নদীর কথা ‘নদীয়ার নদী’-র মতো – সুপ্রতিম কর্মকার

নদীয়ার নদী ও জলাভূমি কথা - সুপ্রতিম কর্মকার

নদীতো নানাভাবে জীবনের কথাই বলে। জীবনের সাথে নদীর জুড়ে থাকার এক টুকরো উদাহরণ নদিয়া জেলা। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় মাঝামাঝি তার অবস্থান। নদিয়া নাম কেন হল? অনেক পণ্ডিতেরা বলেন নদী থেকেই নদিয়া নাম। এক সময় জেলাটাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল একটা লোক ছড়া। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদয়ে(নদিয়াতে) এল বান’। নদ-নদীতে ভর্তি ছিল নদিয়া জেলা। এক পা এগোলেই একটা করে নদী পড়তো। নদী যেহেতু আমার যাপন সংসার, তাই প্রথমে শুরু করেছিলাম অঞ্জনা নদীকে খোঁজার কাজ। রবীন্দ্রনাথের নামের সাথে যুক্ত হয়ে থাকা এক নদী। শুরু রবীন্দ্রনাথ কেন!নজরুল, মাইকেল মধুসূদন সকলেই অঞ্জনার রূপে মোহিত হয়েছিল।…

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ আমাকে পদ্মায় নিয়ে ফেলে

পদ্মা

‘নদীর বই: জলের লেখাজোকা’-রিভার বাংলা’র এই আয়োজনের জন‍্যই পুনরায় পড়লাম কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। যদি বলি এই প্রথম বার তাও বলা যায়। কেননা এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আগে এই বহুপঠিত উপন‍্যাসটি পড়িনি। পাঠ‍্যপুস্তকে এই উপন‍্যাসের অংশবিশেষ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ শিরোনামে পড়লেও তা তো সমগ্র ছিল না। ছিল অংশ বিশেষ। তাই তার দু-একটি সংলাপ মনের মধ‍্যে থাকলেও এবার যেন পুরো উপন‍্যাসটিই বুকের ভেতর ঢুকে এল। যদিও এই উপন‍্যাস আশ্রিত চলচ্চিত্র (নির্দেশনা: গৌতম ঘোষ) বেশ কিছু বছর আগে দেখেছি। কিন্তু পাঠ‍্যপুস্তকের পদ্মা নদীর মাঝি, চলচ্চিত্র পদ্মা নদীর মাঝি আর ক’দিন আগের পড়া পদ্মা…

“দুই বাংলার নদীকথা”- নদীমাতৃক বাংলার বিশ্বকোষ

দুই বাংলার নদীকথা

।। জ্যোতিরিন্দ্রনারায়ণ লাহিড়ী ।।  “ দেওয়াল ঘড়ির পেন্ডুলামের মত নদী একটা নির্দিষ্ট ব্যপ্তির মধ্যে ক্রমাগত সঞ্চরণশীল থাকে। যে ব্যপ্তির মধ্যে নদী সতত গতিশীল থাকে তাকে বলে নদীর ‘মিয়েন্ডার বেল্ট’। নদীর ‘মিয়েন্ডার বেল্ট’কে তার খেলাঘর বলা যায়। যেখানে সে সক্রিয় থাকে। এই এলাকা কৃষি কাজে ব্যবহার করা গেলেও রেলপথ বা সড়কপথ নির্মাণের যোগ্য নয়। মানুষ না বুঝে নদীর খেলাঘরে ঢুকে পড়লেই বিপদ আসতে বাধ্য।”- সদ্য প্রকাশিত “দুই বাংলার নদীকথা” নামে বইতে বাংলার নদী নিয়ে তাঁর চার দশক ব্যাপী নিরলস গবেষণা ও চর্চার নির্যাসকে তুলে এনেছেন নদী বিজ্ঞানী কল্যাণ রুদ্র। নদী আমাদের…

‘মহানদী’, এক সাধারণ পাঠকের অনুভব

মহানদী

।। সুস্মিতা চক্রবর্তী ।।  মহানদী। ছত্রিশগড়ের মালভূমি থেকে নেমে এসে জগৎসিংহপুরের বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যেতে যেতে ভারতবর্ষের মাটির সাথে বেঁধে নেয় তার ভাঙা গড়ার খেলা, যেমন নেয় সব নদীই তার নিজভূমের সাথে। নদীর নিজভূমটি ঠিক কে? সে কি মানচিত্রে দাগ টেনে দেওয়া আঁকাবাঁকা এক ভৌগোলিক জরিপের সীমানা? নাকি বয়ে যাওয়া এক গতিময় অতল? যে অতল উৎস থেকে পাড়ি দেয় মোহনা আর একইসাথে নিজেও হয়ে ওঠে অজস্র আখ্যান, লোককথা, লোকাচার, ইতিহাস, পুরাণের, বৃক্ষলতাগুল্ম, কীটপতঙ্গ, অরণ্যজীবন আর মানুষের এক মহা সংগম, এক মহা মিলনস্থল। নদীর এই দ্বিতীয় রূপটিই অনিতা অগ্নিহোত্রীর, ‘মহানদী’ উপন্যাসের উপজীব্য।এই…