উৎসবে নদী দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়, দূষণ মোকাবিলায় করনীয় কি?

নদী দূষণ

শরত এলো সোনা মেঘে সোনালী সরগম অন্য রকম সুরে এখন অন্য উচ্চারণ- কবি রামচন্দ্র পালের এই অনুভব আমাদেরও। প্রকৃতির রং- রুপই তখন অন্য হয়।বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণের হাত ধরে দুর্গা পুজা আসে।যদিও সে শরৎ এখন অতিক্রান্ত ।এখন হেমন্ত ।কালী পুজাও পেরিয়ে এলাম আমরা। কিন্ত লক্ষ্য করা যায় যে পুজোর মরশুমেই নদীতে ও জলে দূষণের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। কারণ প্রতিমার গায়ে যে রং থাকে তাতে মিশে থাকে সীসা, ক্রোমিয়াম, হেক্সভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম, lacquer (বার্ণিশ) ইত্যাদি। তা জলে মিশলে জল দূষণ হয়। বিসর্জনের পরে দীর্ঘক্ষণ বা দীর্ঘদিন প্রতিমা জলে থাকলে…

তাড়াইলে নদী ভাঙ্গন, দেখার কেউ নেই!

নদী ভাঙ্গন

নরসুন্দা, সূতী আর ফুলেশ্বরী এই প্রাচীন তিনটি নদ-  নদী বিধৌত জনপদের নাম তাড়াইল। পূর্বদিকে ফুলেশ্বরী, দক্ষিনে নরসুন্দা আর পশ্চিমে সূতী। তালজাংগার জমিদারের স্ত্রী তারামন সুন্দরির নামানুসারে তাড়াইল উপজেলা নদী বেষ্টিত একটি প্রাচীন জনপদের নাম। তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল তাড়াইলের পূর্ব দক্ষিনের মাখনাপাড়া নামক গ্রামের সন্মুখে। মাখনাপাড়া প্রাচীন জেলেপল্লী নামে খ্যাত।এখানে প্রাচীন একটি মন্দির ও একটি শ্মশানও রয়েছে। তিনটি নদীর মিলনস্থলে বর্ষাকালে প্রবল স্রোত বহমান থাকে।ফলে সঙ্গমস্থলের মোহনা থেকে মাটি ও পলল সরে গিয়ে গভীরতা বৃদ্ধি পায়। যার কারনে শুকনো মৌসুমে পানি নিচে নেমে গেলে মাখনাপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিধস শুরু হয়। বিগত…

দুই বাংলার যৌথ নদী ব্যবস্থাপনাই নদী সুরক্ষার একমাত্র পথ

তুহিন শুভ্র মন্ডল>>   ভারত এবং বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত নদীগুলিকে সুরক্ষা দিতে দুই দেশের যৌথ অংশগ্রহণ অতীব জরুরী।কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলেনে একথা গুলোই তুলে এনেছিলাম। আমাদের সভ্যতা নদীমাতৃক । নদী আমাদের জীবন, জীবিকা।নদী সুস্থায়ী অর্থনীতির একটা সূচক।আমাদের সংস্কৃতিতে, উপাচারে নদী জড়িয়ে রয়েছে।নদী পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম । অথচ সেই নদীগুলির প্রতি কি আশ্চর্য উদাসীনতা!! ভারতবর্ষের দক্ষিন দিনাজপুর আমার জন্মভূমি। সেখানকার নদীগুলির বর্তমান অবস্থা মোটেও ভালো নয়। আত্রাই, টাংগন, ইছামতি,পুনর্ভবা, যমুনা,  ব্রাহ্মণী, শ্রীমতি, শ্রী ইত্যাদি নদীগুলির অবস্থা ভাল নয়।জলহীনতা, জলদূষন, নাব্যতা কমে যাওয়া, মাছেদের হারিয়ে যাওয়া, নদীর বুকে জমি দখল এমনকি মালিকানা…

নদীকে ঘিরেই জমে উঠেছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজধানীর কাজ-কারবার

