সমগ্র দেশ জুড়েই চলছে প্রতিবাদ। আজ এই লড়াইয়ের একশো পয়ত্রিশ তম দিন।এবার গোটা দেশের সাথে বালুরঘাটও যোগ দিল এই নদী রক্ষার লড়াইতে।“বালুরঘাট দিচ্ছে ডাক/ প্রধানমন্ত্রী শুনতি পাক” এবং ” নদী রক্ষার অক্ষর/ এক লক্ষ স্বাক্ষর” মূলত এই দুটি স্লোগানকে সামনে রেখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেস ক্লাব ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক লক্ষ সই সংগ্রহে নামলো নদী ও পরিবেশ সংগঠন দিশারী সংকল্প ।
স্বামী আত্মবোধানন্দ। ছাব্বিশ বছরের একটা তরতাজা তরুণ। হরিদ্বার মাতৃসদনের আশ্রমিক।গঙ্গা নদী রক্ষায় সমর্পন করেছেন নিজের প্রাণ।অবিরল ও নির্মল গঙ্গার দাবীতে আজ নিয়ে একশো পয়ত্রিশ দিনের অনশন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই অনশনের কথা পৌছাচ্ছে না। এর আগে গঙ্গা সমর্পিত প্রাণ অধ্যাপক জি ডি আগরওয়াল অনশন করতে করতে মারাই গেলেন। কিন্ত কোন ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই দেশ জুড়ে লড়াইতে নেমেছে নদী ও পরিবেশ কর্মীরা ।
এ তো শুধু গঙ্গার লড়াই নয়।এ সমগ্র নদী রক্ষার লড়াই।তাই দিশারী সংকল্পের পক্ষে বালুরঘাটে উদয়, সাহেব, মাহি, প্রীতম দের মতো তরুণ- তরুণীরা এই কাজে সামিল হয়েছে। তাদের কথায় মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। মানুষ সমর্থন জানাচ্ছেন আত্মবোধানন্দের এই লড়াইয়ের প্রতি।বালুরঘাট থেকে শুরু হলেও জেলার পতিরাম, হিলি, তপন, কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, কুশমন্ডি, হরিরামপুর সমস্ত জায়গাতেই এই সই সংগ্রহের কাজ চলবে।এমনকি জেলার বাইরে থেকেও এই সই সংগ্রহ অভিযানে সহযোগিতা করতে চেয়ে নদীবন্ধুরা যুক্ত হচ্ছেন।
গঙ্গা নদী নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নমামি গঙ্গে প্রকল্প হয়েছে, প্রায় তিরিশ হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ হয়েছে। কিন্ত গঙ্গার হাল ফেরেনি।গঙ্গাকে মেরে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। এর পর এই সই সংগ্রহ অভিযানে সামিল হচ্ছেন কবি সাহিত্যিকরা।দিশারী সংকল্পের সভাপতি অমল বসু বলেন, গঙ্গাসহ জেলার নদী রক্ষার লড়াই চলতে থাকবে।আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।