশের নদ-নদীগুলোর বেদখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করা, নদীর নাব্যতা সৃষ্টি ও দৃষ্টিনন্দন করতে মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে। ১ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদে কয়েক ধাপে এই মহাপরিকল্পনা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মহাপরিকল্পনার খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই আরেকটি সভা করে সেটি চূড়ান্ত করা হবে। সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ…

স্মৃতিকথা : আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (দ্বিতীয় পর্ব)

স্মৃতিকথা : আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (দ্বিতীয় পর্ব)

কিশোরগঞ্জ শহর থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরেই ব্রহ্মপুত্র নদ। ছেলেবেলায় নরসুন্দায় সাঁতার কাটতে কাটতেই একবার মনে হলো যাই না একবার ব্রহ্মপুত্র নদ দেখে আসি। সাইকেলে চড়ে ক’জন বন্ধু চলে গেলাম হোসেনপুর। ব্রহ্মপুত্র স্বচক্ষে দেখলাম। প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখে অবাক হলাম। এর বিশালতা, ঢেওয়ের গর্জন এবং বড় বড় নৌকা দেখে চমকিত হয়েছিলাম। ছেলেবেলায় এটা ছিল আমাদের জন্য এক কৌতুহলি অভিযান ও নতুন অভিজ্ঞতা। সেদিন ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখে মনটাও যেন একলাফে বড় ও বিশাল হয়ে উঠেছিল। এখন পরিণত বয়সে এসেও সেই নদের স্বপ্ন দেখি। এখনো কল্পনা করি নরসুন্দা নদীপথে আমরা আবার হোসেনপুরে…

আত্মবোধানন্দ-গঙ্গা রক্ষার এক জ্বলন্ত প্রতিবাদ

নদীর জন্য আত্মবলিদান করছেন মানুষ

কি আশ্চর্য!! একটি মানুষ একশো নয় দিন ধরে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করছে। রাষ্ট্রের কানে আওয়াজ পৌঁছাচ্ছে না। একটা ছাব্বিশ বছরের তরুন অনশন করছে গঙ্গা নদী রক্ষার জন্য। রাষ্ট্র উপেক্ষা করছে। এর থেকে বড়ো লজ্জা আর কি হতে পারে? তথাকথিত মিডিয়া এই অনশনের কথা প্রচার করছে না। এটাও একটা চরম হতাশার দিক। অবিরল গঙ্গার দাবীতে কিছুদিন আগে অধ্যাপক জি.ডি.আগরওয়াল মৃত্যুবরণ (নাকি হত্যা?) করলেন। একজন এক নাগারে অনশন করছেন “অবিরল ও নির্মল গঙ্গা”-র দাবীতে। কোন্ মিডিয়া দেখাচ্ছে জানতে চাই। কেন করতে হচ্ছে এই অনশন? গঙ্গা দূষিত, দখলীকৃত। গঙ্গা মৃত্যুপথযাত্রী।অথচ কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন।…

একযোগে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই : বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান

কমোডর এম মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)

বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক এর এই সাক্ষাৎকারটি আজ দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটির প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে রিভার বাংলা  ডট কমের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো। কৃতঞ্জতা দৈনিক কালের কন্ঠ। – সম্পাদক রিভার বাংলা (একটি নদী বিষয়ক পত্রিকা) ‘নদী দখলমুক্ত করার এ অভিযান অনেকটা যুদ্ধের মতো। এ যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ দরকার। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক অভিপ্রায় সরকার স্পষ্ট করেছে। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় এখনই।’ আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের চলমান অভিযান প্রসঙ্গে কথাগুলো বললেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক। এক সপ্তাহের অভিযানে অনেক স্থাপনা ভাঙা হয়েছে।…

বুড়িগঙ্গাতীর উদ্ধার অভিযান : প্রায় ১২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

বুড়িগঙ্গা তীরে বহুতল ভবনসহ ১৬৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে চলমান নদী রক্ষা অভিযানের ষষ্ঠ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ বক্স ছাড়া সামনে-পেছনের সব স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ছোট-বড় ২৯০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডাব্লিউটিএ। অভিযান চলে লালবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীর চর থানার কিল্লার মোড়, শ্মশানঘাট, কয়লাঘাট ও ছাতা মসজিদ এলাকায়। এ নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে এক হাজার ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার তথ্য দিয়ে বিআইডাব্লিউটিএ সূত্র জানায়, স্থাপনার সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ৯০৬টি অবৈধ স্থাপনা তালিকাভুক্ত করে অভিযান শুরু করেছিল সংস্থাটি। বিআইডাব্লিউটিএর ঢাকা…

আত্রেয়ী দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ লঞ্চ চলবে, এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায় 

আত্রেয়ী দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ লঞ্চ চলবে, এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায় 

