কেমন আছো নদী- এই শিরোনামকে সামনে রেখে এবার সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই নদীকর্মীরা কেন্দ্রীয় ভাবে জড়ো হচ্ছে কলকাতায় ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে।তার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটা প্রেস কনফারেন্স এবং কলকাতা বইমেলাতেও এই সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। গতকাল শুক্রবার [৪ জানুয়রি] সবুজ মঞ্চের কলকাতা অফিসে রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের নদী ও সমাজ কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতায়। প্রায় চার ঘন্টার ম্যারাথন মিটিং চলে। সেখানে উঠে আসে নদী কমিশন গঠন, ড্যামের পর্যালোচনা, নো মোর ড্যাম নীতি গ্রহন করা, নদীতে যে কোন দখল মুক্ত করা, বর্জ্য পরিশোধন না করে নদীতে না ফেলা, নদীতে দূষণবাহী যান না চালানো, নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবীত করা, জাল যার জল তার নীতি জনপ্রিয় করা, নদী নীতি গ্রহণ করা,আদি গঙ্গা সহ অন্য নদী ও খাঁড়ি পুনরুজ্জীবন, নদী ভাঙ্গন ও রিভার রিফিউজি দের পুনর্বাসন, আন্ত:সীমান্ত নদী নিয়ে রাজ্যের ভূমিকা ইত্যাদি প্রায় পনের দফা দাবী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। আর সেই লক্ষেই হাজার মানুষের অবস্থান ও ধর্ণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নদীকর্মীরা।
সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত, অন্যতম যুগ্ম কনভেনর অনুপ হালদার,পরিবেশ চিন্তক জয়ন্ত বসু, শশাঙ্ক দেব,বিবর্তন ভট্টাচার্য, তাপস দাস,ঝর্ণা আচার্য,মনিন্দ্র নাথ মুখার্জি, বিপ্লব বসু প্রমুখরা উপস্থিত হয়ে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেন এবং আগামী কর্মসূচী ঠিক করেন।
যেভাবে নদীকর্মীরা জোট বাঁধছে নদীর হাল ফেরাতে তাতে আশান্বিত হওয়াই যায়।পশ্চিমবঙ্গের নদীকে কেন্দ্র করে এতবড়ো কর্মসূচি আগে নেওয়া হয়নি।তাই বলাই যায় নদী বাঁচাও আন্দোলনে এ হবে এক নতুন ইতিহাস যেখানে মিলিত হচ্ছেন নদীর সাথে যুক্ত মৎস্যজীবী, কৃষক, নদী সচেতন নাগরিক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সবাই।