নরসুন্দায় চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

অভিযান

এম জে এইচ বাতেন >> কিশোরগঞ্জের বুক দিয়ে প্রবাহিত নদ নরসুন্দা। এ নদে প্রচুর কচুরিপানা জন্ম নিয়েছে। যা কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। কচুরিপানা রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দু’সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়। নরসুন্দা নদের কচুরিপানা নিয়ে গত ৩১ জুলাই ২০২০ তারিখে রিভার বাংলায় প্রকাশিত “নরসুন্দায় কচুরিপানা: বর্ষায়ও পানি দেখা যাচ্ছে না” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করার পর (২০, আগস্ট, ২০২০)  বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ…

কিশোরগঞ্জে নদী দখলের মহোৎসব

নদীমাতৃক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত হলেও সেই নদীসমূহ-ই সবচেয়ে বেশি দূষিত হয়ে পড়ছে। সারা দেশের ন্যায় হাওড় অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের নদ- নদীগুলোর এখন আর সেই জৌলুস নেই। কলকারখানার বর্জ্য আর গৃহস্থালি ও পয়োবর্জ্যরে শেষ ঠিকানা যেন এই নদীগুলো। শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত এককালের নরসুন্দা নদসহ জেলার অন্যান্য সব নদ- নদীগুলো এখন পরিণত হয়েছে আবর্জনা ফেলার খাল হিসেবে। অথচ এসব নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলের শহর ও গঞ্জ। এখন মানুষের ব্যক্তিগত উন্নয়নের স্বার্থে নদ- নদীগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী বাঁচাতে না পারলে পরিবেশে…

নদী নিয়ে কিছু কথা

ও নদীরে..  একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে, বলো কোথায় তোমার দেশ? তোমার নেই কি চলার শেষ? কিন্তু শেষ আর শুরুর মাঝখানের আমাদের প্রিয় নদটাই আজ মরতে বসেছে। হ্যাঁ আমি প্রিয় নরসুন্দারর কথা বলছি। শুধু আমাদের নরসুন্দা নদ নয়, বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো নদ- নদীই আজ মরণাপন্ন। চারদিকে নদীর সাথে চলছে অনাচার। চলছে নদীকে ধ্বংস করার, নদীকে দূষিত করার এক বীভৎস প্রচেষ্টা। একইসাথে চলছে নদী দখলের প্রতিযোগিতা ও। অবৈধভাবে নদী দখল, নদী থেকে বালু উত্তোলন, নদীগুলোকে ধ্বংস করার কোন প্রচেষ্টাই যেন আজ থেমে নেই। ছোটবেলায় পরীক্ষায় যখন “বাংলাদেশ” রচনা আসতো, তখন “বাংলাদেশ…

কবি উপল হাসানের কবিতা “নরসুন্দার জৌলুস”

কবিতা

নরসুন্দার জৌলুস উপল হাসান                                           …………………………………………………………………………………………………………. বাঁশ পাতার পথটা পেরোলেই মনিপুর ব্রিজ…. তাকালেই আকাশে তারা’র মেলা ব্রিজের তলে বিধবার শুকনো ঠোঁটের মতোন নরসুন্দার বিষাদ… বিষন্ন নৌকায় ছেঁড়া জাল জেলেদের বিবর্ণ দিনের প্রতীক হয়ে ঝুলছে…. ছেলেবেলায় এখানেই দেখছি কত বেদেনীর নৌকা, বেদেনীর শাড়ি পরা, সর্পিল হাঁটা, সার্কাসের জীবন্ত হাতি- বাঘ-ভাল্লুক, স্কুল পালিয়ে কেটে যেত বেলা সেইতো আমার রুপকথার নরসুন্দা, একটুখানি বাঁক দিলেই মেলা বাজার দেশ বিদেশের কত সওদাগরি নৌকা ভিড়েছে, তামা…

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (তৃতীয় পর্ব)

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (তৃতীয় পর্ব)

নরসুন্দা নদীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে হোসেনপুরে। নরসুন্দা সেই হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে পূর্ব দিকে বয়ে কিশোরগঞ্জের বুক চিরে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাকরসার জালের মত ছড়িয়ে গেছে। এটি কিশোরগঞ্জ শহরের বুকচিরে প্রবাহিত হয়ে পূবে করিমগঞ্জ হয়ে হাওরের ধনুতে মিশেছে। অ্যদিকে কিশোরগঞ্জ শহর হয়ে যশোদল হয়ে ও ভৈরবের দিকে চলে গেছে। এছাড়াও তাড়াইল, কটিয়াদিসহ জেলার অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। বলা যায় নরসুন্দা কিশোরগঞ্জকেই প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। তাই নরসুন্দার সঙ্গে এখানকার জনসাধারণের রয়েছে এক প্রবল প্রাণোচ্ছ্বাসের অনুভূতি। নরসুন্দা নদীর নামকরণ নিয়েও এখানকার মানুষের মধ্যে প্রবল আাবেগ কাজ করে। জনৈক নিষ্ঠাবান…