হ্যাঁ।ঠিক তাই। এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায়। নদীপথে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একদিন লঞ্চ চলবে। যাত্রীবাহী এবং পন্যবাহী-এমন আশা তো করতেই পারি আমরা। যেখানে এই ব্যবস্থা একসময় ছিল এবং তার মাধ্যমে ব্যবসা বানিজ্য হতো পুরোদস্তুর। যদিও সেটা লঞ্চের মাধ্যমে হতো না।হতো বজরার মাধ্যমে।সেই পন্যবাহী ব্যবস্থাপনা যদি ফিরে আসে তাহলে তার থেকে ভালো কিছুই তো হতে পারে না। তার সঙ্গেই যাত্রীবাহী লঞ্চ যদি চলাচল করে ভারত-বাংলাদেশ আত্রেয়ী নদী পথে তাহলে সেটা কম রোমাঞ্চকর হবে না। সম্প্রতি লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকা সদরঘাট থেকে পটুয়াখালি জলপথে যাওয়াতে সেই সম্ভাবনার কথাই মনে এলো। আমাদেরও তো…

বাংলার নদী বাঁচাও গন কনভেনশন

বাংলার নদীবাঁচাও গনকনভেনশান

গাঙ্গেয় সমভূমির শিরায় উপশিরায় প্রবাহিত নদী।এই নদীকে কেন্দ্রকরেইগড়ে উঠেছিল সভ‍্যতা।নদীকে ঘিরেই অবর্তীত হত মানুষের জীবন জীবিকা ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন সভ‍্যতার ব‍্যপ্তির সাথে সাথেই নদীর প্রয়জনীয়তা কমতে শুরু করেছে এবংবর্তমানে তা অবলুপ্তির পথে। পশ্চিমবঙ্গের নদী গুলি ভূগোলের বিষয় থেকে বর্তমানে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেয়েছে। কেন নদী গুলোর এই অবস্থা? ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মত এই রাজ‍্যেও কয়েক দশক ধরে তাৎক্ষণিক লাভের আশায় নির্মাণ হয়েছে একের একটি বড় বাঁধ যা প্রবাহমান একটি নদীকে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও নদীর পাড়ভেঙে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করেতুলেছে।নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।মৃত বা মৃতপ্রায় নদী গুলির সীমানা…

পঞ্চম দিনের মতো বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএর অভিযান

পঞ্চম দিনের মতো বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পঞ্চম দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার সকাল ১০টার দিকে কামরাঙ্গীর চরের কয়লাঘাট এলাকায় ও ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান শুরু হয়। নৌ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের শুরুতে দুটি একতলা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরআগে মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে তিন দিন অভিযান চালিয়ে বুড়িগঙ্গা তীরের…

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ

আমার সখা নরসুন্দা

।। মু আ লতিফ ।। [প্রথম পর্ব] নরসুন্দা নদীর সঙ্গে আমার জন্মাবধি ভালোবাসা। আমার শৈশব-কৈশোর নরসুন্দার জল, জলের স্রােতধারা ও এর বালুচরের সঙ্গে মিশে আছে। নদীর নিরবধি বয়ে চলা, বর্ষায় টই-টম্বুর খরস্রােতা নরসুন্দার ছবি এখনো আমাকে উন্মনা করে। আমার শরীর-মন ও আমার চৈতন্যকে বিকশিত করেছে- আমার সখা নরসুন্দা। ছেলেবেলায় যে নরসুন্দাকে দেখেছি এখনো সেই স্মৃতিই মানসপটে আঁকা রয়েছে। খরস্রােতা যৌবনা নরসুন্দার কল্লোলধ্বনি এখনো কানে বাজে। ওই সময়ের নরসুন্দার শোভার কথা বললে এখন কেউ বিশ্বাস করবে না, জানি। কিন্তু ছেলেবেলার রোমাঞ্চকর স্মৃতি তো ভুলার নয়। কেউ বিশ্বাস করুক আর নাই করুক, সুখময়…

কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ : এবার প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন 

কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ

নদীবিজ্ঞানে একথা বলা হয় যে নদীব্যবস্থাপনা করতে গেলে খাঁড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।খাঁড়ি ভালো থাকলে নদী ভালো থাকবে। কিন্ত দক্ষিন দিনাজপুরের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই লক্ষ্য করছি দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া খাঁড়ি ব্যবস্থাপনাতে খুব বেশী কাজ এগোয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই কাশিয়া খাঁড়ির নাম উল্লেখ করতে চাই। দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি প্রধান নদী আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা। দুটি নদীকে সংযুক্ত করতো কাশিয়া খাঁড়ি। কিন্ত এই খাঁড়ি টিকে কেন বারবার অধিবাসীদের নিজেদের খনন করার উদ্যোগ নিতে হচ্ছে? সম্প্রতি গতবছরের মতো এবারও রাধানগর, গোপিনগর, ভাতশালা, বাদমুল্লুক কিসমত, গঙ্গাসাগর গ্রামের অধিবাসীরা নিজেরাই খাঁড়িকে খনন করলো। কিন্ত কেন? কারণ…