বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা নদী গবেষনাগার, রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার, হালদা নদী সুরক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ এসএমই ফোরাম ও মালয়েশিয়ার গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের যৌথ আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় ‘সুস্থ প্রকৃতির জন্য নদী ও জলাভূমি সংরক্ষণ’ বিষয়ক বিশেষ ভার্চুয়াল সেমিনার।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মনজুরুল হান্নান খান, কেবিনেট ডিভিশনের যুগ্ম সচিব ও এটুআইয়ের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া।
‘সুস্থ প্রকৃতির জন্য নদী ও জলাভ’মি সংরক্ষণ’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালয়শিয়ার গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের রিভার কেয়ার প্রোগ্রামের ম্যানেজার ড. কে কালিদাসান। পেনেলিস্ট হিসেবে অংশনেন রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের সভাপতি চাষী মামুন ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন। আর এ ভার্চুয়াল সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের এক্সিকিউটিভ মেম্বার শাহজিয়া শাহ্রিন আনিকা ও মো. রবিউল ইসলাম শান্ত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী ও জলাভূমি সংরক্ষন করা খুবই গুরত্বপূর্ণ একটি কাজ। এ বিষযটিকে গুরত্ব দিয়ে সরকার ইতিমধ্যে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীতে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিএয়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, সবচেয়ে সহজ বর্জ্য ফেলার জায়গা হচ্ছে নদী ও জলাশয়। আর বিষয়টি কঠিনভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে। পানি দূষিত হতে হতে মহামারি আকার ধারণ করছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
ড. এসএম মনজুরুল হান্নান খান বলেন, খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন নিরাপত্তা সকলকিছুই নির্ভর করে নদী , জলাভূমি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ টিকে থাকার উপর।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, যেখানে নদী ও জলাশয় সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে সেই জায়গাগুলো আমরা হাইলাইটেড করে রাখবো যাতে নামজারি আবেদন ও নামজারি মঞ্জুর না করা যায়।
অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, প্রতিটা নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে নদী নেটওয়ার্কটা ধ্বংস করা হয়েছে।
মুহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, নদীভিত্তিক সংগঠন, মিডিয়ার মধ্যে একটা কার্যকরী সমন্বয় দরকার।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমরা যখন কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা করবো তখন বর্ষকালের পানির সর্বোচ্চ সীমা ধরে উদ্যোগ নিতে হবে।
চাষী মামুন বলেন, জীবিকা নির্বাহের সবকিছুই নদী ও জলাশয়ের উপর রির্ভরশীল। তাই নদী ও জলাশয় রক্ষা করা খুবই জরুরী।