নববর্ষের প্রত্যাশা : ভালো থাকবে আমার নদী সুতি

বৈশাখে নদী ভাবনা - আফজল হোসেন আজম

রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলাস্থ সুতি নদী নিয়ে লিখেছেন নদীকর্মী আফজল হোসেন আজম।- সম্পাদক আজ চৈত্রের শেষ দিন। কেমন জানি সাজ সাজ রবে মেতে উঠেছে আমার দুই পাড়ের বাঙালী। তাদের স্বত্বা নিয়ে লড়ছে বুঝি।আর্য আর অনার্যদের ঝাঁপি মাথায় নিয়ে একি আনন্দের নববর্ষ! ১লা বৈশাখ ১৪২৬ বংঙ্গাব্দ। শুভ নববর্ষ। বাঙালী স্বত্তার একটি দিন। সারাবিশ্বের বিস্ময়! বাঙ্গালী ওরা।আমি সূতী।ওদের স্বত্তার অংশীদার। পিতা নরসুন্দার বড় মেয়ে। আমার বুঝি নববর্ষ নেই। আমি তোমাদেরি মেয়ে। কেমন সুন্দর তুলতুলে নামটি রেখেছিল দাদা ব্রক্ষ্রপুত্র। যৌবনে লালপাঁড়ের শাড়ী পড়তাম। কোমল সূতার বুননের।বাঙ্গালী তাঁতীদের হাতের নিখুঁত…

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (তৃতীয় পর্ব)

আমার সখা নরসুন্দা : মু আ লতিফ (তৃতীয় পর্ব)

নরসুন্দা নদীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে হোসেনপুরে। নরসুন্দা সেই হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে পূর্ব দিকে বয়ে কিশোরগঞ্জের বুক চিরে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাকরসার জালের মত ছড়িয়ে গেছে। এটি কিশোরগঞ্জ শহরের বুকচিরে প্রবাহিত হয়ে পূবে করিমগঞ্জ হয়ে হাওরের ধনুতে মিশেছে। অ্যদিকে কিশোরগঞ্জ শহর হয়ে যশোদল হয়ে ও ভৈরবের দিকে চলে গেছে। এছাড়াও তাড়াইল, কটিয়াদিসহ জেলার অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। বলা যায় নরসুন্দা কিশোরগঞ্জকেই প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। তাই নরসুন্দার সঙ্গে এখানকার জনসাধারণের রয়েছে এক প্রবল প্রাণোচ্ছ্বাসের অনুভূতি। নরসুন্দা নদীর নামকরণ নিয়েও এখানকার মানুষের মধ্যে প্রবল আাবেগ কাজ করে। জনৈক নিষ্ঠাবান…