সে, আমি ও আত্রেয়ী ।। সুদর্শন ব্রহ্মচারী

আত্রেয়ী

নদীটা চুপসে গেছে। রতন হালদার মন খারাপ করে বাউলার ভেক ধরেছে। জাল বুনতে বুনতে সে গুনগুন করে। হাঁসগুলো দল বেঁধে যেতে যেতে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে। দু’এক জোড়া উল্টো দিকে মাঝনদিতে ছুটে যায়।নীল রঙের মাছরাঙা উড়ে এসে ছোঁ মেরেই পালায়।পানকৌড়ি ডূব মেরে সাঁতরে ছুটে পালায়।নিরিবিলিতে হংসমিথুন দেখতে দেখতে বাউলা রতন গান ধরে, “জ্বলে পুড়ে মরল রাধা যৌবন জ্বালায় যখন ডাকল বাঁশি তখন রাধা যাবে যমুনায়…।” প্রেমপূজারী বাউলা একা একা দেহতত্বের পাঠ নেয়।জল চিকচিক করে। নৌকায় বাঁধা বাঁশের মাথায় সাদা সাদা মাছরাঙা চড়ুই পাখির মতো প্রেম করে উড়ে যায়। বাঁশির সুরে নদী…

দুই বাংলার যৌথ নদী ব্যবস্থাপনাই নদী সুরক্ষার একমাত্র পথ

তুহিন শুভ্র মন্ডল>>   ভারত এবং বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত নদীগুলিকে সুরক্ষা দিতে দুই দেশের যৌথ অংশগ্রহণ অতীব জরুরী।কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলেনে একথা গুলোই তুলে এনেছিলাম। আমাদের সভ্যতা নদীমাতৃক । নদী আমাদের জীবন, জীবিকা।নদী সুস্থায়ী অর্থনীতির একটা সূচক।আমাদের সংস্কৃতিতে, উপাচারে নদী জড়িয়ে রয়েছে।নদী পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম । অথচ সেই নদীগুলির প্রতি কি আশ্চর্য উদাসীনতা!! ভারতবর্ষের দক্ষিন দিনাজপুর আমার জন্মভূমি। সেখানকার নদীগুলির বর্তমান অবস্থা মোটেও ভালো নয়। আত্রাই, টাংগন, ইছামতি,পুনর্ভবা, যমুনা,  ব্রাহ্মণী, শ্রীমতি, শ্রী ইত্যাদি নদীগুলির অবস্থা ভাল নয়।জলহীনতা, জলদূষন, নাব্যতা কমে যাওয়া, মাছেদের হারিয়ে যাওয়া, নদীর বুকে জমি দখল এমনকি মালিকানা…