যে নদী জীবন দিল, জীবিকা দিল, দিল পরিচয়- তার দিকে দৃষ্টি ফেরানো আমাদের সর্বাগ্রে দরকার। কেন একথা বলছি? তাহলে কি নদীর দিকে আমাদের দৃষ্টি নেই? সোজাসাপটা বলা ভাল- না নেই। নদীর দিকে আমাদের দৃষ্টি নেই। তাই যদি হতো তাহলে নদীরজন্য অনশন করতে হতো না, নদীর জন্য মানুষকে রাস্তায় নামতে হতো না, নদীরজন্য কনভেনশনের দরকার পড়তো না।নদীর জন্য মৌন মিছিলের প্রয়োজন ছিল না। রাজ্য, দেশ এমনকি দেশের বাইরেও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বজায় রাখার জন্য আন্দোলন করতে হতো না। অথচ আমাদের সভ্যতা নদীমাতৃক। নদী নির্ভর জীবন ছিল। নদীকে নির্ভর করেই পরিবার প্রতিপালিত…
Tag: মৎস্যজীবী
“আত্রেয়ীর উপাখ্যান”-শুধু একটি নাটক নয়, জীবনের উপাখ্যান
গ্রীণ থিয়েটারের চর্চা দীর্ঘদিন ধরেই করে বালুরঘাটের কাছেই থাকা অযোধ্যা কে ডি বিদ্যানিকেতন। তাদেরই নবতম প্রযোজনা “আত্রেয়ীর উপাখ্যান”। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রধান নদী আত্রেয়ীকে নিয়েই এই উপাখ্যান। স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীরা নদীকে ভালবেসে যে তাকেই জীবন করে নিয়েছে তা বোঝা যায় নাটকটির মঞ্চায়ন দেখেই। শুরু থেকে শেষ অবধি গানের সুতোয়, জীবনের কথায়-যন্ত্রণায় মিলে- মিশে আছে নদীরই কথা। আর সে কথাই তাদের কথায়, অভিনয়ে, গানে বাঙ্ময় করে তুললো প্রিয়াঙ্কা, বিউটি, সুশান্ত, রাহুল, সুপ্রিয়া, অর্পিতা, রিঙ্কি, সরস্বতী, ,মানস,দুই বৃষ্টি, পিয়া, বিশ্বজিত, রাজকুমার, বন্দনা, সুনতি, লাবনি, প্রণবরা। নাটকটির শুরুই হচ্ছে নদীকে আমরা যে যে…
জলবায়ু পরিবর্তন : সঙ্কটে নদীর মাছ ও মৎস্যজীবী
বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের করাল গ্রাসে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে এখন আর কারো কোন সন্দেহ নেই। তুন্দ্রা জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বাস্তুতন্ত্র হোক বা ক্রান্তীয়। হ্যাবিট্যাট লসের ঘটনাও ঘটছে পৃথিবী জুড়ে। নদীর জলেও তার প্রভাব পড়েছে। সমস্যাতে পড়ছে নদীর জলে থাকা মাছেরা। আত্রেয়ী নদীতে আগের তুলনায় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এল এমনটাই। আত্রেয়ী নদী দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান নদী। তার মাছের সংখ্যা ও বৈচিত্র্য দুটোই কমছে। নদী পাড়ের মানুষ ও মৎস্যজীবীদের সচেতনতা নিয়ে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরব পরিবেশ প্রেমী সংগঠন দিশারী সংকল্প। বিভিন্ন ভাবেই তারা মাছ কমে…
নদী ও খাঁড়িকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে জলের ধারের মানুষ
দক্ষিণ দিনাজপুর [ কলকাতা, ভারত ] থেকে>>> ডাঙ্গা খাঁড়ি একটা সম্ভাবনা। এক অনন্ত সম্ভাবনা। যা পরিপার্শ্বকে বদলে দিতে পারে। কিন্ত সম্ভাবনার উল্টো পিঠে থাকে সমস্যা। যা এতদিন ছিল ডাঙ্গা খাঁড়ি। মূর্তিমান এক সমস্যা। কিন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের ভাবনা ও উদ্যোগে তা বর্তমানে নতুন এক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। বুধবার তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৃত্তিবাস নায়েক প্রমুখ। প্রথমেই বলে রাখা যাক যে ডাঙ্গা খাঁড়ির যোগ আছে জেলার প্রধান নদী আত্রেয়ীর সাথে। সংযোগ এতটাই যে ডাঙ্গা খাঁড়ি আত্রেয়ী খাঁড়ি নামেও পরিচিত। বালুরঘাটের মানুষ স্বপ্ন দেখেছে ও…
