রাজেশ ধর এর গল্প “শেকল”

শেকল

“এত দেরি করি আসলি, চলে কী করি? একগাদা লোক দাঁড়ায়ে রয়েছে ঘণ্টা ধরি!” “কী করব? খেয়া তো দরকারের জন্যি। কত্ত সমিস্যের লোক আসতি নাগে। সবারে না নি এলি হয়। সক্কলের জন্যি দাঁড়ায়ে থাকতি হয়।” “হ, লগেন মাঝি,.তোমার মাথাডা এক্কেবারে গিইছে। কেডা কখন আসপে তার জন্যি তুমি ঐ পারে দাঁড়ায়ে থাকপা আর এই পারের লোকেরা রোদের তাপে বেগুন পোড়া হবে? তোমারে নে তো আর পারা যায় না!” “তা কী করবা কর! করি নাও… দুডো পারই তো এই ফুডিডার নাকি? ফুডিনদীর একপারের লোকের সুক দেখতে গি, অন্য পারের লোকে কষ্ট পাবে, তা…

রাজেশ ধর এর গল্প- “চুপিকথা”

রাজেশ ধর ।। এখানে একটা নদী আছে, নাম চুপি।  চুপিতে এখনো জোয়ারভাটা খেলে। জোয়ারভাটা তো নদীতে খেলবেই। কিন্তু মল্লিকদাদু…আমাকে দেখলেই ডাকে। তারপর বলে, “ কীরে মধুর নাতি, দাদু কেমন আছে? নদীতে যেতে পারে এখনো মাছটাছ ধরতে?  ছোটবেলায় নদীতে, বিলে  ডোঙা নিয়ে একসঙ্গে কত মাছ ধরেছি…” মল্লিকদাদু নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে, আমিও তাকাই চুপির দিকে। হয়তো সকালের মেঘলা আকাশের রঙে চুপিকে তখন সবজে দেখাচ্ছে, ভাটির টানে  কচুরিপানাগুলো ফিরে যাচ্ছে তাদের পুরোনো জায়গায় যেখান থেকে আবার জোয়ারের টানে তারা ফিরে আসবে। নয়তো বিকেলের লাল আলো নিভে যাওয়া ছাই ছাই আকাশ আর একটু হলেই  নেমে আসবে চুপির বুকে। মল্লিকদাদু সকাল-বিকেল নদীর ঘাটে আসে। কলকাতার কোন বড় কলেজে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল পড়াত মল্লিকদাদু। আমাকে প্রায়ই…