দক্ষিণ দিনাজপুর (কলকাতা, ভারত) থেকে>> গতকাল আবার জড়ো হয়েছিলাম আমরা। আত্রেয়ী নদীর পাড়ে। এই নিয়ে ষষ্ঠ বার।বিষয়? নদীর কাছে এসো। গতবছর চৈত্র সংক্রান্তির দিনে প্রথাগতভাবে নদীর কাছে এসো শুরু করেছিলাম। তারপর মাঝে একবার বিজয়া দশমীর পর বুনিয়াদপুরের টাঙ্গন নদীর পাড়ে এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তারপর প্রতিমাসে একবার করে আত্রেয়ী নদীর পাড়ে নিয়মিত বসছি আমরা। গত ২৩ ডিসেম্বর-২০১৮ বাংলাদেশের ঢাকা থেকেও অধ্যাপকরা যোগ দিয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে। আর গতমাসে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রতীকি নদী সাফাই করেছে যার পরিপ্রেক্ষিতে বালুরঘাট পৌরসভা আত্রেয়ী সদরঘাটে স্হায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগ করেছে।এটা একটা নদীর কাছে এসো কর্মসূচির…
Tag: আত্রেয়ী নদী
আত্রেয়ী দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ লঞ্চ চলবে, এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায়
হ্যাঁ।ঠিক তাই। এমন স্বপ্ন তো দেখাই যায়। নদীপথে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একদিন লঞ্চ চলবে। যাত্রীবাহী এবং পন্যবাহী-এমন আশা তো করতেই পারি আমরা। যেখানে এই ব্যবস্থা একসময় ছিল এবং তার মাধ্যমে ব্যবসা বানিজ্য হতো পুরোদস্তুর। যদিও সেটা লঞ্চের মাধ্যমে হতো না।হতো বজরার মাধ্যমে।সেই পন্যবাহী ব্যবস্থাপনা যদি ফিরে আসে তাহলে তার থেকে ভালো কিছুই তো হতে পারে না। তার সঙ্গেই যাত্রীবাহী লঞ্চ যদি চলাচল করে ভারত-বাংলাদেশ আত্রেয়ী নদী পথে তাহলে সেটা কম রোমাঞ্চকর হবে না। সম্প্রতি লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকা সদরঘাট থেকে পটুয়াখালি জলপথে যাওয়াতে সেই সম্ভাবনার কথাই মনে এলো। আমাদেরও তো…
কাশিয়া খাঁড়ি খনন-একটা উদাহরণ : এবার প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন
নদীবিজ্ঞানে একথা বলা হয় যে নদীব্যবস্থাপনা করতে গেলে খাঁড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।খাঁড়ি ভালো থাকলে নদী ভালো থাকবে। কিন্ত দক্ষিন দিনাজপুরের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই লক্ষ্য করছি দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া খাঁড়ি ব্যবস্থাপনাতে খুব বেশী কাজ এগোয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই কাশিয়া খাঁড়ির নাম উল্লেখ করতে চাই। দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি প্রধান নদী আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা। দুটি নদীকে সংযুক্ত করতো কাশিয়া খাঁড়ি। কিন্ত এই খাঁড়ি টিকে কেন বারবার অধিবাসীদের নিজেদের খনন করার উদ্যোগ নিতে হচ্ছে? সম্প্রতি গতবছরের মতো এবারও রাধানগর, গোপিনগর, ভাতশালা, বাদমুল্লুক কিসমত, গঙ্গাসাগর গ্রামের অধিবাসীরা নিজেরাই খাঁড়িকে খনন করলো। কিন্ত কেন? কারণ…
“নদী দিয়ে আগামীদিনে সমস্ত স্তরের মানুষকে জাগাতে চাই”
তুহিন শুভ্র মন্ডল পেশায় একজন শিক্ষক। ২০০৪ সাল থেকে তিনি নদী ও পরিবেশ রক্ষার কাজে যুক্ত আছেন। নদী ও পরিবেশ বিষয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১০-১১ সালে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় পেয়েছেন আনন্দলোক (আনন্দ বাজার) সেলাম বেঙ্গল পুরস্কার। ২০১৫ সালে পেয়েছেন পথিক সম্মান। আত্রেয়ী বাঁচাও আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে পেয়েছেন কলকাতার ঋক শীর্ষ সম্মান। ২০১৭ সালে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় পেয়েছেন বেস্ট এচিভারস অ্যাওয়ার্ড। সম্প্রতি তিনি কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক জল সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আসেন। এসময় তার সাথে কথা বলেন রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। আমরা জানতে পেরেছি…
আত্রেয়ী কিংবা আত্রাই নদী সুরক্ষা: সমগ্র দক্ষিন এশিয়ায় একটা উদাহরণ হবে কি?