নৌকা আর ভাসে কই নদীর জলে? সঙ্কটে নৌকা কারিগররা
সেদিন দেখা হল পরাণ মাঝির সাথে। রিকশা ঠেলে সওয়ারী নিয়ে যাচ্ছে নদী পাড়ে।হাঁক দিলামঃ কি গো! তুমি? উত্তর পেলামঃ এখন আর নৌকা ঠেলি না গো! ব্রীজ হয়ে গেসে। জলও তো নাই। বলতে বলতে বেরিয়ে গেল পরাণ মাঝি। সত্যিই তো আগের মতো তো আর নৌকা চলাচল করেনা।যাত্রী কিংবা পন্য- দুটোতেই নৌকার প্রাধান্য কিংবা কদর কমেছে। উন্নয়ন আর নগরায়নে এক শ্রেণীর মানুষ কাজ হারিয়েছে। রাতের বেলা সিভিক পুলিশের ডিউটি শেষ করে নদী পেরিয়ে পাগলিগঞ্জের ওপারে সোদপুর- বদিহারে যেতে তাই জয়দেব দের আর নৌকা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া মাঝিকে ডাকতে হয়না। ব্রীজ আর রাস্তা…
কানাই খাড়ির পাড়ে জীবনকে চেনা
‘সারান্ডা’ সাতশো পাহাড়ের দেশ। সেই পাহাড়ের রূপ দেখে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি কাশ্মীর দেখতে চান না, কারণ লোকে বলে কাশ্মীরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মানুষ অন্য সব রূপ ভুলে যায়। তিনি সারান্ডা’র পাহাড়-জঙ্গলের রূপ ভুলতে চাননি। তেমনি ভারতের প্রায় সব বড় নদী এবং অসংখ্য ছোট নদী দেখার সুযোগ আমার জীবনে এসেছে নদীর কোন না কোন অবস্থায়। সেই নদীর মধ্যে একটি ‘প্রিয় নদী’ বাছাই করার কোন ইচ্ছা আমার হয় না কখনো। সব নদী দেখার, নদীর একেক গতিতে দেখার একেক রকম আনন্দ। তাই একটি নদীর গুণ মুগ্ধতার বর্ণনা করার চেয়ে ভালো কোন একদিনের…
লাবন্যমতী একটি নদীর নাম
রিভার বাংলা’র বৈশাখী আয়োজনে লিখেছেন, কলকাতার নদী আন্দোলনের সংগঠক অনুপ হালদার – সম্পাদক ভারতবর্ষ নদী মাতৃক দেশ। অর্থাৎ এই সভ্যতার জন্মদাত্রী নদী।পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নদীর প্রভাব আরো বেশি ভাবে লক্ষ করাযায়।নদী যেমন এদেশের সমাজ, সভ্যভায়, সংস্কৃতি তে বিরাজমান তেমনই আমাদের মনের মনি কোঠায় নদী চীরকাল ই জায়গা করে নিয়েছে। নদীর সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই গভীর ও নিবিড়।আগেও মানুষ নদী কে ব্যবহার করে এসেছেন নৌকা দিয়ে, সেচ দিয়ে, মাছধরে,কিন্তু বিগত কয়েক দশকে আমাদের পুঁথিগত শিক্ষা আমাদের প্রকৃতির প্রতি সেই শ্রদ্ধার জায়গা কে দুরে সরিয়ে দিয়ে আমাদের ঔদ্ধত্য কে বড় করে তুলেছে প্রকৃতির সাথে…
নদী সুরক্ষার দাবিতে কলকাতার রাজপথে হাজারো মানুষ
কুড়ি ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। নদী ও পরিবেশ আন্দোলনের ইতিহাসে এক অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকলো।যেদিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নদী বাঁচানোর কথা উঠে এল রাস্তায়। স্লোগান উঠল জাল যার জল তার।বাতাস ধ্বনিত হলো নদী বাঁচলে বাঁচবে রাজ্য/ বাঁচবে দেশ। কলকাতার রাজপথে মহাজাতি সদন থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত নেমে এল হাজার মানুষ।মাছ ধরার খ্যাপলা জাল, মাছ রাখার ডেকচি নিয়ে পথ হাঁটলো মৎস্যজীবীরা, মহিলা, কৃষিজীবী,নদী ও পরিবেশ কর্মী,নদী ও পরিবেশবান্ধব সংগঠন একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। আয়োজক ছিল সবুজ মঞ্চ রাজ্য বাঁচাও কমিটি।নদীর জন্য পদযাত্রার আগে মহাজাতি সদনে আয়োজিত বাংলার…