রৌমারীতে নদীভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিঞ্জিরাম নদী সুরক্ষা কমিটি। মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বকবান্ধা ব্যাপারিপাড়ায় জিঞ্জিরাম নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাত শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী সুরক্ষা কমিটির নেতা মহীউদ্দিন মহির, ইউপি সদস্য আবু সাঈদ, রৌমারী মহিলা কলেজের শিক্ষক আব্দুস সামাদ খান, বকবান্ধা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, ট্রোসা প্রকল্পের প্রতিনিধি খায়রন্নেসা সরকার প্রমুখ। স্থানীয় বকবান্ধা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি যে স্কুলে চাকরি করি সেটা একবার ভেঙেছে। আবারও ভাঙনের মুখে। আমি এ অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বসতি রক্ষায় অনতিবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ…
Tag: নদীভাঙন
১৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী ড্রেজিং
ফসিহ উদ্দীন মাহতাব : নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, বন্যা ও পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে ছোট-বড় নদীনালা, খাল-ডোবা ড্রেজিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় চার হাজার ৪০৮৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ পরিকল্পনার আওতায় পর্যায়ক্রমে দেশের দুটি সিটি করপোরেশন, ৩৭৫ উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী, ৩৫২টি খাল এবং আটটি ডোবা ড্রেজিং করা হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রায় ১ হাজার ৮০০ কি.মি. নৌপথের নাব্য সংকট দূর হবে, পানির ধারণ ক্ষমতা এবং নিষ্কাশন ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে নৌ-চলাচল ও যোগাযোগ সহজ হবে।…
মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ নামাজ আদায়
লক্ষ্মীপুর : মেঘনার অব্যাহত ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে কমলনগরে বিশেষ নামাজ আদায় ও দোয়া করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার লুধুয়া ঈদগাহ এলাকায় নদীর তীরে এ দোয়া করা হয়। কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক লোক অংশ নেন। অব্যাহত ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে দুই রাকাত বিশেষ নামাজ আদায় শেষে মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন বিশেষ দোয়া করেন। এ সময় নদীভাঙনে সর্বহারা মানুষেরা আল্লাহর দরবারে আহাজারি করে এ থেকে মুক্তি কামনা করেন। জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে যেভাবে ভাঙন চলছে তা আগে কখনো দেখেনি এ অঞ্চলের…
“বাংলাদেশে কোনো নদীভাঙন থাকবে না”
বাংলাদেশে কোনো নদীভাঙন থাকবে না। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাসংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে এ মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশে টাকার জন্য কাজ করা যেত না। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এখন টাকার অভাব নেই। তাই শুধু বাউফল নয়, পুরো বাংলাদেশেই কোনো নদীভাঙন থাকবে না। আর এসবই সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমের কারণে। শনিবার [ ১৮ মে ২০১৯] দুপুর ১২টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাউফল উপজেলার ধূলিয়া, নুরাইনপুর, তালতলী ও নিমদী এলাকার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ…
স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীন সোহাগদল ইউনিয়নের গনমান লবণের মিল
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে ওই এলাকার মানচিত্র। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে দক্ষিণ কৌরিখাড়া, গনমান ও পূর্ব সোহাগদল গ্রামের বসতঘর, বাগানবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। আশির দশকের শেষ দিকে নদীভাঙন শুরু হয়ে এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত এ নদীভাঙনের ফলে উপজেলার গনমান, ছারছীনা, দক্ষিণ কৌরিখাড়া, উত্তর কৌরিখাড়া, শান্তিহার, কুনিয়ারী, ব্যাসকাঠি, জলাবাড়ী, পূর্ব সোহাগদল সেহা্গংল এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদের অনেক বসতভিটে সর্বনাশা সন্ধ্যার গর্ভে হারিয়ে গেছে। ছবি ও সংবাদ সূত্র : কালের কণ্ঠ। রিভার বাংলা ডটকম
“নদী তো আর এক জায়গায় থাকে না, যেখানে পলি উঠানো হয় নদী সেখানেই যায়”
।। রিভার বাংলা ডট কম ।। নদীমাতৃক বাংলাদেশে ‘নদী ভাঙন’ একটি বাস্তবতা। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। সম্প্রতি ‘পদ্মা’র ভাঙন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। বহু বছর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নদীর ভিন্ন জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। নাসার সেই প্রতিবেদন ও নদীভাঙন রোধে করণীয় প্রসঙ্গে সমকাল অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেন সার্ভিসেস’ (সিইজিআইএস)-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও নদী-বিশেষজ্ঞ ড. মমিনুল হক সরকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাসলিমা তামান্না সমকালঃ নাসার প্রতিবেদন বলছে, পদ্মার ভাঙনে ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত…
নড়িয়ার নদীভাঙন ও মানুষের দুর্দশা- ধরিত্রী সরকার সবুজ
।। রিভার বাংলা ডটকম ।। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাটি পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ উপজেলার অনেক স্থাপনা ও শত শত ঘড়বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মানুষের চোখের সামনে একের পর এক বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট পদ্মার পেটে চলে যাচ্ছে। পদ্মা নদীর পানি ও স্রোত গত শুক্রবারও বেড়েছে এবং নড়িয়া উপজেলায় ভাঙন অব্যাহত আছে। শুক্রবার পর্যন্ত ছয় হাজার ১৩০টি পরিবার নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারাল। পদ্মা নদীর চলমান ভাঙনের ফলে উপজেলার মানুষ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। কেদারপুর, কেদারপুর দাসপাড়া ও উত্তর কেদারপুর গ্রামের মানুষ পুরোটা সময় পার করছে ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কা…