তিনি ছিলেন নদীর সন্তান 

সন্তান 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ তাঁর জন্মদিন। আজ আরও একবার অনুভব করলাম প্রবল ভাবে যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই নদীর সন্তান। তাই লেখার তাগিদ অনুভব করলাম।যদিও এটা খন্ডাংশ বলাই শ্রেয়। নদীর সন্তান না হলে কেউ এভাবে নদীকে তাঁর চিন্তা- চেতনা-ভাবনা- লেখায় জড়িয়ে নিতে পারেন?!  অথচ কি আশ্চর্য! তাঁর জীবনের প্রথম ভাগে নদীর সাথে তার সংযোগ আমরা সেই অর্থে পাইনা। নদী প্রবাহিত হয় সর্পিল গতিতে, আঁকাবাঁকা পথে। আমাদের জীবনের পথও কি তেমন নয়? বিচিত্র সব ইতিহাস যেন লুকিয়ে আছে নদীর সব বাঁকে বাঁকে। একটু যদি দৃষ্টি প্রসারিত করি তাহলে দেখবো যে দুই…

কোপাই নদীর হেরিটেজ মর্যাদার জন্য আবেদন করবো 

Tuhin Shuvra Mandal

নদীর কথা বললেই কোন্ কবিতার লাইন সবার মনে আসে বলুন তো! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমাদের ছোট নদী। “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,  বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে” দিয়ে লেখা শুরু করেছেন কবি। (যদিও আমাদের ছোটবেলায় পড়া আঁকে বাঁকের বদলে এখন বাঁকে বাঁকে পাওয়া যায়)  বলুন তো কোন্ নদীকে দেখে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন? ঠিক ধরেছেন। কোপাই নদীকে নিয়েই। প্রাণের কোপাই নদীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ‘কোপাই’ নামে একখানি কবিতাও আছে। এখন যখন ফিরে দেখা হচ্ছে সব নদীকে। তখন ফিরে তাকানো যাক কোপাই নদীর দিকে। কেমন আছে কোপাই? তার আগে রবীন্দ্রনাথের নাম দেওয়া এই কোপাই নদী…

চূর্ণীকথা : একটি নদীপ্রবাহের উৎসের খোঁজে – গৌতম অধিকারী

রবীন্দ্রনাথের ‘কথা’ কাব‍্যের ‘দেবতার গ্রাস’ কবিতায় ‘গ্রামে গ্রামে সেই বার্তা’ রটে যাবার সূত্রে আমরা জেনেছিলাম, ‘মৈত্র মহাশয় যাবে সাগরসঙ্গমে/ তীর্থস্নান লাগি।’ মৈত্র মহাশয়ের এই ‘গ্রাম’ কিংবা সংবাদ রটে যাওয়া গ্রামগুলো যে চূর্ণী নদীতীরেরই সব সাধারণ পল্লি, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ থাকে না। বিশেষ করে এই কবিতাটিতেই যখন তিনি সাগর-তীর্থে শুভযাত্রাকালীন বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন, শুভক্ষণে দুর্গা স্মরি নৌকা দিল ছাড়ি/ দাঁড়িয়ে রহিল ঘাটে যত কূলনারী/ অশ্রুচোখে। হেমন্তের প্রভাত শিশিরে/ ছলছল করে গ্রাম চূর্ণীনদীতীরে। ‘দেবতার গ্রাস’ কবিতার সমাপনী কাহিনিটি বড়োই করুণ। সাগরতীর্থ থেকে ফেরার পথে বিধবা মোক্ষদার শিশুপুত্র রাখালকে বিসর্জন…