জয়শঙ্করের সফর : আলোচনা হবে তিস্তা নিয়ে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিন দিনের সফরে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চলতি বছরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এটি মূলত শুভেচ্ছা সফর হলেও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির মতো অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে জানা যায়। জানা যায়, অক্টোবরের শুরুতে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সামিটের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। দিল্লির ওই বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ…

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

তিস্তার

ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার [১২ জুলাই-২০১৯] সন্ধ্যার পর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও চরাঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারি করেছে। সূত্র: জাগো নিউজ । বিষয়টি নিশ্চিত করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ৫২.৯৫ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড নদী ভাঙন। গত…

ইলিশের আকাল বনাম গঙ্গা তুমি কার : গওহার নঈম ওয়ারা

ইলিশের

নোট: লেখাটি ০৭ জুলাই, রবিবার ২০১৯ দৈনিক প্রথম আলো’র মতামত পাতায় প্রকাশিত হয়। লেখাটির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে রিভার বাংলা’র পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হল। কৃতজ্ঞতা দৈনিক প্রথম আলো ও লেখক ।- সম্পাদক, রিভার বাংলা। ‘ওদের জল দিইনি, তাই ওরা ইলিশ দিচ্ছে না।’ কথাটা যাঁর বলার কথা তিনিই বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য রহিমা বিবি ইলিশের মৌসুমে বাংলায় ইলিশের হাহাকার নিয়ে বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জবাবে আরও বলেন, ‘জল জল করলে কী হবে, আমাদেরই জল নেই, জল দেব কোথা থেকে?’ আজকাল প্রায়ই যেকোনো অজুহাতে মমতা পানি নেই…

নদীকে নদীর কাছে ফিরিয়ে দিন : ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী

বিস্তৃত অববাহিকা ও জীবন্ত ব-দ্বীপের দেশ বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক অলঙ্কার হলো নদী। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো এ দেশের অহঙ্কারের সচল ধারা। নদী এ অঞ্চলের লোকজ ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য, সামাজিকতা, সংস্কৃতি আঞ্চলিকতা ছাপিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে মেলে ধরেছে স্মরণাতীতকাল থেকে। নদীর অবস্থান, আচরণ, বিস্তৃতি, সামাজিকতা, প্রথাগত ঐতিহ্য এ দেশকে শুধু নদীমাতৃক দেশে রূপান্তরিত করেনি; দিয়েছে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে সমৃদ্ধি। হাজার বছরের বাঙালিয়ানার শিকড় এভাবেই প্রোথিত হয়েছে গভীরে। বাংলাদেশ যে ঐতিহ্য ধারণ, লালন ও চর্চা করে; অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে নদীর অবস্থান এর সিংহভাগজুড়ে। নদী তাই আমাদের ঐতিহ্য, অস্তিত্বের অংশীদার। নদীকেন্দ্রিক…

আফজল হোসেন আজম এর কবিতা “নদীকথা”

পূবেতে বন্দনা করি জগৎ বন্ধু ভানুশ্বর নিধিরবি উঠে তুমি বিশ্ব করো যে পসর। পশ্চিমে বন্দনা করি মক্কা ও মদিনায় দয়াল নবী শুয়ে আছে নয় কারো যে অজানা। দক্ষিনে বন্দনা করি বঙ্গোপ সাগর যে সাগরে বাইয়া খাইতো চান্দু সওদাগর। উত্তরে বন্দনা করি হিমালয় পর্বত যেথায় ঋষি মনি ঠাঁকুর সদায় থাকতো ব্রত। এইবারে নদ- নদীর কথা যাবো তোলে তারা সবি মানবস্বত্তা এ ভূ- মন্ডলে। সৃষ্টিকর্তার অপার লীলা নদ ও নদী বসুন্ধরা রুগ্ন হবে তাদের হারাই যদি। হিমালয়ের হিমবাহে আসিলো মা গংঙ্গা মায়েরকোলে শুয়ে আমরা আজ চতুরঙ্গা। পদ্মভূষণ করলো মোদের কণ্যা তারি যমুনা…

ভালো থেকো নদী আমার আত্রেয়ী 

বৈশাখে নদী ভাবনা - তুহিন শুভ্র মন্ডল

রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী আত্রেয়ী  নিয়ে লিখেছেন নদী আন্দোলনের সংগঠক তুহিন শুভ্র মন্ডল  – সম্পাদক কবে থেকে নদীকে দেখতে শিখি মনে পড়ে না ঠিকঠাক।তবে হ্যাঁ, নদীকে দেখি অনেকদিন থেকেই। আমার বাড়ি বালুরঘাটে একেবারে খাঁড়ির ধারে।প্রতিদিন সকালে জানলা খুললেই দেখতে পাই তাকে। বলা যেতে পারে ঘুম থেকে উঠে জল দেখি আর জলকে দেখেই ঘুমোতে যাই।এই খাঁড়িই গিয়ে মিশেছে বাড়ির অদূরে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী আত্রেয়ীর সাথে। সেই আত্রেয়ী, যাকে পেরিয়ে মায়ের হাত ধরে পৌছাতাম দাদু-দিদার বাড়ি। মনে পড়ছে বর্ষার সময় নৌকা করে যেতাম। সোজা পথে না গিয়ে নৌকা ঘুরপথে…

তিস্তা নদী : শুকিয়ে যাচ্ছে কি সিকিমের কারণেই?

