নদীয়া জেলার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী হল মথাভাঙা (উৎপত্তি বাংলাদেশের পদ্মা নদী মোহনা ভাগীরথী) আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে ভারতে মাত্র ১৯কিমি প্রবাহিত হয়ে চূর্ণিও ইছামতি নামে দুটি শাখার বিভক্ত হয়েছে। এর অকৃতি খানিকটা ইংরেজি’Y’ এর মত।বর্তমানে এই নদীটির জলন্ত সমস্যা হল নদী বাঁধাল (নদী তে বালির বস্তা,বাঁশ,মশারির নেট,ব্যবহার করে প্রবাহ কে ২/৩ফুটে আবদ্ধ করে সেখানে বড় গোলাকার মুখের লম্বা জালের ব্যবহার) এর নিয়ন্ত্রক স্থানীয় কিছু আসাধু মৎস্যজীবী।
নদীর যাবতীয় মাছ ও জলজ প্রানী সবই আটকে পড়ে ওই বাঁধালে।বর্তমানে নদী মাছশূন্য।নদী তীরবর্তী ১৩০টি গ্ৰামের প্রায়৩০হাজার মৎস্যজীবী পরিবার জীবিকা হারিয়েছেন।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে জেলাশাসক, বিডিও সবাই বাঁধাল তোলার কথা বললেও আজ ৫বছরে ও বাঁধাল ওঠেনি।কোন অদৃশ্য হাত এদের মাথার ওপর যার জোরে একটি নদীকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে।
আরো পড়তে পারেন…
পশ্চিমবঙ্গের নদী বাঁচাও আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি হতে চলেছে
নদী রক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে, শ্রীমতি তার অন্যতম উদাহরণ
কলকাতা সবুজমঞ্চের পশ্চিমবঙ্গের নদী বাঁচাও কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। যুক্ত আছেন বিজ্ঞান দরবার নামের একটি সংগঠনের সাথে। সংগঠনটি ১৯৯০ সাল থেকেই নদীও ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে কাজ করে। এছাড়া তিনি নদীয়া, হুগলী উত্তর ২৪পরগনা, ও দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার হারিয়ে যাওয়া নদী নিয়ে (vedio & stil photography documentation) কাজ করছেন।