নদী নিরুদ্দেশ ।। পিয়াস মজিদ

নিরুদ্দেশ

কতকাল ধরে শুনে আসছি নদী; তার কূল নেই, কিনারাও নেই। এই পাড় ভাঙে তো ওই পাড় গড়ে। একপ্রকার নিরুদ্দেশ যাত্রার নিয়তি তার, যদিও জানি নদী কোনো না কোনোভাবে সমুদ্রধাবিত। (অবশ্য বাঁধ দিতে দিতে মানুষ নদীর সমুদ্রযাত্রাও নিঃশেষ করে দিচ্ছে)। পঁচিশ জুন। শুক্রবার, বুড়িগঙ্গা (আমার বেড়ে ওঠার প্রতিবেশী নদী কুমিল্লার গোমতী; যদিও গোমতীর চেয়ে বুড়িগঙ্গাই স্মৃতিতে-শ্রুতিতে প্রভাবশীল বেশি)। প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুর লাগোয়া দুপুরের নদী। আকাশে মেঘ। পাশে ঘাট। ঘাট থেকে নদীতে স্নানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ছেলে-বুড়ো-বউ-ঝি। তাদের আগেও অগণন মানুষের স্নান সারা হয়েছে এ নদীতে। তারা হয়তো মরে গেছে কিন্তু নদী রয়ে…

যে নদীকে কেবল ভাসিয়ে দেওয়া গেল ।। সুপ্রতিম কর্মকার

সুপ্রতিম

লেখা শব্দগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। নৌকার খোলের মত করে। জলের ওপর বা পানির ওপর। ঠিক এখনো জানি না, জলের ওপর পানি! না পানির ওপর জল! শুধু এটাই জানি, ওই দুটো গ্যাসীয় পদার্থ একে অন্যের সঙ্গে মিলে মিশে তৈরি করে একটা তরল পদার্থ। জীবন বাঁচাতে ঐ রঙহীন তরলের মতন আর বিকল্প তরলের জন্ম হল না, এই বিশ্ব চরাচরে। আর সেই না হওয়ার কারণেই জলের মতন সহজ আর জলের মত দামীও কেউ হল না। জীবনকে প্রজাপতির মত রঙ্গিন দেখতেই পছন্দ করে সবাই। কিন্তু জল তার কোন রঙ নেই। কোন গন্ধ নেই। কোন স্বাদ…