বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় বদ্ধপরিকর : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী 

যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী। তিনি জানেন দেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে নদ নদী ও নদী তীরবর্তী মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তাই সরকার একদিকে যেমন নদীর ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে অন্যদিকে যেসব নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে সেসব নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে।’

সোমবার টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা ও ধলেশ্বরী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ।

উপমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই কীভাবে নদীভাঙন রোধ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি আমি।

যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা, মাইঝাইলসহ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা ও সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়ায় ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার পরামর্শ দেন তিনি।

পরে নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম দেখতে যান উপমন্ত্রী। এ সময় নদীতে থেকে পাড়ে অপেক্ষা করা মানুষকে শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রী।

এ সময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক এসএম শফিকুল হক, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম, দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. নাদিরা আখতার ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী প্রমুখ। সূত্র: জাগো নিউজ।

আরো পড়তে পারেন….

“নদী দিয়ে আগামীদিনে সমস্ত স্তরের মানুষকে জাগাতে চাই”

আত্রেয়ী কিংবা আত্রাই নদী সুরক্ষা: সমগ্র দক্ষিন এশিয়ায় একটা উদাহরণ হবে কি?

হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় : তুরাগ নদকে ‘লিগ্যাল পারসন’ বলে ঘোষণা

 

সংশ্লিষ্ট বিষয়