আমার দাড়াইন ।। সুমনকুমার দাশ

দাড়াইন

ছোট্ট মফস্বল শহর ঘুঙ্গিয়ারগাঁওয়ের পাশ দিয়ে বহে গেছে যে নদ-তা দাড়াইন। আমাদের শৈশব-কৈশোরের খেলার সঙ্গী। যতক্ষণ চোখ লাল না হতো, ততক্ষণ দাড়াইনের তরল বুকে চলত দাপাদাপি। ফাল্গুন-চৈত্রের নিস্তরঙ্গ রূপ আর জৈষ্ঠ্যের যুবক দাড়াইনের কত ফারাক! আষাঢ়-শ্রাবণে ফুলে-ফেঁপে দাড়াইন মিশে যেত হাওরের বুকে। মাঝ নদীতে গেরাফি-ফেলা নৌকার মতোই পুরো জনপদের গ্রামগুলো যেন ভাসত হাওরজুড়ে! শুষ্ক আর বর্ষা-দুই সময়ে দুই রূপ দাড়াইনের। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল হোসেনপুর গ্রাম থেকে পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার ধলবাজারের কাছাকাছি পর্যন্ত সাপের মতো এঁকেবেঁকে গেছে দাড়াইন নদ। বর্ষায় পানিতে থইথই করলেও শুষ্ক মৌসুমে কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি থাকে।…

ঘোড়াউত্রা নদীর ভাঙ্গন রোধ: বাস্তবতা ও করণীয়- মহিবুর রহিম

ঘোড়াউত্রা

কিশোরগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত একটি খরস্রোতা বৃহৎ নদী ঘোড়াউত্রা। নদীটি ইটনা, মিটামাইন, নিকলী, বাজিতপুর ও কুলিয়ারচর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরবের সন্নিকটে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। উজানের বেশ কয়েকটি নদী মিলিত হয়ে ঘোড়উত্রা নাম ধারণ করে একটি বৃহৎ নদীতে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি সূত্রের তথ্যমতে এ নদীর গতিপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ কি:মি:। বেশ কয়েকটি বৃহৎ হাওর, জনপদ বা অঞ্চল পাড়ি দিয়ে বয়ে চলেছে এ নদী। এক সময়ে উজানে এর নাম ছিল বাউলাই। এর অপর একটি শাখা ধনু নামে অষ্টগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। অন্তত…