আহা, এইখানে এক নদী ছিল… ।। প্রভাষ আমিন

প্রভাষ

সবারই শেষ জীবন কাটানোর একটা স্বপ্ন থাকে। কারো স্বপ্ন পূরণ হয়, কারোটা হয় না। আমার স্বপ্নটা ছোট, কিন্তু জানি পূরণ হবে না। আহা, আমার যদি ছোট্ট একটা নদীর পারে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর থাকত। সেখানে ফেসবুক দরকার নেই, ইন্টারনেট লাগবে না; খালি বই পড়া আর গান শোনার ব্যবস্থা থাকলেই হবে। সকালে নদীর পারে হাঁটব, বুক ভরে নেব, ফ্রেশ অক্সিজেন, দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটব, বিকেলে নদীর পারে আরাম কেদারায় বসে বই পড়ব আর গান শুনব। রাতে নদী থেকে আসা ভেজা হাওয়া গায়ে মেখে, বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে ঘুমিয়ে যাব।

আমার শেষ জীবনের স্বপ্নে যেমন নদী আছে, আছে ছেলেবেলায়ও। শুধু আমার নয়, নদীমাতৃক বাংলাদেশে সবার স্মৃতিতেই একটা না একটা নদী থাকে। ছেলেবেলার স্মৃতির পরতে পরতে থাকে নদীর বিস্তার। আমাদের বাড়ির সবচেয়ে কাছে দাউদকান্দি দিয়ে বয়ে গেছে গোমতী নদী। প্রমত্তা মেঘনাও খুব দূরে নয়। কিন্তু আমার ছেলেবেলার নদীর নাম কালাডুমুর। আমার মামাবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক সেই গানের মতো, ‘এই নদীতে সাঁতার কাইটা বড় হইছি আমি…।’

আমার জন্ম রঘুনাথপুরে মামাবাড়িতে। আমরা শহীদনগরের বাড়ি থেকে বাসে যেতাম ইলিয়টগঞ্জ। সেখান থেকে নৌকায় পাঁচপুকুরিয়া হয়ে সালিয়াকান্দি রঘুনাথপুর। এই পথটা ছিল ছেলেবেলায় আমাদের অনাবিল আনন্দের উৎস। বর্ষায় এই কালাডুমুরে পাল তোলা নৌকা চলতো, চলতো গুণ টানা নৌকাও। শাপলা-শালুকের বিল পেরিয়ে পৌঁছে যেতাম মামাবাড়ি। আর মামাবাড়ি মানেই অবাধ স্বাধীনতা; পড়াশোনা নেই, যা ইচ্ছা তাই করা যেত। পুরো গ্রামটাই যেন ছিল মামাবাড়ি। হাটতে হাটতে যেকোনো বাড়িতে ঢুকে পড়লেই ‘ও তুমি শাহেদার পোলা’ বলে মিলতো বাড়তি সমাদর। বলছিলাম কালাডুমুর নদীর কথা। ইলিয়টগঞ্জ থেকে রঘুনাথপুর যেতে যেতে নদী দেখতাম, নদীর দুই পারের মানুষ দেখতাম। ছইয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে মিশে যেতাম উদার প্রকৃতির সঙ্গে। বাবা-মায়ের কড়া দৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুঁয়ে দিতাম নদীর জল। বিল দিয়ে যাওয়ার সময় টান দিয়ে তুলে নিতাম শাপলা।

