কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ : এবার প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন 

কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ

নদীবিজ্ঞানে একথা বলা হয় যে নদীব্যবস্থাপনা করতে গেলে খাঁড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।খাঁড়ি ভালো থাকলে নদী ভালো থাকবে। কিন্ত দক্ষিন দিনাজপুরের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই লক্ষ্য করছি দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া খাঁড়ি ব্যবস্থাপনাতে খুব বেশী কাজ এগোয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই কাশিয়া খাঁড়ির নাম উল্লেখ করতে চাই। দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি প্রধান নদী আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা। দুটি নদীকে সংযুক্ত করতো কাশিয়া খাঁড়ি। কিন্ত এই খাঁড়ি টিকে কেন বারবার অধিবাসীদের নিজেদের খনন করার উদ্যোগ নিতে হচ্ছে? সম্প্রতি গতবছরের মতো এবারও রাধানগর, গোপিনগর, ভাতশালা, বাদমুল্লুক কিসমত, গঙ্গাসাগর গ্রামের অধিবাসীরা নিজেরাই খাঁড়িকে খনন করলো। কিন্ত কেন? কারণ…

পুনর্ভবা-ব্রাহ্মনী নদী বাঁচাতেই হবে, এটাই সময়ের দাবী 

পুনর্ভবা-ব্রাহ্মনী নদী বাঁচাতেই হবে, এটাই সময়ের দাবী 

পুনর্ভবা নদী গঙ্গারামপুরের প্রধান নদী। এই নদী একটি আন্ত:সীমান্ত নদী যা ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ও তপন ব্লকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই নদী বর্তমানে ভয়াবহ সমস্যায় আক্রান্ত। নদীতে জল নেই, নদীটি দূষণের শিকার। আগে যা মাছ পাওয়া যেত তার পরিমাণ অনেক কমেছে। নদীর উপর নির্ভরকারী মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবী ভয়ংকর সঙ্কটে। পুনর্ভবার মতো আরেকটি নদীও গঙ্গারামপুরের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতিতে একসময় প্রভাব বিস্তার করেছিল, তা হলো ব্রাহ্মণী। কিন্ত বর্তমানে নদীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীটি দখল হয়ে গিয়েছে। তাই এই দুই নদীকে ঘিরে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি…

সংসদ নির্বাচন : বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

জয়া ফারহানা>> একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা যত ব্যস্ত, তার চেয়েও বেশি ব্যস্ত তাদের পারিষদবর্গ। তারা জানেন, পরিবেশকর্মী প্রেসার গ্রুপের দাবি মোতাবেক নদী-বন-পাহাড় রক্ষায় ইশতেহারে যত ভালো কথাই লেখা থাক, ইশতেহারের আদর্শ প্রতিশ্রুতিগুলো ফাইলবন্দিই থাকবে। এমপি সাহেবকে নানা কায়দায় তোয়াজের মাধ্যমে যিনি সাইজ করতে পারবেন, এলাকার বন-নদী-পাহাড়-টিলা-খাল-বিল চলবে তারই ইশারায়, নির্দেশমাফিক। তোষামোদিতে যিনি ফার্স্ট হবেন, বাস্তবে পূরণ হবে তার খায়েশ। এরাই আমাদের নদীগুলোর বালু তুলে তুলে এগুলোকে এমন ব্যথা দিয়েছে যে, এখন হাতে আর এমন কোনো প্যারাসিটামল নেই, যা নদীর ব্যথা দূর করতে পারে। ভৈরব, রূপসা, কপোতাক্ষ, ইছামতি, মাথাভাঙা,…

হারিয়ে যাওয়া মাছ কি নদীর মৃত্যুর আশংকাই সামনে আনে না?

Tuhin Shuvra Mandal

আজ একুশে নভেম্বর ।ওয়ার্ল্ড ফিসারি দিবস।আজ এই দিনে খুব মনে পড়ছে সেই সব মাছেদের কথা।যারা চিরতরে হারিয়েছে।এই মাছ গুলো হারিয়েছে কেন? আমরা কি কারণ খুঁজেছি ? কেন হারিয়ে যায় মাছেরা? সে নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন হতে পারে।তবে এটা ঠিক যে মাছেরা হারিয়ে গেলে নদীর মৃত্যুর আশংকাই সামনে চলে আসে। আমি যে নদী গুলোকে প্রতিনিয়ত দেখি, অনুভব করি তাদের প্রাণের স্পন্দন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আত্রেয়ী (বাংলাদেশে আত্রাই), পুনর্ভবা, টাঙ্গন, শ্রীমতি, ইছামতী, যমুনা ইত্যাদি।এইসব নদীতে যে যে মাছ পাওয়া যেত এখন কি সেগুলো পাওয়া যায়? এটা জানতে কিছুদিন আগে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প-এর…

দুই বাংলার যৌথ নদী ব্যবস্থাপনাই নদী সুরক্ষার একমাত্র পথ

তুহিন শুভ্র মন্ডল>>   ভারত এবং বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত নদীগুলিকে সুরক্ষা দিতে দুই দেশের যৌথ অংশগ্রহণ অতীব জরুরী।কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলেনে একথা গুলোই তুলে এনেছিলাম। আমাদের সভ্যতা নদীমাতৃক । নদী আমাদের জীবন, জীবিকা।নদী সুস্থায়ী অর্থনীতির একটা সূচক।আমাদের সংস্কৃতিতে, উপাচারে নদী জড়িয়ে রয়েছে।নদী পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম । অথচ সেই নদীগুলির প্রতি কি আশ্চর্য উদাসীনতা!! ভারতবর্ষের দক্ষিন দিনাজপুর আমার জন্মভূমি। সেখানকার নদীগুলির বর্তমান অবস্থা মোটেও ভালো নয়। আত্রাই, টাংগন, ইছামতি,পুনর্ভবা, যমুনা,  ব্রাহ্মণী, শ্রীমতি, শ্রী ইত্যাদি নদীগুলির অবস্থা ভাল নয়।জলহীনতা, জলদূষন, নাব্যতা কমে যাওয়া, মাছেদের হারিয়ে যাওয়া, নদীর বুকে জমি দখল এমনকি মালিকানা…