“আত্রেয়ীর উপাখ্যান”-শুধু একটি নাটক নয়, জীবনের উপাখ্যান 

আত্রেয়ীর

গ্রীণ থিয়েটারের চর্চা দীর্ঘদিন ধরেই করে বালুরঘাটের কাছেই থাকা অযোধ্যা কে ডি বিদ্যানিকেতন। তাদেরই নবতম প্রযোজনা “আত্রেয়ীর উপাখ্যান”। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রধান নদী আত্রেয়ীকে নিয়েই এই উপাখ্যান। স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীরা নদীকে ভালবেসে যে তাকেই জীবন করে নিয়েছে তা বোঝা যায় নাটকটির মঞ্চায়ন দেখেই। শুরু থেকে শেষ অবধি গানের সুতোয়, জীবনের কথায়-যন্ত্রণায় মিলে- মিশে আছে নদীরই কথা। আর সে কথাই তাদের কথায়, অভিনয়ে, গানে বাঙ্ময় করে তুললো প্রিয়াঙ্কা, বিউটি, সুশান্ত, রাহুল, সুপ্রিয়া, অর্পিতা, রিঙ্কি, সরস্বতী, ,মানস,দুই বৃষ্টি, পিয়া, বিশ্বজিত, রাজকুমার, বন্দনা, সুনতি, লাবনি, প্রণবরা। নাটকটির শুরুই হচ্ছে নদীকে আমরা যে যে…

ভালো থেকো নদী আমার আত্রেয়ী 

বৈশাখে নদী ভাবনা - তুহিন শুভ্র মন্ডল

রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী আত্রেয়ী  নিয়ে লিখেছেন নদী আন্দোলনের সংগঠক তুহিন শুভ্র মন্ডল  – সম্পাদক কবে থেকে নদীকে দেখতে শিখি মনে পড়ে না ঠিকঠাক।তবে হ্যাঁ, নদীকে দেখি অনেকদিন থেকেই। আমার বাড়ি বালুরঘাটে একেবারে খাঁড়ির ধারে।প্রতিদিন সকালে জানলা খুললেই দেখতে পাই তাকে। বলা যেতে পারে ঘুম থেকে উঠে জল দেখি আর জলকে দেখেই ঘুমোতে যাই।এই খাঁড়িই গিয়ে মিশেছে বাড়ির অদূরে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী আত্রেয়ীর সাথে। সেই আত্রেয়ী, যাকে পেরিয়ে মায়ের হাত ধরে পৌছাতাম দাদু-দিদার বাড়ি। মনে পড়ছে বর্ষার সময় নৌকা করে যেতাম। সোজা পথে না গিয়ে নৌকা ঘুরপথে…

কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ : এবার প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন 

কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ

নদীবিজ্ঞানে একথা বলা হয় যে নদীব্যবস্থাপনা করতে গেলে খাঁড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।খাঁড়ি ভালো থাকলে নদী ভালো থাকবে। কিন্ত দক্ষিন দিনাজপুরের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই লক্ষ্য করছি দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া খাঁড়ি ব্যবস্থাপনাতে খুব বেশী কাজ এগোয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই কাশিয়া খাঁড়ির নাম উল্লেখ করতে চাই। দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি প্রধান নদী আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা। দুটি নদীকে সংযুক্ত করতো কাশিয়া খাঁড়ি। কিন্ত এই খাঁড়ি টিকে কেন বারবার অধিবাসীদের নিজেদের খনন করার উদ্যোগ নিতে হচ্ছে? সম্প্রতি গতবছরের মতো এবারও রাধানগর, গোপিনগর, ভাতশালা, বাদমুল্লুক কিসমত, গঙ্গাসাগর গ্রামের অধিবাসীরা নিজেরাই খাঁড়িকে খনন করলো। কিন্ত কেন? কারণ…

নদী চেতনা বাড়াতে নদীপাড়ের মেলা আয়োজক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া উচিত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পাড়ে দশহরা মেলা । ছবি- বাংলার ডাক ।

একথা বলতে ভাল লাগছে যে বিভিন্ন ভাবেই মানুষের মধ্যে নদী চেতনা বাড়ার নমুনা বা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। নদীর কথা উঠে আসছে অনবরত সংবাদমাধ্যমে। সমগ্র পৃথিবীতেই নদীর কথা বলতে শুরু করেছেন নদীকর্মীরা। প্রশাসন কখনও কখনও বাধ্য হচ্ছে নদীকে কেন্দ্র করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে। আবার এটাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে প্রশাসন নিজেরাও চেতনা বৃদ্ধির নমুনা প্রদর্শন করছে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে নিজেরাই নদী সুরক্ষার কাজ করছে। নদীকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। এখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চাই।তা হল নদীর পাড়গুলিতে বিখ্যাত সব মেলা হয়।এবং তা হয় বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন…