পশ্চিমবঙ্গের নদী বাঁচাও আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি হতে চলেছে 

কেমন আছো নদী- এই শিরোনামকে সামনে রেখে এবার সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই নদীকর্মীরা কেন্দ্রীয় ভাবে জড়ো হচ্ছে কলকাতায় ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে।তার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটা প্রেস কনফারেন্স এবং কলকাতা বইমেলাতেও এই সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। গতকাল শুক্রবার [৪ জানুয়রি] সবুজ মঞ্চের কলকাতা অফিসে রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের নদী ও সমাজ কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতায়। প্রায় চার ঘন্টার ম্যারাথন মিটিং চলে। সেখানে উঠে আসে নদী কমিশন গঠন, ড্যামের পর্যালোচনা, নো মোর ড্যাম নীতি গ্রহন করা, নদীতে যে কোন দখল মুক্ত করা,…

পঞ্চগড়ে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি নদীর ১৬৪ কি.মি. পুনঃখনন কাজ চলছে

পঞ্চগড়ে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি নদীর ১৬৪ কি.মি. পুনঃখনন

পঞ্চগড়ে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি নদীর ১৬৪ কি.মি. পুনঃখনন কাজ চলছে। গত বুধবার বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভেরসা এবং সকালে বোদা উপজেলার পাথরাজ নদীর খনন কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন খনন কাজের উদ্বোধন করেন। সরকারের ডেল্টা প্ল্যান এর আওতায় এই প্রকল্পের আওতায় তেতুলিয়া উপজেলার ভেরসা নদীর ১০ কিলোমিটার, সদর উপজেলার চাওয়াই নদী ২০ কিলোমিটার, করতোয়া নদীর ৭৮ কিমি, দেবীগঞ্জ উপজেলার বুড়ি তিস্তার ২০ কিলোমিটার, বোদা উপজেলার পাথরাজ নদী ৩০ কিলোমিটার এবং আটোয়ারী উপজেলার বড়সিংগিয়া ৬ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে।…

নীলফামারীর জলঢাকায় ধাইজান নদী পুনঃখনন কাজ চলছে

নীলফামারীর জলঢাকায় ধাইজান নদী পুনঃখনন কাজ চলছে

সম্প্রতি নীলফামারীর জলঢাকায় ধাইজান নদী পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের পশ্চিম খুটামারা গ্রামে ওই খনন কাজ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কমলকৃষ্ণ চন্দ্র সরকার জানান, তিন কোটি ৯৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ধাইজান নদীর ২৮ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) অধীনে ২০২০ সালের ৩ মে মাসের মধ্যে কাজটি সমাপ্তের চুক্তি হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএএ এবং এমএআই (জেভি) কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে।এই প্রকল্পের…

ইরাবতী নদীর উপর বাঁধ দিচ্ছে ভারত

ভারত : পাঞ্জাবে ইরাবতী নদের ওপর শাহপুরকান্ডিতে বাঁধ বানানোর প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্র। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।এর ফলে জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকা সেচের আওতায় আসবে। পাশাপাশি উৎপন্ন হবে জলবিদ্যুৎ। যদিও এর ফলে প্রতিবেশী পাকিস্তানের জল কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। কারণ, ইরাবতী নদী পাহাড় থেকে নেমে পাঞ্জাবের সমতলভূমি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকেছে পাকিস্তানে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা। জানা যায়, প্রায় ১৭ বছর আগে প্রথম এই প্রকল্পের কথা ভেবেছিল ভারত। তখন এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল আনুমানিক ২,২৮৫ কোটি টাকা।…