স্মৃতিকথা : আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (দ্বিতীয় পর্ব)

স্মৃতিকথা : আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (দ্বিতীয় পর্ব)

কিশোরগঞ্জ শহর থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরেই ব্রহ্মপুত্র নদ। ছেলেবেলায় নরসুন্দায় সাঁতার কাটতে কাটতেই একবার মনে হলো যাই না একবার ব্রহ্মপুত্র নদ দেখে আসি। সাইকেলে চড়ে ক’জন বন্ধু চলে গেলাম হোসেনপুর। ব্রহ্মপুত্র স্বচক্ষে দেখলাম। প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখে অবাক হলাম। এর বিশালতা, ঢেওয়ের গর্জন এবং বড় বড় নৌকা দেখে চমকিত হয়েছিলাম। ছেলেবেলায় এটা ছিল আমাদের জন্য এক কৌতুহলি অভিযান ও নতুন অভিজ্ঞতা। সেদিন ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখে মনটাও যেন একলাফে বড় ও বিশাল হয়ে উঠেছিল। এখন পরিণত বয়সে এসেও সেই নদের স্বপ্ন দেখি। এখনো কল্পনা করি নরসুন্দা নদীপথে আমরা আবার হোসেনপুরে…

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ

আমার সখা নরসুন্দা

।। মু আ লতিফ ।। [প্রথম পর্ব] নরসুন্দা নদীর সঙ্গে আমার জন্মাবধি ভালোবাসা। আমার শৈশব-কৈশোর নরসুন্দার জল, জলের স্রােতধারা ও এর বালুচরের সঙ্গে মিশে আছে। নদীর নিরবধি বয়ে চলা, বর্ষায় টই-টম্বুর খরস্রােতা নরসুন্দার ছবি এখনো আমাকে উন্মনা করে। আমার শরীর-মন ও আমার চৈতন্যকে বিকশিত করেছে- আমার সখা নরসুন্দা। ছেলেবেলায় যে নরসুন্দাকে দেখেছি এখনো সেই স্মৃতিই মানসপটে আঁকা রয়েছে। খরস্রােতা যৌবনা নরসুন্দার কল্লোলধ্বনি এখনো কানে বাজে। ওই সময়ের নরসুন্দার শোভার কথা বললে এখন কেউ বিশ্বাস করবে না, জানি। কিন্তু ছেলেবেলার রোমাঞ্চকর স্মৃতি তো ভুলার নয়। কেউ বিশ্বাস করুক আর নাই করুক, সুখময়…

তাড়াইলে নদী ভাঙ্গন, দেখার কেউ নেই!

নদী ভাঙ্গন

নরসুন্দা, সূতী আর ফুলেশ্বরী এই প্রাচীন তিনটি নদ-  নদী বিধৌত জনপদের নাম তাড়াইল। পূর্বদিকে ফুলেশ্বরী, দক্ষিনে নরসুন্দা আর পশ্চিমে সূতী। তালজাংগার জমিদারের স্ত্রী তারামন সুন্দরির নামানুসারে তাড়াইল উপজেলা নদী বেষ্টিত একটি প্রাচীন জনপদের নাম। তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল তাড়াইলের পূর্ব দক্ষিনের মাখনাপাড়া নামক গ্রামের সন্মুখে। মাখনাপাড়া প্রাচীন জেলেপল্লী নামে খ্যাত।এখানে প্রাচীন একটি মন্দির ও একটি শ্মশানও রয়েছে। তিনটি নদীর মিলনস্থলে বর্ষাকালে প্রবল স্রোত বহমান থাকে।ফলে সঙ্গমস্থলের মোহনা থেকে মাটি ও পলল সরে গিয়ে গভীরতা বৃদ্ধি পায়। যার কারনে শুকনো মৌসুমে পানি নিচে নেমে গেলে মাখনাপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিধস শুরু হয়। বিগত…

একটি নদী ও নারীর আত্মাহুতি :  আফজল হোসেন আজম

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। আমার স্বচক্ষে দেখা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে প্রাচীনকালে নরসুন্দা নদ থেকে সৃষ্ঠ ফুলেশ্বরী একটি খরস্রোতা বৃহৎ নদী ছিল। কিশোরগঞ্জ সদরের নীলগঞ্জ হতে এটি নরসুন্দার শাখা নদী হিসেবে তাড়াইলের তালজাংগা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম হয়ে রাউতি ইউনিয়নে আসে।রাউতির কুরপাড় হয়ে চেংগুরিয়া, কৌলি, হরিগাতী, কারংকা,বানাইল,দাউদপুর, নওগাঁ হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার গগডার পাশ দিয়ে সেকান্দরনগর গ্রাম বেধ করে বোরগাঁও দিয়ে তারাইলের সূতী নদীর সাথে মিলিত হয়।যা এখন পথে পথে বাকরুদ্ধ মৃতপ্রায়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলাকবি ও বাংলা মঙ্গল কাব্যের প্রথম সংকলক( আত্মীয়সূত্রে প্রাপ্ত কবি নারায়ন দেবের) চন্দ্রাবতীর…