বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদীকে রক্ষা করা। গত ছয় মাসে মানুষের মধ্যে জনসচেতনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ নদী রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও নদী রক্ষায় আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। ৭৫ পরবর্তি সময়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছিল না, এখন তা ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ফসল সবাই ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুতের উন্নয়ন। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদীকে রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। সে গুরুত্ব অনুধাবন করে নদীকে রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিবে সেগুলো বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী উদ্ধারে অনেক বাধা এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের কমপ্রোমাইজ করিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নদী উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, পি কে এস এফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।