মৎস্যজীবীদের অধিকার সুনিশ্চিত হোক

Tuhin Shuvra Mandal

নদীর কথা এলে যাদের কথা আসবেই তারা হল মৎস্যজীবী। কারণ নদীর সাথে এদের যোগ সরাসরি। নদীই এদের জীবন, নদীকে ঘিরেই জীবিকা।বর্তমানে এরা বিপদে।আছে ভীষণ সংকটে। অথচ এদের কথা কেউ ভাবছে না, কেউ বলছে না।এদের নিয়ে কোন আলোচনা নেই। দূষণ ও অন্যান্য কারণে বহু নদীতে মাছের যোগান এখন কমেছে। এদিকে পরিবারের লোকসংখ্যা তো বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। মৎস্যজীবীদের পরের প্রজন্ম আর এই পেশায় আসছে না।এমনকি বর্তমান মৎস্যজীবীদের মধ্যেও অনেকে বাধ্য হচ্ছে পেশা পরিবর্তন করতে। অনেকে কাজের খোঁজে পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানেও নানান বিপদ। ভালো কাজ তো পাচ্ছেই…

শ্রীমতি নদীর কান্না শুনবে কলকাতা 

কলকাতা (দক্ষিণ দিনাজপুর) থেকেঃ জলের একটা কান্না আছে। সেটা অনুভব করতে হয়। আর ঠিক সেটাই অনুভব করেছিলেন শ্রীমতি নদী পাড়ের মানুষ। আর তাই তো নদী নিয়ে নাটক নির্মাণ করে ফেললেন বুনিয়াদপুরের অরণী নাট্য সংস্থা। ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের এই নাট্যসংস্থাটির উদ্যোগে নদী বাঁচাও আন্দোলনেও নতুন দিক সূচিত হলো। বিশিষ্ট নাট্যকার তীর্থঙ্কর রায়ের “অন্তরে প্রস্তর প্রস্তরে অন্তর ” তাই আমাদেরই কান্নার কথা যা আমরা প্রতিনিয়ত শুনতে পাই শ্রীমতি নদীতে” বললেন নাটক টির নির্দেশক পবিত্র দাস। শ্রীমতি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্যতম প্রধান নদী। সেই নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীর বুকে চাষের জমি, কৃষক দের…

নদী ও খাঁড়ি সংস্কারের উদ্যোগ: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ 

কলকাতা (দক্ষিণ দিনাজপুর) থেকেঃ নদী ও খাঁড়ির বহুমাত্রিক ব্যবহার ও ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন জায়গার নদী ও খাঁড়ি দূষণের খবর যখন পাই বা প্রত্যক্ষ করি তখন বুঝতে পারি একটি অতি জরুরী বিষয়কে কতটা অবহেলা করছি আমরা। কিন্ত তার মধ্যেও কোন ভাবনা ও উদ্যোগ আমাদের আশা জাগায়।নতুন দিশা দেখায়। ইতিবাচক হতে বলে। তেমনই একটা উদ্যোগ কাশিয়া খাঁড়ি সংস্কার। তেমনি একটা উদ্যোগ শ্রীমতি নদী সংস্কার। সমগ্র পৃথিবী জুড়েই নদী ও খাঁড়ি রক্ষার দাবী উঠেছে, উঠছে। সমগ্র পৃথিবীর নদী সুরক্ষা আন্দোলনের সম্পর্কে বলতে পারি উন্নত বিশ্বের দেশ ছাড়া উন্নয়নশীল বিশ্বের কোন…

নদী সম্পর্কে এতটা উদাসীন কি করে হতে পারি আমরা?

নদীর কাছে এসো

আমরা নাকি নদীর সন্তান! নদী আমাদের মা। নদীমাতৃক তো বলাই হয়।এটাও বলা হয়, নদী আমাদের জীবন। আর সেটা সঠিকই বলা হয়। কেননা নদী বিভিন্ন ভাবেই আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত। তাই নদীর জন্য কিছু করা প্রয়োজন। একথা উপলব্ধি করে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প এবছর থেকেই “নদীর কাছে এসো” কার্যসূচী শুরু করেছে। কখনও আত্রেয়ী, কখনও টাংগন নদীর পারে নদীর জন্য ভাবনা নিয়ে জড়ো হয়েছিল কখনও ছাত্রীরা, কখনও নাট্যকর্মীরা । আর গতকাল [২৮ নভেম্বর] আত্রেয়ী নদীর পাড়ে হেমন্তের বিকেলে খোলা আকাশকে সঙ্গী করে সমবেত হয়েছিলেন কবি সাহিত্যিক প্রাবন্ধিকগণ।এছাড়াও ছিলেন পরিবেশ সচেতন…

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে আবারও ধস

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটারে ধস নেমেছে। এর আগে রবিবার রাত থেকে ধস দেখা দেয়। গত দেড় বছরে ওই বাঁধে অন্তত ৮ বার ধসের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে। আশপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বাঁধ ধসে পড়েছে। অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিন্মমানের কাজ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। কমলনগর রক্ষায় আরো ৮…

সংসদ নির্বাচন : বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

বন-নদী-পাহাড় নিয়ে কী ভাবছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা?

জয়া ফারহানা>> একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা যত ব্যস্ত, তার চেয়েও বেশি ব্যস্ত তাদের পারিষদবর্গ। তারা জানেন, পরিবেশকর্মী প্রেসার গ্রুপের দাবি মোতাবেক নদী-বন-পাহাড় রক্ষায় ইশতেহারে যত ভালো কথাই লেখা থাক, ইশতেহারের আদর্শ প্রতিশ্রুতিগুলো ফাইলবন্দিই থাকবে। এমপি সাহেবকে নানা কায়দায় তোয়াজের মাধ্যমে যিনি সাইজ করতে পারবেন, এলাকার বন-নদী-পাহাড়-টিলা-খাল-বিল চলবে তারই ইশারায়, নির্দেশমাফিক। তোষামোদিতে যিনি ফার্স্ট হবেন, বাস্তবে পূরণ হবে তার খায়েশ। এরাই আমাদের নদীগুলোর বালু তুলে তুলে এগুলোকে এমন ব্যথা দিয়েছে যে, এখন হাতে আর এমন কোনো প্যারাসিটামল নেই, যা নদীর ব্যথা দূর করতে পারে। ভৈরব, রূপসা, কপোতাক্ষ, ইছামতি, মাথাভাঙা,…

দর্শনে নদীর নিত্যতা

Afzal H. Azam

যে ছেলে নদীর পাড়ে বসে কবিতা লিখে সে ছেলে কখনও গাঁজা খাবে না। যে মানুষ নদীর তীরে বাস করে তারা কখনও অলস হয় না। প্রকৃতির বৈরিতার সাথে যুদ্ধ করে সরল জীবনযাপন করবে।হাজার হাজার বছর ধরে আবহমান বাংলার জীবনযাত্রা সংস্কৃতি, সাহিত্য, সমাজ, শিল্প সবকিছু গড়ে উঠেছে নদী কেন্দ্রিক। আজ নদ- নদীগুলোর যৌবন হারানো মানে বাংলা মায়ের বন্ধ্যাত্ব নেমে আসা। ফুলে, ফলে, ফসলে, সোনার বাংলা আজ নেই। রাসায়নিক নির্ভর কৃষি। হৃদ্যতার ভাটা পড়েছে মানব সমাজে। নদীর কলকলানির মতো সহায়ক সমাজ ব্যবস্হা নেই। একটি ঊর্মি আরেকটি ঊর্মিকে নিয়ে সহাবস্হানের খেলা আর দূর্বার ছুটে…

ধীবর’রা ভয়ংকর সংকটে, আমাদের বিপদও ঘরের দুয়ারে

বর্ষার সময় ছাড়া জল থাকে না আমাদের নদীতে।কি আশ্চর্য! অথচ এই আত্রেয়ী নদীতেই জল থাকতো কত! এই তো কিছুদিন আগে নদীর বুকে ক্রিকেট খেলে আত্রেয়ীর ভয়াবহতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলাম। জল নেই। মাছ নেই আগের মতো। তাই বিভিন্ন ধরনের জাল থাকলেও তা ব্যবহার করা আর হয় না সবসময়। ফলে ধীবর সম্প্রদায়ের জীবনে নেমে এসেছে এক অদ্ভূত আঁধার। সে কথায় আসছি। তবে তার আগে দেখে নেওয়া যাক কোন্ কোন্ জাল দিয়ে আত্রেয়ীর বুকে মাছ ধরতো ধীবররা। আমাদের সমীক্ষায় যে যে জালের কথা উঠে এসেছে সেগুলি হলো- মশারি জাল বা বাদাই জাল-…