‘দাদ্দু, জলমুক্তি কী গ!’ চুপ করে থাকে বিষাণ সিং। কাঁধের ছেঁড়া রঙচটা লাল গামছা দিয়ে পিঠটা ঝেড়ে নেয়। মনে হয় দু-চারটে ডেউয়া পিঁপড়ে ঘুরঘুর করছে। এখনো কামড়ায়নি। বড্ড বিষ, জ্বালা করে! ‘হেই দাদ্দু, এই গামছাটো হামাক দিবা কিন্তুক। হামি ইটো লিয়ে শাড়ি বানাইবো।’ একটুখানি হাসে বিষাণ। আবার তাকিয়ে থাকে ‘দামোদরজীর’ দিকে। বর্ষা এসে গেছে, তাও দু’সপ্তাহ। কিন্তু আকাশে কালো মেঘ কই! ‘দামোদরজীর’ বুকে জল নেই। তিন মাইল চওড়া নদীর বুকে আড়াআড়ি হাত তিরিশেক জল। তার মাঝে হাত নয়-দশ গভীর, মানে বুক সমান জল। তবে স্রোত আছে। লোকজনেরা নদীকে জানে। এখানে,…