আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিশ্ব নদী দিবস পালনের আহবান জানিয়ে “নদী বাঁচাও অভিযান” এর ডাক দিয়েছে নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন। ১০টি দাবি সামনে রেখে ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ডসহ রাজ্যের বিভিন্ন নদী অববাহিকা জুড়ে ১০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর জন-চেতনা মূলক প্রচার কর্মসূচি পালিত হবে।
ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ, যুব, শহরের নাগরিকদের মধ্যে এক পক্ষকাল জুড়ে চলবে প্রচার সঙ্গে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা হবে। মধ্য-পূর্ব ভারতের, ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ২৫টি জেলা জুড়ে বিভিন্ন সমমনভাবাপন্ন গণ সংগঠনের যৌথতায় এক পক্ষকাল এই কর্মসূচি পালিত হবে।
বিশেষ করে মাথাভাঙা-চূর্ণী নদীর দূষণের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবিতে শিবনিবাস,মাঝদিয়া থেকে দর্শনা চল আওয়াজ তুলে পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। নদী সংযুক্তিকরণের তীব্র বিরোধীয় মহানদী অববাহিকা জুড়ে গণ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ‘দি ডিগ্রোথ’ ওয়েব পোর্টালের লোগো উদ্বোধন করা হল আজকের মঞ্চ থেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী তপন সাহা, অধ্যাপক সুমন দে, নদী আন্দোলনের বর্ষিয়াণ নেতৃত্ব স্বপন ভৌমিক, মনবিদ মোহিত রণদীপ, বিশিষ্ট পর্বতারোহী সঞ্জয় দাস। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নদী কর্মী তাপস দাস।
১. কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া নদী সংযুক্তিকরণের মতো বিধ্বংসী পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
২. নদীতে বাঁধা সৃষ্টিকারী সমস্ত ছোট-বড় বাঁধ-বাঁধাল তৈরি বন্ধ করতে হবে। জলবিদ্যুত প্রকল্পের সমস্ত বাঁধ-ব্যারেজের দীর্ঘকালীন সুফল পুন:মূল্যায়ন করতে হবে।
৩. নদী নির্ভর মৎস্যজীবীদের স্বাধীন জীবিকা বাঁচিয়ে রাখতে নদীতে পর্যাপ্ত নির্মল জল সুনিশ্চিত করতে হবে।
৪. মৃত এবং মৃতপ্রায় নদীগুলিকে বাঁচাতে সার্বিক ভূমিরূপ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।
৫. দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আত্রেয়ী নদীতে চেক ড্যাম তৈরি অবিলম্বে বন্ধ করে নদীকে তার পুরোনো রূপে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৬. মৎস্যজীবীদের জীবিকা সুরক্ষিত করতে মাথাভাঙা-চূর্ণি নদীতে দূষণ রোধে আন্তর্জাতিক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. বন্যা নিয়ন্ত্রণে বড় বাঁধ, তট বন্ধন এর বিকল্প দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮. গঙ্গা নদীসহ যে সমস্ত নদীতে জল প্রবাহের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তার সার্বিক মূল্যায়ণ করে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. প্রাকৃতিক সার্বজনীন সম্বল গুলিতে উন্নয়ন নামক সমস্ত রকম কংক্রিট নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
১০. দেশের নদীগুলির বেসরকারীকরণ ও বানিজ্যিকীকরণ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়তে পারেন…..
রাজেশ ধর এর গল্প- ‘জলমুক্তি জিন্দাবাদ’
নদী রক্ষা আন্দোলন কর্মী, কলকাতা, ভারত।