আমাদের মামাবাড়ি কালাডুমুর নদীর পারে। নৌকা ভিড় তো একদম মামাবাড়ির উঠানে। সেই নদীতে অবাধ সাঁতারের স্মৃতি এখনো ভালো লাগার আবেশ আনে মনে। কালাডুমুর নদীর পশ্চিম পারে রঘুনাথপুর আর পূর্ব পারে সালিয়াকান্দি বাজার, যেখানে আড়ং বসতো। নদী পারাপারের জন্য ছিল মাঝি ছাড়া খেয়া নৌকা। দুই পারে দড়ি বাঁধা থাকত। দড়ি টেনে টেনে নিজেরাই পার হয়ে যেতে হতো। মাঝি বছরে এক-দুবার গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে টাকা বা ফসল সংগ্রহ করত। সেই খেয়ার বদলে এখন আধুনিক ব্রিজ। শাঁ শাঁ করে গাড়ি চলে। আগে যেখানে নৌকা ভিড়ত, মামাবাড়ির সেই উঠানে এখন গাড়ি যায়। রাস্তা হয়েছে, ব্রিজ হয়েছে। কিন্তু হারিয়ে গেছে নদীটাই। কালাডুমুর ছিল রবীন্দ্রনাথের সেই ছোট নদীর মতো, বৈশাখ মাসে যাতে হাঁটুজল থাকত। এখন সারা বছরই সেখানে হাঁটুজল। ঠাসা কচুরিপানায় কালাডুমুরকে নদী নয়, ডোবা মনে হয়। পালতোলা নৌকা তো দূরের কথা, কচুরিপানা ঠেলে কোনো নৌকাই চলতে পারে না। কুমিল্লা যাওয়ার পথে ইলিয়টগঞ্জ গেলেই গাড়ির গতি কমিয়ে দেই। কালাডুমুরের দিকে তাকালে স্মৃতির নদীতে উথালপাথাল ঢেউ ওঠে, বুকের গহিন থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, আহা, এইখানে এক নদী ছিল…।

কয়েকদিন আগে ইলিয়টগঞ্জ থেকে মতিন সৈকত ফোন করেছিলেন। মতিন সৈকত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে গ্রামে বিষমুক্ত কৃষি আন্দোলন করেন। রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন। ফোন করে জানালেন, কালাডুমুর নদীকে বাঁচাতে মানববন্ধন করবেন, আমি যেন যাই। ব্যাকপেইনের কারণে আমি যেতে পারিনি। কিন্তু তারা দখলমুক্ত ও খনন করে কালাডুমুর নদীকে বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়েছে বলে খবর পাইনি। শুধু কালাডুমুর নয়, আমাদের চোখের সামনে দখলে-দূষণে এমন অসংখ্য নদী মরে গেছে। পত্রিকার পাতায় প্রায়ই এমন মরা নদীর গল্প পড়ি, আর বুকের ভেতরে হাহাকার টের পাই। কিন্তু নদী বাঁচাতে পারি না। বাংলাদেশ আসলে একটি ব-দ্বীপ। নদীর পলি জমে জমেই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। নদী তার বুকে করে পলি বয়ে আনে বলেই বাংলাদেশ সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা। এই উর্বর ভূমির কল্যাণেই আমরা ১৬ কোটি মানুষ এখনো খেয়ে বেঁচে আছি।

নদী কেন্দ্র করেই বিকশিত হয়েছে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। গড়ে উঠেছে শহর-বন্দর। বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকা, শীতলক্ষ্যার তীরে নারায়ণগঞ্জ, পদ্মার তীরে রাজশাহী, ব্রহ্মপুত্রের তীরে ময়মনসিংহ, গোমতীর তীরে কুমিল্লা, কর্ণফুলীর তীরে চট্টগ্রামÑ এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। শিল্প-সাহিত্য-গানে নদীর বিপুল বিস্তার। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এর মতো কালজয়ী উপন্যাস, পরে যা থেকে কালজয়ী সিনেমাও হয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিশ্ব ঘুরেছেন, কিন্তু তার হৃদয়জুড়ে কপোতাক্ষ নদ। নজরুল শূন্য হৃদয় বিসর্জন দিতে চান পদ্মার ঢেউয়ে, তাঁর প্রেয়সী অপেক্ষা করে, ‘গোমতীর তীরে পাতার কুটিরে।’ রবীন্দ্রনাথ বজরায় পদ্মার বুকে ভেসে রচনা করেছেন অমর সব কাব্য। বাংলাদেশে কবিতা লিখেছেন, কিন্তু তাতে নদীর ছোঁয়া নেইÑ এমন খুঁজে পাওয়া ভার। নদী মিশে আছে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে, অর্থনীতিতে, ধর্মে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন গঙ্গাস্নানে পুণ্য হয়। আবার দেবী বিসর্জন দিতেও কিন্তু নদী লাগে। আহা, নদী আমাদের কত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ধারণ করে বয়ে চলে।

‘নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস’ কবির এই আক্ষেপের জন্যও নদী লাগে। ‘এ কূল ভেঙে, ও কূল তুমি গড়ো, যার এ কূল, ও কূল গেল তার লাগি কী করো?’ কবির এই প্রশ্ন আমাদেরকেও বিরহ বেদনায় কাতর করে। এপার ভাঙে, ওপার গড়ে এই তো নদীর খেলা। কিন্তু এই খেলার জন্য তো তেমন নদী লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন এমন নদী কয়টা আছে? রাক্ষুসে পদ্মা যেমন গিলে খায় আমাদের ঘরবাড়ি। তেমনি আমরাও সুযোগ পেলে দুর্বল নদী দখল করে ঘর বানাই।

বাংলাদেশে নদীর দারুণ বৈচিত্র্য নামে, লিঙ্গে, ধরনে। বাংলাদেশে নদী যেমন আছে, নদও আছে। কপোতাক্ষ, আড়িয়াল খাঁ নদী নয়, নদ। প্রত্যেকটা নদ বা নদীর আলাদা গল্প আছে, ইতিহাস আছে, মিথ আছে। চট্টগ্রামের হালদা নদী মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র। পদ্মার ইলিশ আর মেঘনার ইলিশের স্বাদ আলাদা। নাম শুনেই আমি অনেক অদেখা নদীর প্রেমে পড়ে যাই। আর ভাবি, যারা এই নামগুলো রেখেছেন, তারা কী দারুণ রোমান্টিক ছিলেন। আন্ধারমানিক, ইছামতি, ইলিশা, কর্ণঝরা, কর্ণফুলী, কীর্তনখোলা, কীর্তিনাশা, খোলপেটুয়া, চিত্রা, ঝিংরি, টঙ্কাবতী, টিয়াখালী, তুলসীগঙ্গা, তোয়া, দুধকুমার, ধানসিঁড়ি, নবগঙ্গা, পানগুছি, পায়রা, ফুলকুমার, ফুলজোড়, মধুমতি, ময়নাকাঁটা, মুক্তেশ্বরী, যমুনেশ্বরী, রায়মঙ্গল, লাউকাঠি, সোমেশ্বরী, সুগন্ধা, হরিণঘাটা, হুরাসাগর- কি চমৎকার সব নাম। নাম শুনলেই হৃদয়টা ভিজে যায়, চোখের সামনে ভাসে একটা টলটলা পানির স্রোত, যা বয়ে চলে কলকল ধ্বনিতে।

জাতি হিসেবে আমরা আত্মহননপ্রবণ। যে নদী আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, সে নদীকে আমরা মেরে ফেলি। আমাদের লোভের থাবায় অসহায় নদী ছোট হতে হতে একসময় মরে যায়। খনন করে আপনি খাল বানাতে পারবেন, নদী নয়। তবে খনন করে মরা নদীকে বাঁচানো যায়। নদী মানে স্রোত থাকবে, জোয়ার-ভাটা থাকবে। কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, দূষণে বুড়িগঙ্গার পানিতে মাছও বাঁচতে পারে না। চারপাশে চারটি নদী, এমন শহর বিশ্বেই বিরল, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারতাম, সেই নদীগুলোই যেন এখন আমাদের অভিশাপ। দখলে-দূষণে মরতে বসেছে বুড়িগঙ্গা; বালু-তুরাগ-শীতলক্ষ্যার অবস্থাও খারাপ। মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে গেলে দেখবেন প্রতিদিন বালু ফেলে নদী ভরাট করা হচ্ছে। নদীর সীমানা রক্ষায় হাইকোর্টের নানা নির্দেশনা থাকলেও বাংলাদেশের ভূমিদস্যুরা হাইকোর্টকে থোরাই কেয়ার করে। বুড়িগঙ্গা দুর্ভাগা। ঢাকার পাশে না বয়ে যদি লন্ডন বা ওয়াশিংটন বা নিউইয়র্কের পাশ দিয়ে বইতো; তার রূপ-যৌবনও টেমস, পটেমক বা হাডসন নদীর মতো হতো। কেউ কেউ বলতে পারেন, লন্ডন-আমেরিকার সঙ্গে তুলনা দিয়ে লাভ নেই। কিন্তু ভাই, তারা নদীকে পারলে বাঁধাই করে মাথায় তুলে রাখে, আর আমরা সুযোগ পেলেই ময়লার লাইনটা নদীতে দিয়ে দেই। নদী বাঁচানোর সঙ্গে বড়োলোকি, ছোটোলোকির কোনো সম্পর্ক নেই। বুড়িগঙ্গাকে যদি আমরা সবাই মিলে হাডসনের মতো সুন্দর রাখতাম, আমেরিকা কি মাইন্ড করতো?

ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশে নদী ছিল হাজারের ওপরে। ষাটের দশকেও ছিল ৭৫০টি নদী। গত ৫০ বছরে কমেছে ৫২০টি। এখন বাংলাদেশে মূল নদীর সংখ্যা ২৩০টি। এই হারে কমতে থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ইনশাল্লাহ একদিন আমরা নদীমুক্ত করতে পারব। নদীর জায়গায় আবাসন প্রকল্প হবে, বড় বড় ফ্ল্যাট হবে। মানুষের জন্য জায়গা দরকার, বাড়ি দরকার; নদী দিয়ে কী হবে? স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের নৌপথ ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার কিলোমিটারে। শীতকালে যা ৪ হাজারের নিচে নেমে আসে। আচ্ছা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নামে একটা মন্ত্রণালয় আছে না দেশে? অবশ্য নৌ পরিবহনমন্ত্রী তো সড়ক পরিবহন নিয়ে ব্যস্ত। তাই বোধহয় তিনি নৌপথকে সড়ক পথ বানিয়ে ফেলছেন। অথচ দেখুন আমরা কত বোকা, নগদ লাভটাও বুঝি না। নৌপথে পণ্য পরিবহনের খরচ রেলপথের চেয়ে ৭ গুণ, সড়ক পথের চেয়ে ৩ গুণ কম। অঙ্কে ভালো হলে তো আমরা ২৪ হাজার কিলোমিটারকে আরো বাড়াতাম। আমরা সেতু বানাচ্ছি, ফোর লেন, সিক্স লেন রাস্তা বানাচ্ছি; কিন্তু নৌপথ কমাচ্ছি।

বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন নদী রক্ষায় রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৭ দফা পেশ করেছে। কিন্তু অন্তর্ভুক্তি পরের কথা, আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কি সে দফাগুলোতে চোখ বোলানোর সময় আছে?

কিন্তু নদী বাঁচাও আন্দোলন যতই মানববন্ধন করুক, আমরা যতই চিল্লাফাল্লা করি; নদী বাঁচাতে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার। যারা নদী দখল করে তারা প্রভাবশালী। আমাদের কথা শুনতে তাদের বয়েই গেছে। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু নদী দূষণ থেকে রক্ষায় এগুলোর পাশের শিল্প-কারখানায় সার্বক্ষণিক ইটিপি চালু রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমাদের কথায় তা হবে না। নদীর নাব্য বজায় রাখতে ড্রেজিং দরকার। আর সেটা ভালোবাসা দিয়ে হবে না, টাকা লাগবে। ৫৪টি অভিন্ন নদীর উজানে ভারত যাতে অতিরিক্ত পানি প্রত্যাহার করে নদীগুলোর টুঁটি চেপে না ধরে ভারতকে সে জন্য চাপ দিতে হবে। নদী বাঁচাতে আমাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা যেমন দরকার; তেমনি চাই সরকারের সদিচ্ছা। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই যেতে হবে দাবি নিয়ে। তাদের সময় না থাকলে জোর করতে হবে।

তবে সব কাজ রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ নেই। দায়িত্বটা আমাদের সবার। চেষ্টা করুন আপনার পাশের নদীটা যাতে কেউ দখল করতে না পারে, কেউ যাতে নদীতে ময়লা না ফেলে। নদী পবিত্র, নদী মায়ের মতো; তাকে সম্মান করুন। আপনার ছেলেবেলার নদীটা কি বেঁচে আছে না মরে গেছে। মরে গেলে বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বেঁচে থাকলে রক্ষা করুন। নদী বাঁচানোর চিৎকার করুন জোরে, যাতে নীতি-নির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌঁছায়।

নদী হলো মায়ের মতো। মাকে সুস্থ রাখা, ভালো রাখা, বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।

প্রভাষ আমিন: বার্তাপ্রধান, এটিএন নিউজ


আরও পড়তে পারেন….
নদী কীর্তিনাশা ।। রুখসানা কাজল
কচানদী: নদীও নারীর মতো ।। মনি হায়দার
মহানন্দার ডাকে ।। হামিদ কায়সার
যে জলে জীবন জ্বলে ।। রেজাউল করিম

সংশ্লিষ্ট বিষয়