নদী বিষয়ক কবিতা “আত্মীয়”- ফারুক মাহমুদ

কবিতা: আত্মীয় ১. আমি ঠিক এসে যাবো। নদী, তুমি কিন্তু অপেক্ষা করো না জানই তো সময়ের স্বেচ্ছাচার আঁট করে আছে রাত্রিগুলো ঢুকে যাচ্ছে অঘুমের দীর্ঘ কোলাহলে দিনের ব্যস্ততা থেকে ঝরে পড়ে মূল্যশূন্য ধূলো এর মধ্যে জারি হয় রোদনের খিন্ন প্রজ্ঞাপন কিছু কান্না জমে গেছে। নদী, বলো, কার কাছে কাঁদি আমার চোখের জল তুমি ছাড়া আর কেউ বোঝ!? ২. জলের নিঃশ্বাস থেকে পাওয়া যায় ছন্দশুদ্ধ গান স্বভাবে বাউল বটে, যেতে যেতে বহুদূর যায় কান্নার বিচিত্র শ্রেণি। নৈশব্দ ও শব্দপ্রকরণে অক্লান্ত জাগিয়ে রাখে বিষাদের নানারং আলো নদীকে আত্মীয় মানি। ওর ভাষা সর্বজনভাষা…

আমি মেঘনা পারের ছেলে : ফারুক মাহমুদ

।। রিভার বাংলা ডট কম ।। ভৈরবের মেঘনা নদী নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, এ নদীর ‘কাকচক্ষু জল ‘-এর খ্যাতি ছিল। নদীগবেষকরা এ কথাও বলেছেন, মেঘনা নদীর পানি বিশুদ্ধতার দিক থেকে সারা পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষে। আর সেই নমুনা-পানি সংগ্রহ করা হয়েছিল মেঘনা নদীর ভৈরব এলাকা থেকে। মেঘনা নদীর মাছের স্বাদ এ কারণেই এত বেশি। কালের আবর্তে মেঘনা নদী এর ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। নগর বিস্তার, পুঁজির সর্বগামীতার আঁচে দেশের অন্যান্য নদীর মতো ভৈরবের মেঘনাও শ্রীহীন, লাবন্যহীন হয়ে পড়েছে। ধান কটার মরসুমে ভাটি এলাকায় যেতো রঙিন পালতোলা…