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন>> ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্কে এই মুহুর্তে অস্বস্তির কেন্দ্রে আছে যে তিস্তা নদী, সেটি ক্রমশ শুকিয়ে যাওয়ার পেছনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে বিবিসির কাছে দাবি করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং। তিস্তা নদীর উৎপত্তি ভারতের পার্বত্য অঙ্গরাজ্য সিকিমেই, আর সিকিম তিস্তার ওপর একের পর এক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার ফলেই এই নদীর প্রবাহ ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে বলে বহু পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানী মনে করে থাকেন। বস্তুত ‘তিস্তাতে একেবারেই জল নেই’ – এই যুক্তি দেখিয়েই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তির…

নদীর নামে অতিথি আবাসের ঘর, এও এক নদী চেতনা : তুহিন শুভ্র মন্ডল

এ এক অন্য রকম অনুভব। বিভিন্ন জায়গার অতিথি আবাসের নামে থাকে নানান বিশিষ্টতা। সাহিত্যের থেকেও চয়ন করে বিভিন্ন সময়েই দেওয়া হয়ে অতিথি আবাসের নাম। তাই বলে নদীর নামে? এমনটাই বাস্তব ভারতবর্ষের রাজার শহর কোচবিহারে।রাজবাড়ীর সন্নিকটে সাগর দীঘির পারে অবস্থিত কোচবিহার জেলা পরিষদের অতিথি আবাসে এমনটাই দেখা গেল। অতিথি দের জন্য নির্দিষ্ট ঘর গুলির নাম তোর্ষা, তিস্তা, মানসাই,সুটুঙ্গা, কালজানি, রায়ডাক, ধরলা, বানিয়াদহের নামে।এও নিশ্চয়ই এক নদী চেতনারই নামান্তর। কথা প্রসঙ্গে কোচবিহারের বাসিন্দা ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার, সুকুমার বর্মন, সুমন্ত সাহা, তপন দাস, শঙ্কর নারায়ণ দাসরা জানান, কোচবিহার নদীর জেলা।নদী আমাদের পরিচয়। কোচবিহার,…

রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি গঠিত হল পশ্চিমবঙ্গে 

রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি গঠিত হল পশ্চিমবঙ্গে 

নদীকে রক্ষা করবার চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কিছু নিবেদিতপ্রাণ নদীকর্মী। এবার তাঁরা মিলে সবুজ মঞ্চের উদ্যোগে কলকাতায় গঠন করলেন “রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি”। গঙ্গা, আত্রেয়ী, মাথাভাঙা, ইছামতী, চূর্ণী, মহানন্দা, তিস্তা, তোর্সা, কালজানি, সরস্বতী ইত্যাদি নদীর ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরতে চন্দননগরে কমিটি গঠিত হয় গেল শনিবারে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিত মুখার্জি, সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত, পরিবেশ চিন্তক জয়ন্ত বসু, তাপস ঘটক, বিবর্তন ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন নদী ও পরিবেশকর্মী দের নিয়ে এ কমিটি গঠিত হয়। সেদিনের সভায় সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে নদীর বেহাল অবস্থা…

সংসদ নির্বাচন : বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

জয়া ফারহানা>> একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা যত ব্যস্ত, তার চেয়েও বেশি ব্যস্ত তাদের পারিষদবর্গ। তারা জানেন, পরিবেশকর্মী প্রেসার গ্রুপের দাবি মোতাবেক নদী-বন-পাহাড় রক্ষায় ইশতেহারে যত ভালো কথাই লেখা থাক, ইশতেহারের আদর্শ প্রতিশ্রুতিগুলো ফাইলবন্দিই থাকবে। এমপি সাহেবকে নানা কায়দায় তোয়াজের মাধ্যমে যিনি সাইজ করতে পারবেন, এলাকার বন-নদী-পাহাড়-টিলা-খাল-বিল চলবে তারই ইশারায়, নির্দেশমাফিক। তোষামোদিতে যিনি ফার্স্ট হবেন, বাস্তবে পূরণ হবে তার খায়েশ। এরাই আমাদের নদীগুলোর বালু তুলে তুলে এগুলোকে এমন ব্যথা দিয়েছে যে, এখন হাতে আর এমন কোনো প্যারাসিটামল নেই, যা নদীর ব্যথা দূর করতে পারে। ভৈরব, রূপসা, কপোতাক্ষ, ইছামতি, মাথাভাঙা,…

শতসহস্র নদীর এই দেশে নদীগুলো কেমন আছে?

নজরুল মৃধা >> শতসহস্র নদীর এই দেশে নদীগুলো কেমন আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে, এক কথায় উত্তর পাওয়া যাবে- ভালো নেই। বর্তমানে দেশের নদ-নদীগুলো যৌবন হারিয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। যৌবনহারা এসব নদী বাঁচিয়ে রাখতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থাও চোখে পড়ে না। এখনই নদীগুলোকে বাঁচানো না গেলে দেশকে একসময় বাঁচানো সম্ভব হবে না। কারণ নদীগুলো ঘিরেই গড়ে উঠেছিল দেশের প্রতিটি শহর, বন্দর ও হাটবাজার। এগুলো এখন শুধুমাত্র স্মৃতি। এক সময় মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ উপায় ছিল নৌকা। এখন এই নৌকার দেখা মেলা ভার। সময়ের বিবর্তনে যেটুকু নদী পারাপারের…