জীবন-নদী যাত্রা ।। তাপস দাস

নদী যাত্রা

ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেড়িয়ে পরা। তবে একটু ঘুর পথে। এবারের সাথী বন্ধুবর জন্তত ঘোষ দা। দীর্ঘদিনের সাথী সামাজিক সমস্ত কাজের কমরেড, জীবিকায় সহকর্মী। ওর বেড়ে ওঠা দক্ষিণ দিনাজপুরে। অবিভক্ত দিনাজপুরের গৌরব ওর অন্তরের ভিত। সেই ভিতের উপর তৈরি আদ্যপান্ত বাঙালি। বাইক যাত্রায় এমন সাথী পথের ক্লান্তি দূর করে এগিয়ে চলার উৎসাহ যোগায়। জানি প্রতিবারের মতন এই যাত্রার অগোছালো নোটই শেষ হবে পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা তৈরি হবে না। তাই, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ভাইয়ের আহ্বানে রিভার বাংলা ডট কম এর পাঠকদের সামনে রইলো জীবন-নদী যাত্রার এই দিনপঞ্জী। ১৩ নভেম্বর…

ইছামতি বা আত্রেয়ী নয়, সব নদীই আমাদের মনোযোগ দাবি করে

Please Stop River Pollution

Please Stop River Pollution! কিছুদিন আগেই রিভার বাংলাতে ইছামতি নদীর সংস্কার চাই বলে লিখেছিলাম। আর আত্রেয়ীসহ উত্তরবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন নদী- যখনই যাকে কাছ থেকে দেখেছি বা কাজ করেছি তার উপর সেই নদীর কথা, সঙ্কটের কথা, সমাধানের কথা- লিখেছি রিভার বাংলায়। নিউজটি পড়তে ক্লিক করুণ- জীবন- জীবিকার জন্য ইছামতি নদীর সংস্কার জরুরী  এই যেমন ক’ দিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম পঞ্চায়েত একটি আন্ত: সীমান্ত নদী ইছামতি সংস্কারে উদ্যোগ নিল। বা দক্ষিণ দিনাজপুরের জীবনরেখা আত্রেয়ী নদীতে বসন্ত উৎসবে নদী ও পরিবেশ কর্মীরা নদীদূষণ বন্ধ করার সচেতনতার বার্তা দিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে…

প্রসঙ্গ: ভারতের সাম্প্রতিক নদী আন্দোলন ও আমার কিছু কথা

    বন্দো মাতা সুরধনী পুরাণে মহিমা শুনি   পতিত পাবনী পুরাতনী বিষ্ণুপদ উপাধান দ্রবময়ী তব নাম    সুরাসুর নরের জননী।।  -কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী   ভারত উপমহাদেশের শুধু ভৌগলিক রূপরেখা তৈরি নয় সভ্যতা, ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাক্ষী ও ধারক-বাহক আমাদের গঙ্গা নদী। অসংখ্য জীব-বৈচিত্র্যর প্রাণশক্তি যুগিয়ে চলেছে গঙ্গা নদী। ‘স্বর্গের নদী’ নামে খ্যাত ‘গঙ্গা-যমুনী-তহজীব’ এই নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ভারতীয় সভ্যতা। ভারত, তিব্বত (চীন), নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ জুড়ে ১০৮৬০০০ বর্গ কিমি জুড়ে গঙ্গা অববাহিকা।  ভারতের ২৬ শতাংশ ভূমিখন্ডে ৮৬১৪৫২ বর্গ কিমি গঙ্গা ও তার উপনদী ভারতের মূল জল বহনের আধার।  উত্তরে…

বাঁধালে বিপন্ন মাথাভাঙ্গা নদী

বাঁধালে বিপন্ন মাথাভাঙ্গা নদী

নদীয়া জেলার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী হল মথাভাঙা (উৎপত্তি বাংলাদেশের পদ্মা নদী মোহনা ভাগীরথী) আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে ভারতে মাত্র ১৯কিমি প্রবাহিত হয়ে চূর্ণিও ইছামতি নামে দুটি শাখার বিভক্ত হয়েছে। এর অকৃতি খানিকটা ইংরেজি’Y’ এর মত।বর্তমানে এই নদীটির জলন্ত সমস্যা হল নদী বাঁধাল (নদী তে বালির বস্তা,বাঁশ,মশারির নেট,ব‍্যবহার করে প্রবাহ কে ২/৩ফুটে আবদ্ধ করে সেখানে বড় গোলাকার মুখের লম্বা জালের ব‍্যবহার) এর নিয়ন্ত্রক স্থানীয় কিছু আসাধু মৎস্যজীবী। নদীর যাবতীয় মাছ ও জলজ প্রানী সবই আটকে পড়ে ওই বাঁধালে।বর্তমানে নদী মাছশূন‍্য।নদী তীরবর্তী ১৩০টি গ্ৰামের প্রায়৩০হাজার মৎস্যজীবী পরিবার জীবিকা হারিয়েছেন। স্বয়ং মুখ‍্যমন্ত্রী থেকে…