পরিবেশ বা নদী যদি সুরক্ষিত না থাকে তো কিসের ভোট? প্রশ্ন তুলছেন নতুন ভোটাররা

পরিবেশ বা নদী যদি সুরক্ষিত না থাকে তো কিসের ভোট?

বর্তমান পৃথিবীতে পরিবেশ একটি প্রধান ইস্যু। প্রকৃতি ও সমাজ মিলেই তৈরি হয় পরিবেশ। আর পরিবেশের অন্যতম অঙ্গ নদী । সেই নদীই যদি না থাকে তাহলে কিসের ভোট? এই দাবী তুলছে তনুশ্রী, অমৃতা, সহেলী ,সৈকত,প্রান্তিক, চন্দ্রিকারা।এরা প্রত্যেকেই এবার প্রথম ভোট দেবে।এরা নতুন ভোটার।এবার প্রথম ভোট দেবে ঋতব্রত, অর্করাও।

নদী আমাদের জীবন। কিন্ত সেই জীবন এখন আক্রান্ত। তাই আমাদের বেঁচেও থাকাও সঙ্কটে। বেঁচে থাকাই যদি প্রশ্নের মধ্যে পড়ে তাহলে ভোট করে কি হবে? কোথায় হবে ভোট? তাই যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তারা এগুলো কে প্রচারে আনুক।দায়িত্ব নিক। এটাই বলছে তারা। কি বলছে তারা? অমৃতা মুখার্জি, সহেলী দে, সৈকত সরকারদের কথায়- নদী ও পরিবেশ অবশ্যই ভোটের ইস্যু হওয়া উচিত। তারা ভবিষ্যতের জনপ্রতিনিধি। তাই তাদের সবার আগে নদীর কথা, পরিবেশের কথা বলতে হবে। তনুশ্রী প্রামাণিক আরও একধাপ এগিয়ে, তার কথায় যদি পরিবেশ না থাকে।নদী না বাঁচে তাহলে কিসের ভোট? ভোট করে কি হবে? তাই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়ানো তৃণমৃল কংগ্রেস, বিজেপি, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস প্রার্থীরা নদী ও পরিবেশ কে ইস্যু করবে, তা রক্ষার অঙ্গীকার করবে।

আরো পড়তে পারেন….

 

থিয়েটারে উঠে আসুক মরা নদীর কান্না

“নদী মানে আমার কাছে মুক্তি”

কেন বলছে একথা নতুন ভোটাররা? কেননা নদীর অবস্থা শোচনীয়।পরিবেশের অবস্থা তথৈবচ।এখন থেকেই ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণের অভিমুখ ঠিক করতে হবে। তার জন্য চাপে রাখতে হবে। এখন থেকেই তারা যদি নদী ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকে তাহলে দেশের সংসদে তা যথাযথ উপস্থাপন করতে পারবে।সেটাই উচিত।দেশের জনগণ যাদের হাতে দায়িত্ব দিচ্ছে তাদেরকেও তো দায়িত্ববোধ দেখাতে হবে। তবে এ পর্যন্ত এখনও ভোট প্রার্থীরা এ নিয়ে কিছু বলেছেন, বলে জানা যায়নি। তাই এই দাবী আরো জোরালো হচ্ছে। নতুন ভোটারদের আশা ভোট প্রচারের দ্বিতীয় পর্বে নিশ্চয়ই নদী ও পরিবেশের কথাই সর্বাগ্রে আসবে। কেননা নদী ও পরিবেশ বাঁচলে কর্মসংস্থানও হবে। আবার আর্থ- সামাজিক সঙ্কট থেকেও মুক্তি মিলবে।

দক্ষিণ দিনাজপুর, কলকাতা, ভারত  থেকে লিখেছেন নদীকর্মী তুহিন শুভ্র মন্ডল>>

সংশ্লিষ্ট বিষয়