রক্ষী: কলকাতা বন্দরে। ১৯৭৮ সালের ছবি

।। কুন্তক চট্টোপাধ্যায় ।। গঙ্গায় মালবাহী নৌকার ভিড় সামলাতে আর ডাকাতি রুখতে তৈরি হয়েছিল রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ। লোকমুখে তাঁরাই জলপুলিশ। বালি থেকে বজবজ, রক্ষা করেন নদীকে। আশিতে আসিও না’ সিনেমায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত সংলাপ ছিল, ‘‘আমি এখন জলপুলিশের আন্ডারে।’’ কলকাতা, গঙ্গা আর নদীপথে সুদীর্ঘ বাণিজ্যের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি জড়িয়ে রয়েছে এই জলপুলিশ। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, জোব চার্নক কলকাতায় ঘাঁটি গাড়বার পর থেকেই নদীপথে বাণিজ্যের ঢল নামে। এই নদীকে ঘিরেই জমে উঠেছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজধানীর কাজ-কারবার। এখন যেখানে বাবুঘাট, মিলেনিয়াম পার্ক, সেই পুরো জায়গাটা জুড়েই এক সময় ছিল কলকাতা…

“একটি নদীবান্ধব প্রজন্ম তৈরি করতে হবে”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া। হালদা নদী নিয়ে ১৮ বছর ধরে গবেষণা করছেন। দখল-দূষণ থেকে রক্ষা করে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননকেন্দ্রটিকে রক্ষা করতে সোচ্চার তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তুলেছেন হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি। তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। স্বাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। স্বাক্ষাৎকারটির গুরুত্ব বিবেচনা করে রিভার বাংলা ডট কমের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।- সম্পাদক রিভার বাংলা। প্রথম আলো: হালদা নদী নিয়ে দীর্ঘকাল গবেষণা করছেন আপনি। কেন, কখন বা কীভাবে এই গবেষণাকাজের সঙ্গে যুক্ত হলেন? মো. মনজুরুল কিবরীয়া: আমার জন্ম হালদাপাড়ের একটি ছোট্ট গ্রামে।…

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে নদী সুরক্ষা ক্লাব

রাজধানীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে যাত্রা করেছে নদী সুরক্ষা ক্লাব।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে যাত্রা করেছে নদী সুরক্ষা ক্লাব। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তরুণরা এগিয়ে এলেই দেশের নদ-নদী রক্ষা পাবে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মতো তরুণরা জেগে উঠলে বাংলাদেশের নদ-নদী আবার জেগে উঠবে। রিভারাইন পিপল এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে রিভার কনজারভেশন ক্লাবের (আরসিসি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় অনুষ্ঠানে। রিভারাইন পিপলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (আইইউবি) গঠিত হয়েছে আরসিসি। তরুণদের মধ্যে নদী রক্ষায় অঙ্গীকার ও সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে আরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাব গঠন প্রক্রিয়া চলছে। রোববার সকালে স্টামফোর্ড…

নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও – বালুরঘাট কনভেনশন রিপোর্ট

বালুরঘাট

নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ২৮-২৯ জুলাই ২০১৮, ভারতের বালুরঘাট শহরের সুবর্ণতট সভাগৃহে বালুরঘাট কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মী তাপস দাস। বালুরঘাট কনভেনশন রিপোর্টটি কলকাতা থেকে “রিভার বাংলা” ডট কমের জন্য পাঠিয়েছেন তিনি।- সম্পাদক নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে দেশ জুড়ে। সেই লক্ষ্যে বালুরঘাট কনভেনশন অনুষ্ঠিত হলো গত ২৮-২৯ জুলাই ২০১৮, বালুরঘাট শহরের সুবর্ণতট সভাগৃহে। বালুরঘাট কনভেনশন আহায়ক শ্রী বিশ্বজিৎ বসাক অথিতিদের বরণ করেন। এরপর বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক নেতা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য শ্রী বিপ্লব মিত্র মহাশয়…