সম্প্রতি বাংলাদেশের শান্ত সমাহিত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাতে অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কনফারেন্স। যার পাশেই রয়েছে পটুয়াখালি পাখিমারা বাজার। এখানেই রয়েছে এশিয়ার একমাত্র ওয়াটার মিউজিয়াম। সে এক অন্য রকম ভাবনা। জলকে কেন্দ্র করেই যে একটা মিউজিয়াম গড়ে তোলা যায় তা দেখে বিস্মিত হতে হয়। সে নিয়ে লিখবো অন্য একদিন। ফিরে আসি আন্তর্জাতিক জল সম্মেলনের কথায়। ভারতবর্ষের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থেকে আমাদের প্রাণের আত্রেয়ী নদীকে আরো একবার নতুনভাবে উপস্থাপিত করলাম। নতুন বিষয়টি কি? আসলে অ্যাকশন এইড আয়োজিত এই জল সম্মেলনের বিষয়বস্তু ছিল “রিভার-এ লিভিং বিয়িং”। নদী যে জীবন্ত সত্ত্বা তাকেই কেন্দ্রে…
নদী সম্পর্কে এতটা উদাসীন কি করে হতে পারি আমরা?
আমরা নাকি নদীর সন্তান! নদী আমাদের মা। নদীমাতৃক তো বলাই হয়।এটাও বলা হয়, নদী আমাদের জীবন। আর সেটা সঠিকই বলা হয়। কেননা নদী বিভিন্ন ভাবেই আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত। তাই নদীর জন্য কিছু করা প্রয়োজন। একথা উপলব্ধি করে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প এবছর থেকেই “নদীর কাছে এসো” কার্যসূচী শুরু করেছে। কখনও আত্রেয়ী, কখনও টাংগন নদীর পারে নদীর জন্য ভাবনা নিয়ে জড়ো হয়েছিল কখনও ছাত্রীরা, কখনও নাট্যকর্মীরা । আর গতকাল [২৮ নভেম্বর] আত্রেয়ী নদীর পাড়ে হেমন্তের বিকেলে খোলা আকাশকে সঙ্গী করে সমবেত হয়েছিলেন কবি সাহিত্যিক প্রাবন্ধিকগণ।এছাড়াও ছিলেন পরিবেশ সচেতন…
ধীবর’রা ভয়ংকর সংকটে, আমাদের বিপদও ঘরের দুয়ারে
বর্ষার সময় ছাড়া জল থাকে না আমাদের নদীতে।কি আশ্চর্য! অথচ এই আত্রেয়ী নদীতেই জল থাকতো কত! এই তো কিছুদিন আগে নদীর বুকে ক্রিকেট খেলে আত্রেয়ীর ভয়াবহতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলাম। জল নেই। মাছ নেই আগের মতো। তাই বিভিন্ন ধরনের জাল থাকলেও তা ব্যবহার করা আর হয় না সবসময়। ফলে ধীবর সম্প্রদায়ের জীবনে নেমে এসেছে এক অদ্ভূত আঁধার। সে কথায় আসছি। তবে তার আগে দেখে নেওয়া যাক কোন্ কোন্ জাল দিয়ে আত্রেয়ীর বুকে মাছ ধরতো ধীবররা। আমাদের সমীক্ষায় যে যে জালের কথা উঠে এসেছে সেগুলি হলো- মশারি জাল বা বাদাই জাল-…