পুনর্ভবা-ব্রাহ্মনী নদী বাঁচাতেই হবে, এটাই সময়ের দাবী 

পুনর্ভবা-ব্রাহ্মনী নদী বাঁচাতেই হবে, এটাই সময়ের দাবী 

পুনর্ভবা নদী গঙ্গারামপুরের প্রধান নদী। এই নদী একটি আন্ত:সীমান্ত নদী যা ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ও তপন ব্লকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই নদী বর্তমানে ভয়াবহ সমস্যায় আক্রান্ত। নদীতে জল নেই, নদীটি দূষণের শিকার। আগে যা মাছ পাওয়া যেত তার পরিমাণ অনেক কমেছে। নদীর উপর নির্ভরকারী মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবী ভয়ংকর সঙ্কটে।

পুনর্ভবার মতো আরেকটি নদীও গঙ্গারামপুরের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতিতে একসময় প্রভাব বিস্তার করেছিল, তা হলো ব্রাহ্মণী। কিন্ত বর্তমানে নদীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীটি দখল হয়ে গিয়েছে। তাই এই দুই নদীকে ঘিরে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে সচেতনতার বার্তাও দিচ্ছেন নাগরিকরা। পরবর্তী কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করা হচ্ছে। সনাতন তামলি ভৃগোলের শিক্ষক।তিনি মনে করেন, ভূগোল শুধু শ্রেণীকক্ষের বিষয় নয়।তা বাঁচানোর জন্য শ্রেণীকক্ষের পাওয়া শিক্ষাকে কাজে লাগানোর জন্য তা প্রয়োগ করবার প্রয়োজন আছে।এর আগেও পুনর্ভবার প্রতীকী নদী সাফাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল যখন সেইসময় সনাতন অন্যদের সাথে অংশ নিয়েছিলেন।

কবি গোবিন্দ তালুকদার বলেন, ব্রাহ্মণী নদীর পাশে আমার বাড়ি ছিল।কি প্রশস্ত নদী দেখেছি ব্রাহ্মণীকে।আর আজ কি অবস্থা! দেখলে কষ্ট হয়। নদী সরাসরি আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত।তা ভাল না থাকলে আমরা ভাল থাকবো কি করে?

নদীকে রক্ষা করতে ছাত্র- ছাত্রী ও নাগরিকদের অংশগ্রহণের কথাও উঠছে।গঙ্গারামপুর পৌরসভার কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন গঙ্গারামপুরের মানুষ। পুনর্ভবা ও ব্রাহ্মণী বাঁচাতে হবে।সময়ের সাথে সাথে এই দাবী উঠতে শুরু করেছে মানুষের কাছ থেকে। এটাই আশা জাগাচ্ছে।

আরো পড়তে পারেন….

লন্ডনের টেমস নদীর পানিতে উচ্চমাত্রার মাদক, নেশাগ্রস্ত হচ্ছে মাছ

তিস্তা নদী : শুকিয়ে যাচ্ছে কি সিকিমের কারণেই?

আত্রেয়ী নদী সাফাই : ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা

সংশ্লিষ্ট বিষয়