ফের ভয়ংকর রূপে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। উজানের পাহাড় ও সমতলে একটানা বৃষ্টি ও গজলডোবা হতে প্রচুর পানি ছেড়ে দেয়ার জেরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার পর হতে ১২ ঘন্টায় নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার (৫২.৬০) ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অথচ এ দিন সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। সেই সঙ্গে ঢলের পানি দ্রুতগতিতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নীলফামারীর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা…
Tag: তিস্তা নদী
এই মৃত নদী আমার তিস্তা না ।। শুভময় পাল
‘ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল ঘাটের কাছে গল্প করে নদীর জল’ না, আমার তিস্তা এমন নদী না; গল্প সে করে, তবে সে গল্প নামনাজানা পাহাড়ি ঝরনার, সে গল্প প্রায় ভুলে যাওয়া আদিম জনজাতির। সে গল্প দুরন্ত, চঞ্চল, উচ্ছল। আমার তিস্তা অভিমানী, বেপরোয়া। শীতের বেলায় প্রায় মরা সোঁতা, বর্ষাকালে উপচে পড়া তাথৈথৈ। আমার বাড়ি তিস্তার পারে ছিল বললে খুব ভুল বলা হবে না। জলপাইগুড়ির হাকিমপাড়া, সরু একটেরে গলিতে প্রায় শেষে এক ভাড়া বাড়ি। বাঁশের ছেঁচার বেড়া, লঙ্কা জবার গাছ, এগোলে তপনদের খাটাল আর বিষ্ণুদা’দের বাড়ি। নীল অপরাজিতা ফুটে থরে থরে।…
নদীকথা ।। বিনীতা সরকার
নদী মানে একটি নিখাদ ভালবাসার ছোঁয়া। নদীর সতত প্রবাহিত জলধারা আমাদের জীবনে আশীর্বাদের মতো। নদী মানে জীবন। এই নদীর সঙ্গেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে গ্রামীণ, শহুরে সব মানুষেরই জীবন কাহিনী। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রাচীন বাংলার অনেক শহর। এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অনেক নগর, অনেক জনপদ। তাই নদীকে বাদ দিয়ে জীবন ভাবা যায় না। ফারাক্কার পাশ দিয়ে বহতা গঙ্গা নদী পশ্চিমবঙ্গকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় জেলা জলপাইগুড়ি। জেলার উত্তর অংশে হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চল। উত্তরের উঁচু অংশের জমির ঢাল দক্ষিনে নেমে এসেছে। এর…
ফেনী নদীর পানি যাবে ভারতে
ভারতের জনগণের খাবারের পানি সংকট দূর করতে ফেনী নদী থেকে পানি দিচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। জানা যায়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নিতে পারবে ভারত। এই পানি ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্য দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি…
অভিন্ন নদীর সমস্যা সমাধানে
।। এম আর খায়রুল উমাম । সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ লাভবান হবে এমন একটি ফর্মুলা বের করতে ভারত সম্মত রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তার দেশ অভিন্ন নদীর সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর। ভারত থেকে আমাদের দেশে ৫৩টি নদী প্রবেশ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ জানে- আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী তো নয়ই, বরং একটা নদীর জীবন রক্ষার নূন্যতম পানিও উজানের দেশ থেকে পাওয়া যায় না। জানামতে, গঙ্গা নদীর পানি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে একটা চুক্তি হলেও…
তিস্তা পাড়ে মানববন্ধন, চার দফা দাবি
২৫ আগস্ট রবিবার তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব, নদী খনন, তীর সংরক্ষণ এবং লালমনিরহাট-কালমাটি-হারাগাছ-রংপুর মহাসড়কে সংযোগ সেতু নির্মাণের দাবিতে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, অনেকদিন থেকে তারা শুনে আসছেন যে ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানির বণ্টন নিয়ে চুক্তি করা হবে কিন্তু, তা হচ্ছে না। শুধু প্রতিশ্রুতিই পাচ্ছেন তারা। দীর্ঘ সময় তিস্তা নদী খনন না করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে সমতলের সঙ্গে মিশে গেছে। এতে প্রতিবছর ভাঙ্গনে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছেন। তাই তিস্তা খনন ও তীর সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। তারা আরো বলেন, নদী খনন…
জয়শঙ্করের সফর : আলোচনা হবে তিস্তা নিয়ে
তিন দিনের সফরে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চলতি বছরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এটি মূলত শুভেচ্ছা সফর হলেও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির মতো অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে জানা যায়। জানা যায়, অক্টোবরের শুরুতে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সামিটের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। দিল্লির ওই বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ…
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার [১২ জুলাই-২০১৯] সন্ধ্যার পর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও চরাঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারি করেছে। সূত্র: জাগো নিউজ । বিষয়টি নিশ্চিত করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ৫২.৯৫ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড নদী ভাঙন। গত…
তিস্তা নিয়ে যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিদেশ ডেস্ক: তিস্তা ইস্যুটি নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে তিস্তা নদী নিয়ে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি, তাই ওরা আমাদের ইলিশ দেওয়া বন্ধ করেছে।’ বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক রহিমা বিবির প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালি মাছে-ভাতে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি। তাই ওরা আমাদের ইলিশ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুদেশ। কিন্তু জল নেই, তাই কোথা থেকে জল দেব?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা ইলিশ মাছ…
শতসহস্র নদীর এই দেশে নদীগুলো কেমন আছে?
নজরুল মৃধা >> শতসহস্র নদীর এই দেশে নদীগুলো কেমন আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে, এক কথায় উত্তর পাওয়া যাবে- ভালো নেই। বর্তমানে দেশের নদ-নদীগুলো যৌবন হারিয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। যৌবনহারা এসব নদী বাঁচিয়ে রাখতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থাও চোখে পড়ে না। এখনই নদীগুলোকে বাঁচানো না গেলে দেশকে একসময় বাঁচানো সম্ভব হবে না। কারণ নদীগুলো ঘিরেই গড়ে উঠেছিল দেশের প্রতিটি শহর, বন্দর ও হাটবাজার। এগুলো এখন শুধুমাত্র স্মৃতি। এক সময় মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ উপায় ছিল নৌকা। এখন এই নৌকার দেখা মেলা ভার। সময়ের বিবর্তনে যেটুকু নদী পারাপারের…
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের বুড়ি তিস্তা নদী
রিভার বাংলা ডট কম >>> দখল-দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের বুড়ি তিস্তা নদী। এক সময়ের খরস্রোতা নদীটি এখন যেনো মরা খাল। দখল হতে হতে থেমে গেছে নদীর স্রোতধারা। ফলে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আবার শুকনো মৌসুমে পানি না পেয়ে বিপাকে নদী তীরের মৎস্য ও কৃষিজীবীরা। নদী বাঁচাতে কর্তৃপক্ষের সুনজর চান স্থানীয়রা। বুড়িতিস্তা, একসময় এই জনপদের অস্তিত্ব বাঁচিয়েছে। অপরিকল্পিত বাঁধ আর দখলদারদের থাবায় নদী নিজেই এখন অস্তিত্ব সংকটে। শুরুটা ছিল ১৯৮৮ সালে। বন্যার পর অপরিকল্পিতভাবে নদীর উৎসমুখে বাঁধ ও স্লুইসগেট নির্মাণ করায় স্রোতধারা কমতে থাকে। আস্তে আস্তে এভাবেই…